স্ক্র্যাপের অয়েল ট্যাংকারের তেজষ্ক্রিয়তা পরীক্ষায় তদন্ত কমিটি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মাদাম বিরিহাটের জনতা স্টিল শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ভাঙার জন্য আনা অয়েল ট্যাংকারে তেজষ্ক্রিয় ও দূষিত বর্জ্য রয়েছে কিনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2016, 04:45 PM
Updated : 6 Nov 2016, 06:29 AM

শনিবার অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মাসুদ করিমকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়।

মাসুদ করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কমিটি করে দিয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

কমিটিতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের দুইজন কর্মকর্তা, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন অধ্যাপক, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক, মেরিন একাডেমির একজন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজনকে সদস্য রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মাদাম বিবির হাটে অবস্থিত জনতা স্টিল করপোরেশন শিপইয়ার্ডে অনিরাপদ পরিবেশে বিদেশি প্রতিষ্ঠান মায়েরস্কএর বিষাক্তঅয়েল ট্যাংকার নর্থ সি প্রডিউসার‘ (বর্তমান নাম প্রডিউসার‘)’ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

ডেনমার্ক ভিত্তিক অনুসন্ধানী গণমাধ্যম ড্যেনওয়াচসর্বপ্রথম বিষয়টি সামনে আনে। তাদের অনুসন্ধানে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ মায়েরস্ককে দায়ী করে বলা হচ্ছে, এটি বিক্রি ও স্ক্র্যাপ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন ও আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা হয়নি।

দ্বিতীয় একটি পক্ষের কাছ থেকে ৫৩ কোটি টাকায় কেনা অয়েল ট্যাংকারটি গত ১৪ অগাস্ট বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় আসে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের কমিটির প্রতিবেদন শেষে এটি কাটা শুরু হয় মাদাম বিবির হাটের জনতা স্টিলে।

বিদেশি গণমাধ্যমে জাহাজটি বিষাক্ত বর্জ্যযুক্ত ও মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর আখ্যা দিলেও ইয়ার্ড মালিক বলছে তারা সকল নিয়ম মেনেই জাহাজটি কাটছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমান উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সকল নীতিমালা মেনে জাহাজটি ইয়ার্ডে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সকল নিয়ম না মানলে জাহাজটি আনার ছাড়পত্র তো পাওয়া যেতো না। আর জাহাজটি আইএসও সার্টিফিকেট প্রাপ্ত এবং সকল বিষাক্ত গ্যাস নিরাপদ করেই বিদেশ থেকে আনা হয়েছে।

অনিরাপদ পরিবেশে ইয়ার্ডে জাহাজটি ভাঙা হচ্ছে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আমান বলেন, বাংলাদেশের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে আগের চেয়ে অনেক নিরাপদেই জাহাজ কাটা হয়। শ্রমিকরা নিরাপদ সরঞ্জাম পড়েই তাদের কাজ করে থাকে।