চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলায় গ্রেপ্তার দুজন রিমান্ডে

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাহিনীর সাবেক দুই সদস্যকে তৃতীয় দফায় একদিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2016, 02:23 PM
Updated : 4 Oct 2016, 02:23 PM

চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আবদুল কাদের মঙ্গলবার ঈসা খাঁ ঘাঁটির সাবেক ‘বলকিপার’ আবদু্ল মান্নান ও রমজান আলীর রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে চেয়ে সোমবার আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইপিজেড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুয়েক দিনের মধ্যেই তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

“এর আগে দুবার তাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার নেপথ্যে যুক্ত কয়েকজনের নাম এ দুজন জানালেও তাদের ঠিকানা বলতে পারেনি।”

গত বছর ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই মসজিদগুলোতে শুক্রবার স্থানীয়রাও নামাজ পড়তে আসতেন, বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ২৪ জন আহত হন।

বোমা হামলার নয় মাস পর গত ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান, রমজান আলী ও বাবুল রহমান ওরফে রনিকে আসামি করা হয়।

জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিন সম্প্রতি বগুড়ায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত হওয়ায় তার নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

ফারদিনের নেতৃত্বেই নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে।