এ উপলক্ষে শনিবার রাতে চট্টগ্রামের পাঁচ তারা র্যাডিসন হোটেলে আয়োজন করা হয়েছে সুধী সমাবেশ।
শনিবার সকালেই চট্টগ্রামে পৌঁছান শীর্ষস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকের আমন্ত্রিত সম্পাদকরা।
দুপুরে তারা বন্দর নগরীর মোমিন রোডে সংবাদপত্রটির কার্যালয়ে গেলে তাদের স্বাগত জানান দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ, প্রধান প্রতিবেদক হাসান আকবর ও ব্যবস্থাপক মঈনুল আলম বাদল।
আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক সম্পাদকদের হাতে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত প্রামাণ্যগ্রন্থ ‘হাজার বছরের চট্টগ্রাম’ বইটি তুলে দেন।
এরপর সম্পাদকরা আজাদী কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ছাপাখানা ঘুরে দেখেন।
আমন্ত্রিত সম্পাদকদের মধ্যে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর এক প্রশ্নের জবাবে মালেক জানান, অনলাইনে আজাদীর ইউনিক ভিজিটরের সংখ্যা ৫ লাখ ৬০ হাজার।
“দেশের বাইরেও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এবং যেখানেই চট্টগ্রামের অধিবাসীরা আছেন, তারা দিনে অন্তত একবার আজাদী পড়েন।”
আজাদী কার্যালয় পরিদর্শনে বাসসের প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, নিউজ টু ডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাহমুদুর রহমান এবং গণমাধ্যম গবেষক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরও ছিলেন।
“সেটা এক ইতিহাস। আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সম্পাদক এক হয়েছেন আজাদীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে। এটাও এক ইতিহাস হয়ে থাকল।”
১৯৬০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের প্রাচীনতম দৈনিক আজাদীর যাত্রা শুরু হয়। এদের সংবাদপত্রগুলোর মধ্যে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর আজাদীই প্রথম ছাপানো শুরু হয় বলে তাদের দাবি।
শনিবার রাতের সুধী সমাবেশেও আমন্ত্রিত সম্পাদকরা ছাড়াও চট্টগ্রামের শীর্ষ রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ী নেতারা থাকবেন।
এর আগে গত কয়েকদিনে আজাদী পাঠক ও লেখক সমাবেশ, ‘ফ্যামিলি ডে’সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে।