‘মেনন হত্যাচেষ্টায় জড়িতরাই জঙ্গি মদদে’

রাশেদ খান মেনন হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের যারা অতীতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে পরবর্তীতে তাদের মদদেই জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে বলে অভিযোগ চট্টগ্রামের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2016, 03:33 PM
Updated : 17 August 2016, 03:33 PM

বুধবার ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন ‘হত্যা প্রচেষ্টার ২৪তম বার্ষিকী’তে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভা এ অভিযোগ করেন ওয়াকার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আবু হানিফ।

নগরীর দোস্ত বিল্ডিং এ দলীয় কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আবু হানিফ বলেন, যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও গুপ্তহত্যা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রধান বাধা।

“রাশেদ খান মেননকে যারা হত্যা করতে চেয়েছিল তাদেরকে তৎকালীন বিএনপি সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে মদদ দিয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের হাত ধরেই জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। আজকে জঙ্গিবাদবিরোধী সংগ্রামের সফলতার মধ্যেই মেননের হত্যা প্রচেষ্টাকারী ও তাদের মদদদাতাদের পরাজয় নিশ্চিত করা যাবে।”

আবু হানিফ বলেন, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাই আজকের প্রধান কাজ।

১৯৯২ সালে রাজধানীর দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রাশেদ খান মেননের ওপর গুলি চালায়। আহত অবস্থায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) নেওয়া হয়। পরে বিদেশ গিয়ে উন্নত চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি ফিরে আসেন।

ওয়ার্কাস পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন খালেদ সেলিম বলেন, “রাশেদ খান মেনন কোনো ব্যক্তি নয়, তিনি গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পুরোধা।

“তার হত্যাপ্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তৎকালিন বিএনপি সরকার অসাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকে রুদ্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের প্রবল প্রতিরোধে তা সম্ভব হয়নি।”

তিনি এ প্রতিরোধ দিবসে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িতকার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শরীফ চৌহান।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলির সদস্য ইন্দ্রকুমার নাথ, জেলা কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম, দিদারুল আলম চৌধুরী, মোক্তার আহমদ ও আবু সৈয়দ বলাই। 

সভা শেষে একটি মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।