মিতু হত্যায় রাশেদ জড়িত নয়, দাবি পরিবারের

এসপিপত্নী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন মো. নুরুল ইসলাম ওরফে রাশেদের বাবার দাবি, ২৩ জুন সকালেই তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2016, 01:40 PM
Updated : 2 July 2016, 01:55 PM

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে রাশেদের (২৭) বাবা আহাম্মদ হোসেন তার ছেলে মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন বলেও দাবি করেন।

গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শুরুতে জঙ্গিদের দায়ী মনে করলেও তদন্তকারীরা এখন বলছেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পেশাদার অপরাধী।

মিতু হত্যায় জড়িত সন্দেহে যে পাঁচজনের ওপর দেশ ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ তাদের মধ্যে রাশেদও আছেন। অপর চারজন হলেন মুছা, নবী, শাহজাহান ও কালু।

শুক্রবার ভোরে নগরী থেকে শাহজাহান (২৮) এবং রাঙ্গুনিয়া থেকে মুছার ভাই সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাকু মাইজ্যাকে (৪৫) গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে পুলিশ। 

রাশেদ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পাঁচ ভাই চার বোনের মধ্যে রাশেদ চতুর্থ।

সংবাদ সম্মেলনে তার বাবা আহাম্মদ হোসেন বলেন, ২৩ জুন সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে বোয়ালখালীর মিলিটারিপুল এলাকায় ইলিয়াছের বাড়ি থেকে রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

“রাশেদের সঙ্গে আবদুল নবীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। নবী আর রাশেদ বন্ধু। ইলিয়াছও রাশেদের বন্ধু।”

গরিব মানুষ, চাষবাস করি- একথা জানিয়ে রাশেদের বাবা বলেন, “আমার ছেলে কোনো ঘটনায় জড়িত নয়। দোষী হলে তাকে আদালতে দিক। তা না হলে আমার ছেলেকে আমাকে ফিরিয়ে দিক।”

আহাম্মদ হোসেনের দাবি, তার ছেলে রাশেদ চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে।

তিনি বলেন, “রাশেদ আমার সাথে চাষের কাজ করত। মাঝেমাঝে ব্যবসা করার চেষ্টা করত। গরিব মানুষ, পুঁজি নেই তাই ব্যবসা করতে পারেনি।”

মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তারের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গত ২৬ জুন আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুজনের গ্রেপ্তারের খবর জানায় পুলিশ।

এরপর ২৮ জুন নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকা থেকে এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির হোসেন নামের দুইজনকে দুটি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। সর্বশেষ ১ জুলাই শুক্রবার শাহজাহান ও মামলায় অন্যতম সন্দেহভাজন মুছার ছোট ভাই সাইদুল ওরফে সাকুকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়।

আদালতে জবানবন্দিতে ওয়াসিম ও আনোয়ার বলেছেন, মুছার ‘পরিকল্পনানুযায়ী’ এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ওয়াসিম বলেন, “৪ জুন রাতে রাশেদকে সঙ্গে নিয়ে মুছার বাসায় যাই। সেখানে কালু, শাহজাহান, নবী ও আনোয়ারকে দেখি।”

গত ৫ জুন সকালে মিতুকে খুনের আগে কালু, মুছা ও রাশেদ জিইসি মোড়ে ফলের দোকানের সামনে অবস্থান নিয়ে ছিলেন বলেও জবানবন্দিতে বলেছেন তিনি।