বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার দুপুরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. এমরান (২৬) ও মো. খলিল (২৬) রৌফাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
তাদের কাছ থেকে আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহের কয়েকটি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি মহসিন।
পুলিশের ধারণা, বিভিন্ন মোবাইল সিমের ‘ভুয়া নিবন্ধন’ করার জন্য তারা উপহার সামগ্রী বিতরণের নামে আঙ্গুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন বলেন, গ্রেপ্তাররা রৌফাবাদ এলাকায় বিভিন্ন অলি-গলি ও বাসাবাড়িতে গিয়ে কাউকে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও কাউকে বিদেশি কোম্পানির পক্ষ থেকে সেমাই, নুডুলস, চিনিসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার বিতরণের কথা বলে আঙ্গুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছিল।
“বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
“তবে এব্যাপারে গ্রেপ্তাররা বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি।”
এমরানের ইমা টেলিকম নামে একটি মোবাইল ফোনের দোকান আছে। পাশাপাশি সে বহদ্দারহাট এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।
ওসি বলেন, “অবৈধ ভাবে তারা মোবাইলের সিম নিবন্ধন করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার জন্য এসব আঙ্গুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্রগুলো সংগ্রহ করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
“এ ঘটনায় এমরান ও খলিলের বিরুদ্ধে প্রতারণা আইনে একটি মামলা হয়েছে জানিয়ে তাতে এই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
ওসি মহসিন জানান, ভুক্তভোগী স্থানীয় এক নারী প্রতারণার মামলাটির বাদী।
প্রতারণার মামলার তদন্তভার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে পুনরায় পুলিশের কাছে ফিরে আসার পর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাছে এটিই প্রথম প্রতারণার মামলা বলে জানান তিনি।