বৃহস্পতিবার দিনভর এ অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ২০টি ইয়াবাসহ আটক মাদক বিক্রেতা মাসুমকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া বাকি ছয়জনকে সাত থেকে ১৫ দিনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে থাকা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ এ মাদকের আস্তানাটি। রেলওয়ের কিছু কর্মচারীর বাসার সাথে এসব খুপড়ি ঘর তৈরি করে সেখানে মাদকের আখড়া বানানো হয়েছে।
আস্তানায় থাকা ঝোপঝাড়ের মধ্যে মাটির নিচে গর্ত করে ড্রামের মধ্যে এসব ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাজা সংরক্ষণ করা হয়। ওখান থেকে এসব খুপড়ি ঘরে চাহিদামত মাদক সরবরাহ করা হয় জানান ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর।
“ওই বিক্রয় কেন্দ্রের জব্দ করা কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এখান থেকেই মাদক বিক্রয়ের সমস্ত হিসাব-নিকাশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিক্রয় কেন্দ্রটিও গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এসময় আসক্ত ১৮ জন, যাদের নড়াচড়া করার মতও অবস্থা ছিল না- তাদেরকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উদ্ধার করা মাদক ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানান তাহমিলুর রহমান।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আলী আসলাম হোসেন ও সহকারী পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।