রোয়ানু: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট খারাপ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মালামাল খালাস কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সেখানকার বড় বড় জাহাজকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2016, 02:16 PM
Updated : 20 May 2016, 02:25 PM

শুক্রবার আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরে ‘৭’ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলার পর দুর্যোগ মোকাবেলায় ‘সার্বিক প্রস্তুতি’ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর এবং শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

সে সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।  

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বহির্নোঙরে মালামাল খালাস বন্ধ করা হয়েছে। বন্দর চ্যানেল ও বহির্নোঙরে অবস্থানরত সব লাইটারেজ জাহাজকে (ছোট জাহাজ) উজানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

বন্দরের জেটিতে থাকা সব জাহাজ পরবর্তী জোয়ারে নিরাপদে চলে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দরের সব যন্ত্রপাতিও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

শাহ আমানত বিমানবন্দরের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও ঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট ম্যানেজার উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবীর।

এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে রাতে জেলা প্রশাসন বিশেষ বৈঠকে বসেছে।

এর আগেই উপকূলী এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।