শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বাঁধ মেরামতসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
আয়োজকদের পক্ষে মো. কাইমুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কুতুবদিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
“এ দ্বীপকে সাগরের ভাঙন থেকে রক্ষায় কখনোই যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রবল স্রোতের ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রায়ই জোয়ারের পানি ভেতরে ঢুকে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে।”
১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে পর কুতুবদিয়ার বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়নি উল্লেখ করে বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানান তিনি।
কাইমুল বলেন, “৯১-এর ঘুর্ণিঝড়েও এ এলাকার অনেক লোক মারা যায়। ওই সময়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার ও সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণে দেশী-বিদেশি সহায়তা এলেও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন ও লোভী ঠিকাদারদের যোগসাজশে তা বাস্তব রূপ পায়নি।”
কুতুবদিয়াজুড়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বনায়ন, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ, ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও যাতায়াত সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়ের পরিবেশ ও বনবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন কুতুবদিয়ার বর্তমান পরিবেশগত দিক নিয়ে একটি ভিডিওচিত্রও দেখান।
দৈনিক জনকণ্ঠের উপ সম্পাদক মোয়াজ্জেমুল হক, মো. শফিকুল আলম কুতুবী, মুজিবুল হক সিদ্দিকী বাচ্চু, শাহজাদা মুনিরুল মান্নান, তাজ উদ্দিন, সরওয়ার আলম ও মো. আজম এসময় উপস্থিত ছিলেন ।