মঙ্গলবার নগরীর প্রেসক্লাব থেকে জামালখান সড়ক হয়ে আন্দরকিল্লা ঘুরে চেরাগী মোড়ে মিছিল শেষে সমাবেশ হয়।
সেখানে চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান বলেন, সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জাতি প্রত্যাশিত রায় পেয়েছে। এখন সে রায় বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার আপিলের রায়ে একাত্তরে চট্টগ্রামের বদর কমান্ডার মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
ডালিম হোটেলে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়ে শরীফ বলেন, “আল-বদর বাহিনীর সেই কুখ্যাত টর্চার সেলকে সংরক্ষণের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম একাত্তরে নির্যাতনের ইতিহাস জানতে পারবে।’’
চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য সচিব চন্দন দাশ বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে পারবে না যতক্ষণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এ রায় বাস্তবায়ন না হওয়া ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থাকতে হবে।
রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় সর্বোচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগাম ইউনিটের কমান্ডার শাহাবুদ্দিন।
মীর কাসেম ও আরেক দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে চট্টগ্রামের ‘কলঙ্ক’ আখ্যায়িত করেন শাহাবুদ্দিন।
“সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের পর চট্টগ্রামবাসীর অর্ধেক কলঙ্ক মুছে গেছে। মীর কাসেম আলী ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামবাসী শতভাগ কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে।”
অন্যদের মধ্যে নারীনেত্রী নুরজাহান খান, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার ও সুনীল ধর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।