‘মিথ্যে তথ্যে’ সিগারেট আমদানির ঘটনায় ৪ জন কারাগারে

‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৭০ কার্টন বেনসন সিগারেট আনার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2016, 01:22 PM
Updated : 26 Feb 2016, 01:22 PM

এরা হলেন- আমদানিকারকের স্থানীয় এজেন্ট সাকী শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার শওকত আফসার, ব্যবস্থাপক মো. শফি এবং কর্মচারী নাসির ও ইকবাল।

চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবদুল কাদের শুক্রবার তাদের কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

এর আগে ‘মিথ্যে তথ্যে’ সিগারেট আনার ঘটনায় দায়ের করা এক মামলায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে র‍্যাব।

এ মামলায় অন্য দুই আসামি হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এফআরসি নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর চৌধুরী ও কর্মচারী রনি।

মামলার আসামি আনোয়ার শওকতের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

“এছাড়া সাকী শিপিং লাইন্সের এমডি আনোয়ার শওকত অসুস্থ হওয়ায় আমাদের আবেদনে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”

কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সহায়তায় চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে রাখা একটি কন্টেইনার থেকে ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে আনা ৪৭০ কার্টন বেনসন অ্যান্ড হেজেস সিগারেট বৃহস্পতিবার জব্দ করে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানিয়েছিলেন, গাজীপুরের এফআরসি নিট কম্পোজিট নামের একটি প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস পণ্য ঘোষণা দিয়ে বিদেশ থেকে এসব সিগারেট নিয়ে আসে।

পরে রাতে র‍্যাবের এক সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয়, আটক কন্টেইনারটি দুবাই এর জেবল আলী বন্দর থেকে ‘হো চি মিন’ নামের জাহাজে করে মালয়েশিয়ার কালাং বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

কন্টেইনার থেকে প্রায় চার কোটি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ৪৭ লাখ বেনসন অ্যান্ড হেজেস সিগারেট জব্দ করা হয়। ‘১০০ শতাংশ কটন ইয়ান (সুতা)’ ঘোষণা দিয়ে এসব সিগারেট নিয়ে আসা হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

সিগারেট জব্দের পর বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

বন্দর থানায় করা ওই মামলায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (বি) ধারা, মানিং লন্ডারি এবং শুল্ক আইনে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

তবে মিথ্যা তথ্যে সিগারেট আনার এ ঘটনায় শিপিং এজেন্টের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেন আসামি সাকী শিপিং লাইনস’র এমডি আনোয়ার শওকতের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল

তিনি বলেন, “পণ্যের আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে আটক না করে শিপিং এজেন্টকে আটক করা হলো। শিপিং এজেন্ট তো ভাড়ায় কাজ করে। মিথ্য ঘোষণায় পণ্য আনাতে কেউ জড়িত থাকলে সেটা আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। তাদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।”