সোমবার রাতে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থেকে মামলার এক নম্বর আসামি গোলাম রসূল সাদ্দামকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয় বলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বাবুল আক্তার জানিয়েছেন।
সাদ্দাম বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শের শাহ কোলোনি এলাকায় থাকত।তার বাবার নাম গোলাম মোস্তফা। সে স্থানীয় যুবলীগের কর্মী ছিল বলে জানা গেছে।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রাতে শের শাহ কলোনিতে নিজ বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নগর যুবলীগের কর্মী মেহেদী হাসান বাদলকে।
বাদল চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের পর মেহেদীর ভগ্নিপতি দাবি করেছিলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী শফি, কুদ্দুস, সাদ্দাম ও তাদের অনুসারী সন্ত্রাসীরা মেহেদীকে হত্যা করেছে।
এই ঘটনার কয়েকদিন পর নিহত মেহেদীর স্ত্রী মোবাশ্বেরা বেগম বাদি বায়েজিদ থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা দাবি করেছিলেন, সাদ্দামই মেহেদীকে গুলি করে হত্যা করেছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বলেন, “বাদল হত্যার পর সাদ্দাম প্রথমে রাঙ্গুনিয়ায় আত্মগোপনে ছিল। পরে সেখান থেকে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে চলে যায়।”
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।