মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর পাশাপাশি সীতাকুণ্ড ও বাঁশখালী উপজেলায় দুই প্লাটুন করে মোট ছয় প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে বলে বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) মেজর সাব্বির আহমেদ জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যে কোনো ধরনের নাশকতা রোধে নগরীর পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ও বাঁশখালী উপজেলায় বিজিবি সদস্যরা টহলে রয়েছেন।”
এ দিনে সমাবেশের জন্য দুদলই চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠ ব্যবহার করতে চাইলেও কেউ তা পায়নি; আওয়ামী লীগকে শহীদ মিনারে ও বিএনপিকে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ ও বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেয়।
গত বছর এই দিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাল্টাপাল্টি জনসভার ঘোষণা দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এই প্রেক্ষাপটে পুলিশ জনসভা করতে না দেওয়ায় খালেদা জিয়া লাগাতার অবরোধ ডাকেন।
প্রায় তিন মাস ধরে চলা ওই অবরোধে গাড়িতে পেট্রল বোমা ছুড়ে ও আগুনে পুড়িয়ে প্রায় মানুষকে হত্যা করা হয়।
গতবছর এই দিনে ঢাকাসহ দেশের কোথাও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সমাবেশের অনুমতি না পেলেও চট্টগ্রামে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
ওই সমাবেশের শেষ দিকে কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির একাংশ ও জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এছাড়া নসিমন ভবনের সামনে সমাবেশ শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে একটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়।
পরে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরে ওই দিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল হক এনামসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।