- কোচিং ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন জন্টি রোডস। সুইডেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। আগামী নভেম্বরে দলটির সঙ্গে কাজ শুরু করতে স্বপরিবারে দেশটিতে পাড়ি জমাবেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি এই ফিল্ডার।
- ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ফিল্ডারদের ছোট্ট তালিকায়ও থাকেন জন্টি রোডস। অনেকের মতে, তিনিই সেরা। তবে ফিল্ডিংয়ের এই কিংবদন্তি নিজে সর্বকালের সেরা ফিল্ডার বলছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সকে।
- বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানালেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নাকি তুমুল প্রশংসিত হয়েছে আইসিসিতে। পাল্টা প্রশ্ন ছুটে গেল। পারফরম্যান্স প্রশংসিত হলে কোচ স্টিভ রোডসের বিদায়-ঘণ্টা কেন বাজল? নাজমুল হাসান তুলে ধরলেন বেশ কিছু কারণ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, রোডসের কোচিংয়ের ধরন বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না।
- প্রধান কোচ স্টিভ রোডস আর বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে নেই। বিসিবি জানিয়েছে, দুই পক্ষের সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- গেট দিয়ে ঢুকলে প্রেসবক্সটাই মনে হয় সবার আগে চোখে পড়ে। যেন উড়াল দেওয়ার অপেক্ষায় কোনো মহাকাশযান। উল্টোপ্রান্তে ড্রেসিং রুম, সামনেই অনেক ইতিহাসের স্বাক্ষী, আভিজাত্যের প্রতীক সেই ব্যালকনি। প্রতিটি সিড়ির মুখ, প্রতিটি স্ট্যান্ড, দেয়ালে দেয়ালে নানা ছবিতে ফুটে আছে ক্রিকেটের অসংখ্য কীর্তিগাঁথা। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের কাছে লর্ডস মানে তীর্থস্থান। ক্রিকেটতীর্থে পা রেখে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। সেই রোমাঞ্চকে প্রেরণায় রূপ দিয়ে দল আশায় পাকিস্তানকে হারানোর।
- অনেক ক্রিকেটারকে অনুপ্রাণিত করতে হয় অনেকভাবে। অনেককে দেখিয়ে দিতে হয় পথ। তবে সাকিব আল হাসানকে কোনো অনুপ্রেরণা দিতে হয়নি বাংলাদেশ কোচের। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার প্রেরণা খুঁজে নিয়েছেন নিজ থেকেই। বিশ্বকাপের সাফল্যের কৃতিত্ব পুরোটাই সাকিবকেই দিচ্ছেন স্টিভ রোডস।
- ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর যে প্রশ্ন উঠেছিল সংবাদ সম্মেলনে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও স্টিভ রোডসের কাছে ছুটে গেল একই প্রশ্ন। প্রসঙ্গ, মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর। বাংলাদেশ কোচের জবাব খুব একটা বদলাল না। সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিতে বললেন বিসিবি ও মাশরাফির ওপর। বিশ্বকাপের পর সম্ভাব্য শ্রীলঙ্কা সফরে অধিনায়ককে পেলে দারুণ খুশি হবেন কোচ। তবে মাশরাফি না থাকলেও সেই বাস্তবতার জন্য দলকে বললেন তৈরি হতে।
- মাশরাফির বিন মুর্তজার অবসর প্রশ্নে নিজেকে জড়াতে চান না স্টিভ রোডস। বল হাতে বাংলাদেশ অধিনায়কের পারফরম্যান্স হতাশার, সেটি মানছেন বাংলাদেশ কোচ। তবে জানালেন, অধিনায়কের চেষ্টার কোনো কমতি তিনি দেখেননি।
- প্রতিপক্ষের কাছে যেমন, তেমনি বাংলাদেশ হেরেছে ভাগ্যের কাছেও। অন্তত স্টিভ রোডসের দাবি এমনটিই। ভারতের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ২৮ রানে। বাংলাদেশ কোচের মতে, এই উইকেটে টসের মূল্য ২০-৩০ রান।
- ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রে আউটফিল্ডে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফিল্ডারদের একজন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্যাচগুলোর বেশ কয়েকটি তার। সেই তামিম যেভাবে সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন, তা অবাক করেছে স্টিভ রোডসকে। চিরন্তন সত্যটি তাই আবার বলছেন বাংলাদেশ কোচ, ভুল সব মানুষেরই হয়।
- জিতলেও সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হতো না। তবে টিকে থাকত আশা। হেরে যাওয়ায় আশার সমাপ্তি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস জানালেন, ড্রেসিং রুমে দেখে এসেছেন তিনি আঁধার।
- দল দাঁড়িয়ে শঙ্কা আর সম্ভাবনার মাঝামাঝি। একটি করে জয় একটু করে এগিয়ে নিতে পারে সেমি-ফাইনালের পথে। আবার একটি ম্যাচে পা হড়কালেও বেজে যেতে পারে বিদায় ঘণ্টা। সেই মোড়ে দাঁড়িয়ে স্টিভ রোডস দেখছেন আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। যেখানে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ, সেখান থেকে বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ও অসম্ভব মনে করছেন না বাংলাদেশ কোচ।
- বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমের বাঁপাশে উঁচু একটি গ্যালারি। বেশ বড় অক্ষরে লেখা, ‘শেন ওয়ার্ন স্ট্যান্ড।’ ক্রিকেটে ইংলিশদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ানরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্ন আবার এই কাউন্টির মহানায়ক। বল হাতে একসময় এই মাঠে রাজত্ব করেছেন কিংবদন্তি লেগ স্পিনার, সাহসী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্বে হ্যাম্পশায়ারকে তুলে নিয়েছিলেন শীর্ষ কাউন্টি দলের উচ্চতায়। সেই মাঠেই এবার বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষা করছেন সময়ের সেরা লেগ স্পিনারদের একজন, রশিদ খান।
- টনটনের আকাশের কান্না চলছে সকাল থেকে। ক্রিকেটাররা সবাই এক রকম হোটেলে বৃষ্টিবন্দী। স্টিভ রোডসকে দেখা গেল হোটেলের লবিতে। বাংলাদেশ কোচ অপেক্ষায় ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের। বৃষ্টির মধ্যেই কোথাও বের হবেন দুজন। দুই দিনের ছুটি সবাই নিজের মতো করেই আয়েশ করে কাটাচ্ছেন। তবে বের হওয়ার আগে বাংলাদেশ কোচ বলে গেলেন, বিশ্রামের পর শুরু আসল চ্যালেঞ্জ, হাঁটতে হবে জয়ের পথ ধরে।
- বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় হাহুতাশ চলছে। সামনের সমীকরণ নিয়ে ভাবনাও চলছে। সেখানে চলে আসছে একটি দুর্ভাবনা। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। কোচ স্টিভ রোডসের প্রথমেই মনে পড়ছে আন্দ্রে রাসেলের কথা। জিততে হলে খুঁজে পেতে হবে এই অলরাউন্ডারকে থামানোর পথ।
- দুই ম্যাচ পর একটি পয়েন্ট যোগ হলো বাংলাদেশের পাশে। তবে সেটি প্রাপ্তির চেয়ে বেশি জাগাচ্ছে হাহাকার। মহামূল্য আরেকটি পয়েন্ট যে পেল না দল! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে দুই পয়েন্ট খুব করে চাইছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে সেই আশা ধুয়ে যাওয়ায় হতাশা গোপন রাখলেন না বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস।
- র্যাঙ্কিং বলছে, ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ দলের কাছেও তিনিই বিশ্বসেরা। কিন্তু গোটা ক্রিকেট বিশ্বের মতে? স্টিভ রোডসের মতে, অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন সাকিবের শ্রেষ্ঠত্ব। বাংলাদেশ কোচের চাওয়া, এই বিশ্বকাপেই সাকিব প্রমাণ করে দিক, তিনিই সেরা।
- আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে রান তাড়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন। টুর্নামেন্টে স্বল্প সুযোগে নিজেদের মেলে ধরেছেন লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজরাও। কোচ স্টিভ রোডসের কণ্ঠে তাই উচ্ছ্বাস, পাঁচ সিনিয়রের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশ। দলের এমন গভীরতা বিশ্বকাপে বড় ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে তাকে।
- ডাবলিনের আকাশ যখন কাঁদছে, ফরহাদ রেজা, ইয়াসির আলিদের হৃদয়েও কি হচ্ছিল বর্ষণ? আশার দুয়ার ছোট হতে দেখে নিশ্চয়ই দমবন্ধ লাগছিল তাসকিন আহমেদ, নাঈম হাসানের? বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া একটু হলেও যে কমে গেছে এই টুর্নামেন্টে তাদের মাঠে নামার সম্ভাবনা।
- এই থামে, এই নামে। সকাল থেকে এভাবেই চলছিল বৃষ্টির লুকোচুরি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই অবশ্য মালাহাইডের নেটে দলের কয়েকজনের ব্যাটিং দেখছিলেন স্টিভ রোডস। কিন্তু এক পর্যায়ে বাড়ল বৃষ্টির তীব্রতা। ড্রেসিং রুমে ছুটতে হলো সবাইকে। ম্যাচের ভবিষ্যৎ তখনই অনুমান করা যাচ্ছিল। তবে বাংলাদেশ কোচ বিরক্ত অনুশীলনও করতে না পেরে।
- আইপিএলে এবার ম্যাচের পর ম্যাচ দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। স্টিভ রোডসের মনে এটি নিয়েই কেবল একটু খচখচ। এছাড়া সাকিবের অনুশীলনে ঘাটতির কিছু দেখছেন না বাংলাদেশ কোচ। বরং আইপিএলে দারুণ ফিট ও গতিময় সাকিবকে দেখে তিনি খুশি।
- বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই ইমরুল কায়েস। তবে আলোচনায় আছেন প্রবলভাবে। সেই আলোচনার ঢেউ স্পর্শ করেছে স্টিভ রোডসকে। বাংলাদেশের কোচ অবশ্য ইমরুলের না থাকাকে দেখছেন ইতিবাচকভাবে। তার মতে, ইমরুল স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া মানে দলের শক্তির গভীরতা অনেক।
- চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কোনটা বেশি প্রয়োজন সবচেয়ে ভালো বোঝেন তামিম ইকবাল। তাই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে না খেলে সতেজ থেকে নিজেকে প্রস্তুত করছেন বিশ্বকাপের জন্য। শিষ্যর এই কৌশলে ভীষণ খুশি স্টিভ রোডস। বাংলাদেশের প্রধান কোচের কাছে বাঁহাতি ওপেনার অন্যদের জন্য অসাধারণ এক উদাহরণ।
- বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করবেন কে? স্টিভ রোডসের পছন্দ ডানহাতি ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বৈচিত্র। তবে কোচের চাওয়াই তো শেষ কথা নয়। বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিকতা ঠিক করে দেবে উদ্বোধনী জুটি। কোচ তাই এখনই প্রকাশ করতে চাইলেন না তামিমের সম্ভাব্য সঙ্গীর নাম।
- অভিজ্ঞতায় পূর্ণ একটি দল নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটির ওপর অগাধ আস্থা স্টিভ রোডসের। প্রধান কোচ মনে করেন, শিষ্যরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে নক আউট পর্বে খেলা সম্ভব।
- বেসিন রিজার্ভের নেটে বুধবার বেশ লম্বা সময় ব্যাট করেছেন মুশফিকুর রহিম। তাতে জেগেছিল আশাও। তবে অনুশীলনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচ স্টিভ রোডস যা বললেন, তাতে সব আশা গেল মিলিয়ে। ওয়েলিংটন টেস্টেও মুশফিকের খেলার সম্ভাবনা সামান্য।
- লড়াইটা অধরাকে ধরার। তবে সেই অভিযান শুরুর আগেই হারাতে হয়েছে সবচেয়ে বড় অস্ত্রকে। দল অবশ্য তাতে ভড়কে যাচ্ছে না। সাকিব আল হাসানকে না পাওয়া বড় ধাক্কা, মানছেন স্টিভ রোডস। তবে বাংলাদেশ কোচের বিশ্বাস, দলের সেরা ক্রিকেটারকে ছাড়াও বাংলাদেশ উপহার দিতে পারে বিস্ময়।
- বিপিএল থেকে কতটা শিখতে পারছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা? পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক আছে অনেক। তবে একটি জায়গায় উন্নতির জন্য কৌতুহল জাগানিয়া এক পরামর্শ দিলেন স্টিভ রোডস। চাপের মধ্যে আরও ভালো পারফর্ম করা শিখতে বাংলাদেশ কোচের চাওয়া, সুপার ওভারে দেশের ক্রিকেটারদের সম্পৃক্ত করা যেন বাধ্যতামূলক করা হয়।
- টিভিতে সম্প্রচার হচ্ছে। নির্বাচকরা দেখছে। নিজেকে মেলে ধরা, ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করার মঞ্চ আছে। বিপিএলে অনেক কিছুরই সুযোগ দেখছেন স্টিভ রোডস। তবে বাংলাদেশ কোচ স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন, আসছে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে বিপিএল পারফরম্যান্সের প্রভাব খুব একটা থাকবে না।
- বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিপিএল গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা ছাড়া টুর্নামেন্ট আয়োজনের ফাঁকা জায়গাও ছিল না। এই বাস্তবতা বোঝেন স্টিভ রোডস। তবে বিপিএল খেলেই নিউ জিল্যান্ড সফরে যাওয়াকে আদর্শ প্রস্তুতির ধারে কাছেও রাখছেন না বাংলাদেশ কোচ।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের শেষ দিকের দারুণ বোলিংয়ে মোমেন্টামটা নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাসের বিস্ফোরক ইনিংসে ব্যাটিংয়েও মোমেন্টাম ছিল স্বাগতিকদের দিকেই। কিন্তু ‘নো’ বল নিয়ে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে খেলা বন্ধ হয়ে যায় ৮ মিনিটের জন্য। বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস মনে করেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতিতে মোমেন্টাম ছুটে যায় বাংলাদেশের হাত থেকে। তেতে উঠা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরপর থেকে দল হিসেবে দারুণভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিতে যায়।
- উন্নতির ছাপ স্পষ্ট। পায়ের নিচে জমি শক্ত হতেও শুরু করেছে। তবে টি-টোয়েন্টিতে সমীহ জাগানিয়া শক্তি হয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য পূরণের পথ পাড়ি দিতে স্টিভ রোডেসের চাওয়া, পাওয়ার হিটিং ও ফিল্ডিংয়ে দ্রুত উন্নতি করা।
- একের পর এক ম্যাচ চলে যাচ্ছে, বেঞ্চে বসেই কাটছে আরিফুল হকের দিন। আবার মাঠে নামার অপেক্ষায় থাকা এই অলরাউন্ডারকে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হবে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
- ওয়ানডে ক্রিকেটে সব অলিগলি বাংলাদেশের চেনা। এই সংস্করণে দারুণ একটি দল আছে স্টিভ রোডসের হাতে। আগামী ছয় মাস কিভাবে কাজে লাগিয়ে এই দলকে নক আউট পর্বে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা যায় তার কর্মপরিকল্পনা ঠিক করছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
- কখনও টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, হেরে গেছে টি-টোয়েন্টিতে। কখনও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতেছে তো হেরে গেছে টেস্টে। এবার সুযোগ এসেছে কোনো দেশকে তিন সংস্করণেই সিরিজ হারানোর অনির্বচনীয় স্বাদ পাওয়ার। প্রধান কোচ স্টিভ রোডস জানান, এই কীর্তি গড়তে মাঠে নিজেদের উজাড় করে দেবে তার শিষ্যরা।
- টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন অনুশীলনে পায়ে চোট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। পরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে তার বদলে সংবাদ সম্মেলনে এসে কোচ স্টিভ রোডস জানালেন, শঙ্কার কিছু নেই সাকিবকে নিয়ে।
- টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অলিগলি সব চেনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। একমাত্র দল হিসেবে এই সংস্করণে তারা জিতেছে দুটি বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারানোর কাজটা ভীষণ কঠিন হবে বলে শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
- ক্যারিবিয়ানে টেস্ট সিরিজে হারার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ জিতে নিয়েছিল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। স্টিভ রোডস মনে করেন, একইভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে টেস্ট সিরিজ হারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তেতে থাকা সফরকারীদের নিয়ে সতর্ক বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ভেবে পাচ্ছিল না ওপেন করবে কারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের আগে আবার সামনে এসেছে সেই প্রশ্ন। সেবার আস্থা রাখা যাচ্ছিল না কারোর ওপর। এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। দুটি পজিশনের জন্য দাবিদার চার জন। ওপেনিংয়ে এই তুমুল প্রতিযোগিতায় খুশি দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
- জিম্বাবুয়ে সিরিজের ফল পূরণ করতে পারেনি প্রত্যাশা। তবে সেই ভাবনায় কাতর নন স্টিভ রোডস। নিজেদের নিয়ে দুর্ভাবনার জায়গাও খুব বেশি দেখছেন না বাংলাদেশ কোচ। প্রতিপক্ষের দু-তিনটি নাম অবশ্য ভাবাচ্ছে তাকে। আলাদা করে বললেন শেই হোপ, শিমরন হেটমায়ার, শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের কথা।
- “ওপেনিংয়ের সমস্যা...”, প্রশ্নটা শেষ হওয়ার আগেই কেড়ে নিলেন স্টিভ রোডস, “আপনি চেষ্টা করে দেখবেন নাকি!” নিজের রসিকতায় বেশ এক চোট হাসলেও বাংলাদেশ কোচ আসলে বুঝিয়ে দিলেন ওপেনারদের পারফরম্যান্সর দৈন্য। যেন যে কেউ ওপেন করলেই চলে! বিশেষ করে, তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ভরসা হতে পারত যার ব্যাট, সেই ইমরুল কায়েস যেন বড় ইনিংস খেলতেই ভুলে গেছেন। রোডসের মতে, আত্মবিশ্বাসের অভাবই ভোগাচ্ছে এই বাঁহাতি ওপেনারকে।
- দলের টানা ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় একক কারও উপর চাপাতে চান না স্টিভ রোডস। বাংলাদেশের প্রধান কোচ জানিয়েছেন, দলে যারা আছেন তাদের ভুল সংশোধন করে সামনের দিকে এগোনো তার লক্ষ্য।
- শিষ্যদের ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্যে অগাধ আস্থা স্টিভ রোডসের। প্রধান কোচের দৃঢ় বিশ্বাস, সিলেট টেস্টের ব্যর্থতা ভুলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে প্রাণপণে লড়বে বাংলাদেশ।
- পেস বোলিংয়ে নিয়ে অনেক হাঁকডাক হলো গত কিছুদিনে। স্কোয়াডে পেসার চার জন। কিন্তু গর্জন যতটা হলো, বর্ষণ হলো ততটাই কম। একাদশে পেসার কেবল একজন! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও একাদশ সাজানো হলো সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে। সিলেট টেস্টের বাংলাদেশ একাদশ নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন। সেসবকে যৌক্তিক বলেই মানছেন স্টিভ রোডস। তবে বাংলাদেশের কোচ বোঝাতে চাইলেন বাস্তবতাও।
- জয়ের হাতছানি যেমন আছে, শঙ্কা আছে পরাজয়েরও। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মনের ভেতর কি চলছে? স্নায়ুর চাপ থাকবে, অস্বীকার করছেন না স্টিভ রোডস। ভিভ রিচার্ডস হোক বা ইমরুল-লিটন, বাংলাদেশ কোচের মতে, শুরুতে নার্ভাস থাকেন সব ব্যাটসম্যানই। সেটি কাটিয়ে উঠে জিতবে দল, বিশ্বাস বাংলাদেশ কোচের।
- শেষ ইনিংসে রেকর্ড রান তাড়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। কাজটি কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তবে শঙ্কার হাওয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার রেশ। যে ব্যর্থতা ভাবিয়ে তুলেছে স্টিভ রোডসকেও। উইকেট নিষ্প্রাণ, এরপরও প্রথম ইনিংসে কেন এমন ব্যাটিং বিপর্যয়, কারণ খুঁজে ফিরছেন বাংলাদেশ কোচ।
- খানিকটা মুভমেন্ট মিলত, থাকত বেশ বাউন্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের চরিত্র বাংলাদেশের বিবেচনায় ছিল বিরল। কিন্তু এবার জাতীয় লিগের ম্যাচে এখানে উইকেট দেখা গেছে ভিন্ন। অনেকটাই ছিল মন্থর। কেমন হবে এই মাঠের অভিষেক টেস্টের উইকেট? বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসের চাওয়া, খুব ভালো ক্রিকেট উইকেট।
- টেস্টে স্লিপ ক্যাচিংয়ে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় ঘরোয়া ক্রিকেটকে দুষলেন স্টিভ রোডস। প্রধান কোচ মনে করেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে স্লিপে ফিল্ডিংয়ের খুব একটা সুযোগ না থাকাতেই দেশের বাইরে গিয়ে ভুগতে হয় বাংলাদেশকে।
- দুয়ারে দাঁড়িয়ে আরেকটি টেস্ট সিরিজ। তবু ফিরে ফিরে আসছে আগের সিরিজ। ওই সিরিজে ব্যাটিং ব্যর্থতার ক্ষত এত গভীর যে শুকায়নি এখনও। স্টিভ রোডস অবশ্য সেটিকে পাত্তা দিচ্ছেন না খুব একটা। বাংলাদেশ কোচের মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে উইকেট-কন্ডিশন এমন ছিল যে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানরাও ধুঁকত।
- সাকিব আল হাসান সেরা ট্যাকটিকসে। মাশরাফি বিন মুর্তজা অতুলনীয় অনুপ্রেরণায়। প্রাথমিক ধারণায় মাহমুদউল্লাহও দারুণ। অল্প কদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের তিন অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে স্টিভ রোডসের। বাংলাদেশ কোচ মুগ্ধ তিনজনকে দেখেই। শোনালেন কোন অধিনায়কের কোন দিকটি তার বেশি মনে ধরেছে।
- দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়ে বাংলাদেশে খেলতে এসেছে জিম্বাবুয়ে। স্টিভ রোডসের শঙ্কা ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দলটি দিতে পারে মরণ কামড়। তবে নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে সিরিজ জিততে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
- সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়া কোনো সিরিজ খেলা স্টিভ রোডসের কাছে আদর্শ পরিস্থিতি নয়। তবে খারাপের মধ্যেও ভালো দিকটা দেখছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। জানিয়েছেন, সাকিব ও তামিম না থাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্কোয়াডের গভীরতা প্রমাণের সুযোগ বাংলাদেশের।
- এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়া সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেনের ওপর নজর থাকবে স্টিভ রোডসের। দলে ফিরতে তারা কি করছেন তা নিবিড়ভাবে দেখতে চান বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
- চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পর পর দুই ম্যাচে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি পাকিস্তান। তবে তাদের অননুমেয় চরিত্রের কথা তো জানা গোটা ক্রিকেট বিশ্বের। নিজেদের দিনে পাকিস্তান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, জানেন স্টিভ রোডস। সেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। কোচের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা, আমরাও কম বিপজ্জনক নই!
- দুজন দুই প্রজন্মের। দুজনের ক্যারিয়ারের গল্পটাও দুই রকমের। তবে একটা জায়গায় দুজনই এখন দাঁড়িয়ে একই দুয়ারে। মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত পা ফেলতে যাচ্ছেন নতুন চ্যালেঞ্জের পথে। রঙিন পোশাকে তাদের আলোর ঝলকানি দেখতে আগ্রহ ভরে তাকিয়ে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস।
- মাঠের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে যেমন অনুশীলনে ঘাম ঝরানো প্রয়োজন, কখনও কখনও প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামও। স্টিভ রোডস মনে করিয়ে দিলেন সেই বাস্তবতা। অনুশীলনে সাকিব আল হাসান না থাকলেও দলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন বাংলাদেশ কোচ।
- এশিয়া কাপের জন্য কতটা ফিট সাকিব আল হাসান? আদৌ কি খেলতে পারবেন? টুর্নামেন্ট যত এগিয়ে আসছে, উচ্চকিত হচ্ছে প্রশ্নগুলোও। শতভাগ ফিট যে থাকবেন না, তা নিশ্চিত। সেটি নিয়ে খুব একটা দুর্ভাবনাও নেই স্টিভ রোডসের। বাংলাদেশ কোচের মতে, ৬০-৭০ ভাগ ফিট সাকিবের কাছ থেকে যা পাওয়া যাবে, দলের জন্য যথেষ্ট সেটুকুই।
- সাবেক কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের দাবি মেনে তাকে রাখা হয়েছিল নির্বাচক কমিটিতে। তুমুল বিতর্কিত সেই দুই স্তরের নির্বাচক কমিটিতে রাখা হয়েছিল ম্যানেজারকেও। হাথুরুসিংহে চলে গেলেও থাকছে তার জন্য গড়া সিস্টেম। নতুন কোচ স্টিভ রোডসও আনুষ্ঠানিক ভাবে থাকছেন অন্যতম নির্বাচক হিসেবে।
- দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ম্যাচের প্রথম সকালেই ৪৩ রানে অলআউট দল। দুই টেস্ট মিলিয়ে খেলতে দল পারেনি পাঁচ দিনও। প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্বের শুরুটা বুঝি এর চেয়ে বাজে হতে পারত না! কিন্তু সাদা পোশাকের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে যেভাবে রঙিন পোশাকের দুটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, তাতে দল নিয়ে গর্বিত প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
- নতুন প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না বিসিবি। নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, সাবেক কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের মতোই স্বাধীনভাবে কাজ করবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসানদের নতুন কোচ।
- সুনীল যোশির চাওয়া দীর্ঘমেয়াদি দায়িত্ব। তবে সেটির জন্য একটি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে সাবেক ভারতীয় স্পিনারকে। পরীক্ষার নাম বাংলাদেশর শ্রীলঙ্কা সফর। সেখানে তার কাজে বিসিবি খুশি হলেই বাংলাদেশের স্পিন কোচ হিসেবে পাবেন দীর্ঘমেয়াদি দায়িত্ব।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত
- অভিষেকে অনুজ্জ্বল টেন্ডুলকারের ছেলে
- প্রস্তুত হচ্ছে উইন্ডিজ, উল্টো রথে বাংলাদেশ
- পাকিস্তান টেস্ট দলে ৯ নতুন মুখ
- চালের বাজারে লাগাম, ‘ছুটছে’ তেলের দাম
- ভারতের ক্যাচ মিসের মহড়ায় লাবুশেনের সেঞ্চুরি
- ‘মুরগির কলিজা দিয়ে ক্রিকেট হয় না’, মিসবাহর দল নিয়ে আফ্রিদি
- অস্ট্রেলিয়ার ১০৩৩ উইকেটের বিপক্ষে ভারতের ১৩
- করোনাভাইরাস: আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু
- ২০০৯ সিরিজের সঙ্গে মিল দেখছেন রোচ
- ১৪৫ গানের স্বত্ব বেচে দিলেন শাকিরা
- খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে ডার্বির স্থায়ী কোচ রুনি
- রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে বিলবাও
- প্রথমার্ধকে দায় দিলেন জিদান
- নদীর সীমানা খুঁটি ফের বিতর্কে