বিশ্বকাপ জিতে গোটা বিশ্ব পেয়ে গেছেন মর্গ্যান

ওয়ানডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বদলে যাওয়ার শুরু তার নেতৃত্বে। দলটির এগিয়ে চলা, চমক জাগানিয়া শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠা, সবই তার ছায়ায়। বাকি ছিল বিশ্ব আসরে শ্রেষ্ঠত্ব দেখানো। ওয়েন মর্গ্যানের ইংল্যান্ড করে দেখাল সেটিও। ইংল্যান্ড অধিনায়ক তাই ভাসছেন সব পেয়ে যাওয়ার আনন্দে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2019, 07:29 AM
Updated : 15 July 2019, 09:49 AM

ক্রিকেটের জন্মভূমি, ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্ম দেওয়া দেশটি প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতল এমন একজনের নেতৃত্বে, যার জন্ম-বেড়ে ওঠা এই দেশেই নয়! আইরিশ মর্গ্যানের জন্ম ডাবলিনে। সেই শহরেই একটি ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলার শুরু।

২০০৬ সালে আয়ারল্যান্ডের হয়েই পা রাখেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ২০০৭ বিশ্বকাপে খেলেছেন আইরিশদের হয়েই। এক যুগ পর আরেকটি বিশ্বকাপে সেই তিনিই নেতৃত্ব দিলেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জয়ে।

তবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে তার সম্পর্কও পুরোনো। বাবা আইরিশ হলেও তার মা ছিলেন ইংলিশ। ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিয়ে নেওয়ার পর থেকেই ইংল্যান্ডে খেলেছেন। ১৬ বছর বয়স থেকেই আছেন মিডলসেক্স কাউন্টি ক্লাবে। সময়ের পরিক্রমায় ইংল্যান্ডকে করে নিয়েছেন আপন। সেই কাউন্টিরই ঘরের মাঠ লর্ডসে উঁচিয়ে ধরলেন বিশ্বকাপের ট্রফি।

গত বিশ্বকাপেও তার নেতৃত্বে খেলেছিল ইংল্যান্ড। তবে সেবার নেতৃত্ব পেয়েছিলেন বিশ্বকাপের কেবলই আগে। গোছানোর সময় পাননি। দল ছিটকে পড়ে গ্রুপ পর্ব থেকে। ইংলিশ ক্রিকেটের পালাবদলের শুরুও হয় এরপর। কোচ ট্রেভর বেলিসের সঙ্গে মিলে খোলনলচে পাল্টে দেন ইংলিশ ক্রিকেটের। ধরা দিতে থাকে অভাবনীয় সব সাফল্য। সেটিরই ধারাবাহিকতায় এলো বিশ্বকাপ জয়। দীর্ঘ পরিকল্পনা ও পরিশ্রমের ফসল বলেই সাফল্যের তৃপ্তি মর্গ্যানের কাছে বেশি।

“আমার কাছে ও ওই দলের কাছে, গত চার বছরে যারা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের সবার কাছে, এই বিশ্বকাপ জয় মানেই সবকিছু। এত পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম, নিবেদন, প্রতিজ্ঞা ও কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা মিলিয়ে আজকে আমরা জিততে পেরেছি।”

“চার বছরের ভ্রমণ এটি। এই কয় বছরে অনেক উন্নতি করেছি আমরা, বিশেষ করে গত দুই বছরে। আজকে জিততে পারা আমাদের কাছে তাই গোটা বিশ্ব পেয়ে যাওয়া।”

আইরিশ হয়েও ইংলিশ সাফল্যের প্রতীক হয়ে যাওয়া অধিনায়ক ধন্যবাদ জানালেন সমর্থকদের।

“দেশের ভেতরে ও বাইরে সারা বিশ্ব থেকে যারা আমাদের অনুসরণ করেছেন, সমর্থন দিয়েছেন, সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সঙ্গে এই ভ্রমণ ছিল অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকে যারা সমর্থন দিয়েছেন, পারফরম্যান্স যেমনই হোক, যারা ভরসা রেখেছেন, বিশ্বাস করেছেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ সবাইকেই।”