বিশ্বকাপের বিস্ময় হয়ে বিস্মিত নন সাকিব

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বিশ্বকাপ মাতাবেন, এতে বিস্ময়ের কিছু থাকার কথা নয়। কিন্তু সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স এতটাই উজ্জ্বল যে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব ভালোভাবে বুঝতে পারছে তার শ্রেষ্ঠত্ব, বাংলাদেশও যেন নতুন করে চিনছে তাকে। তবে নিজের এই চমকপ্রদ পারফরম্যান্সে চমকে যাননি সাকিব নিজে। প্রত্যাশা নিজের কাছে তার ছিল এমন কিছুই।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিলন্ডন থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2019, 05:11 PM
Updated : 6 July 2019, 05:11 PM

বিশ্বকাপে এবার এমন কিছু করেছেন সাকিব, আগের ১১ আসরে করতে পারেননি আর কোনো অলরাউন্ডার। ৮ ইনিংসে ৮৬.৫৭ গড়ে রান করেছেন ৬০৬। উইকেট নিয়েছেন ১১টি। এমন অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যের নজির আগে ছিল না বিশ্বকাপের এক আসরে।

২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সাকিব প্রথমবার উঠেছিলেন আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। দীর্ঘ এই পথচলায় র‌্যাঙ্কিং শীর্ষে সবচেয়ে বেশি সময় জ্বলজ্বল করেছে তার নামই। এরপরও ক্রিকেট বিশ্বের কুলীন জগতে গ্রহনযোগ্যতা হয়তো কিছুটা কম ছিল। বিশ্বকাপে নিজের আগের তিন আসরে মোটামুটি পারফর্ম করলেও তার মতো একজনের জন্য পারফরম্যান্স ছিল বেমানান। এবার পুষিয়ে দিয়েছেন সব।

বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই আইপিএল চলার সময় নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন ফিটনেস নিয়ে, তেমনি ঝালাই করেছেন স্কিলও। বিশেষ করে, ব্যাটিংয়ে তার সামর্থ্যের যে জায়গার পুরোটা মিলছে না বলে ছিল আক্ষেপ। কিন্তু এবার ব্যাট হাতেই বাজিমাত করেছেন সাকিব। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অনেকে চমকে গেলেও তিনি সাকিব নিজে অবশ্য অবাক নন। বরং নিজের নৈপুণ্যে তিনি তৃপ্ত।

“নাহ, নিজেকে চমকে দেইনি (নিজের পারফরম্যান্সে)। কারণ, আমি জানি আমি কি চিন্তা করে এসেছিলাম। এটা জানতাম যে, হলে সবচেয়ে সেরা যেটি হতে পারে, সেটিই হয়েছে।”

“ব্যক্তিগত দিক থেকে খুবই ভালো। খুবই খুশি। যে ধরনের মন-মানসিকতা নিয়ে এসেছিলাম, যে ধরনের ইচ্ছ ছিল, যেমন তাগিদ ছিল, সেদিক থেকে সন্তুষ্ট।”

গত আইপিএল চলার সময় ফিটনেস ও স্কিল নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে নিজেকে দারুণ ফিট করে তুলেছেন সাকিব। সাকিবের অসাধারণ পারফরম্যান্সের পেছনে বড় প্রভাবক ছিল ফিটনেসে উন্নতি।

প্রস্তুতি ভালো ছিল বলেই নিজেকে, সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা ছিল সাকিবের। আগের তিনটি আসরে প্রতিবারই প্রথম ম্যাচে করেছেন ফিফটি। পরে ধরে রাখতে পারেননি সেই ধারাবাহিকতা।

“প্রথম ম্যাচ থেকেই ভালো কিছু হবে বলে মনে হচ্ছিল। আগের প্রতিটি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রান ছিল। কিন্তু পরে আর সেভাবে করতে পারিনি। ওটারও একটা তাগিদ ছিল মোমেন্টাম পাওয়ার পর যেন সেটা ধরে রাখতে পারি।”