আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় সাকিবকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। ওজন অনেক কমিয়ে হয়ে উঠেছেন একদম ছিপছিপে, চেহারায় ফিরে এসেছিল যেন কৈশোরের ছাপ। আইপিএলে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি এই মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। সময়টা কাজে লাগিয়েছেন ফিটনেসের উন্নতি করতে। পরে দেশ থেকে শৈশবের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে ডেকে নিয়েছিলেন আলাদা করে স্কিল ট্রেনিং করতে।
সেই ট্রেনিং সাকিবকে সাহায্য করেছে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে। এবারের বিশ্বকাপে বেশ কিছু রেকর্ড গড়ে ব্যাট হাতে ৬০৬ রান করেছেন সাকিব। বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের নজির নেই আর। তবে সতীর্থদের খুব বেশি কারও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সও পাননি সাকিব। বাংলাদেশ দল তাই ছিটকে গেছে সেমি-ফাইনালের আগে।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হওয়ার পরদিন সাকিবকে মনে করিয়ে দেওয়া হলো সেই প্রতিশ্রুতির কথা, খুলে বলবেন কিভাবে অনুভব করলেন ‘কিক’। তবে চওড়া হাসিতে সাকিব জানিয়ে দিলেন, খোলাসার সময় আসেনি এখনও।
“কিছু জিনিস রহস্য থাকা ভালো। এটিও রহস্য থাকুক। নইলে কিকটা হারিয়ে যেতে পারে।”
‘তবে কি কিকটা জানতে তার ক্যারিয়ার শেষের অপেক্ষা করতে হবে?’ রসিকতার উত্তরে সাকিবের দার্শনিক উত্তর, ‘নাহ, কোনোদিন বলেও দিতে পারি। কে জানে কী আছে সামনে...।”
সাকিবের তাড়না নিশ্চিতভাবেই হারাতে দেখতে চাইবেন না বাংলাদেশের কেউ। তাই প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য জোর করা হলো না।
তবে কারণ না বললেও সাকিব দারুণ তৃপ্ত সময়মতো সেই তাড়না অনুভব করায়।
“বলা মুশকিল কি কারণে মনে হয়েছে (এই বিশ্বকাপে ভালো করার তাগিদ), কিন্তু মনে হয়েছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো হয়েছে যে বিশ্বকাপে আসার আগে এটা মনে হয়েছে এবং ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আসতে পেরেছি।”