আফ্রিদির আগমনী বার্তা

কিশোর বয়সেই নজর কেড়েছিলেন গতি ও দারুণ নিয়ন্ত্রণ দিয়ে। ১৮ বছর বয়সে তিন সংস্করণে হয়ে যায় আন্তর্জাতিক অভিষেক। বিশ্বকাপে দলের সবশেষ ম্যাচে দেখালেন নিজের সামর্থ্যের ঝলক। বাংলাদেশের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2019, 06:53 PM
Updated : 5 July 2019, 06:53 PM

লর্ডসে শুক্রবার বাংলাদেশকে ৯৪ রানে হারায় পাকিস্তান। এতে সবচেয়ে বড় অবদান আফ্রিদির। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার। বিশ্বকাপে প্রথম ও ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নেওয়ার সময় জানান, কাটারে মুস্তাফিজুর রহমানকে সাফল্য পেতে দেখে তিনিও এই অস্ত্র ব্যবহার করে সফল হয়েছেন।

“এই পারফরম্যান্সের জন্য আমি খুশি। এটা আমার, আমার পরিবার, পাকিস্তানের সবার জন্য বিশেষ এক অনুভূতি। উইকেট মন্থর ছিল। প্রথম ইনিংসে কাটার ব্যবহার করে মুস্তাফিজ ভালো বোলিং করেছিল। সেটা দেখে আমিও কাটার ব্যবহার করার চিন্তা করি।”

ম্যাচ জুড়ে ভালো লাইন, লেংথে বোলিং করেছেন ১৯ বছর বয়সী আফ্রিদি। গতি পরিবর্তনে ছিলেন দারুণ কৌশলী। তার স্লোয়ার বুঝতে না পেরে আউট হন তামিম ইকবাল, লিটন দাস। বাড়তি গতির জন্য কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরেন সাকিব আল হাসান। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে।

দারুণ এক ইয়র্কারে মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নেন ৫ উইকেট। আরেকটি চমৎকার ইয়র্কারে মুস্তাফিজকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন আফ্রিদি। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করে পাকিস্তান।

টুর্নামেন্টের শুরুতে একাদশের বাইরে ছিলেন আফ্রিদি। হাসান আলির জায়গায় সুযোগ পেয়ে প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন অনুজ্জ্বল। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দেখান সামর্থ্যের ঝলক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ৪৭ রানে নেন ৪ উইকেট। ক্রমশ উন্নতির পথে থাকা ক্রিকেটার এবার পেলেন ৬ উইকেট।

পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার প্রিয় শিষ্যর মধ্যে দেখেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের ছায়া। সময় বলে দেবে কত দূর যাবেন আফ্রিদি। আপাতত বিশ্বকাপে দিয়ে গেলেন তার আগমনী বার্তা।