এবারের আসরের শেষ ইনিংসে পাকিস্তানের বিপক্ষে লর্ডসে মঙ্গলবার ৬৪ রান করেছেন সাকিব। ৮ ইনিংসে এবার এটি তার পঞ্চম ফিফটি, সেঞ্চুরি দুটি। এক বিশ্বকাপে সাতটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস আগে খেলেছেন কেবল টেন্ডুলকার।
২০০৩ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ৬টি ফিফটি ও ১ টি সেঞ্চুরি করেছিলেন টেন্ডুলকার। ওই বিশ্বকাপেই ৬৭৩ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন টেন্ডুলকার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসটিতে সেই রেকর্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত অবশ্য থামতে হয়েছে বেশ আগেই। তার মোট রান ৬০৬।
টেন্ডুলকার ও সাকিবের মাঝে অবশ্য আছেন আরেকজন। ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন করেছিলেন ৬৫৯ রান।
তবে টেন্ডুলকার ও হেইডেন, দুজনের দলই ফাইনালে খেলেছিল ওই দুই আসরে। টেন্ডুলকার পেয়েছিলেন ১১ ইনিংস, হেইডেন ১০টি। সাকিবের দল বাদ সেমি-ফাইনালের আগেই। অতিমানবীয় ফর্মের টুর্নামেন্টে তাই সাকিবকে থামতে হয়েছে ৮ ইনিংসেই।
সাকিবের গড়ও তাই ওই দুই কিংবন্তির চেয়ে বেশি। ২০০৩ আসরে টেন্ডুলকারের গড় ছিল ৬১.১৮, স্ট্রাইক রেট ৮৯.২৫। ২০০৭ বিশ্বকাপে হেইডেনের গড় ছিল ৭৩.২২, স্ট্রাইক রেট ১০১.০৭। এবার সাকিবের গড় ৮৬.৫৭, স্ট্রাইক রেট ৯৬.০৩।
রানের পাশাপাশি বিশ্বকাপে এবার ১১টি উইকেটও নিয়েছেন সাকিব যা বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। এক টুর্নামেন্টে ১০ উইকেটের পাশে ৪০০ রানও নিতে পারেননি আগে আর কোনো ক্রিকেটার।