বিশ্বকাপের আগে দেশে থেকেই মাশরাফি বলে এসেছিলেন, এটিই তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে অবসর নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে মূলত বিশ্বকাপে তার বাজে বোলিং ফর্মের কারণে। চলতি বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে কেবল ১টি উইকেট নিতে পেরেছেন বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে বোলার। শুরু থেকেই ধুঁকেছেন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে, বোলিংয়ে ছিল না ধার কিংবা তার চেনা নিয়ন্ত্রণ।
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের সেমি-ফাইনাল খেলার আশা শেষ হওয়ার পর উচ্চকিত হতে থাকে তার অবসর নিয়ে প্রশ্ন। কোচ সেদিনই বলেছিলেন, সিদ্ধান্তটি বোর্ড ও মাশরাফির। বৃহস্পতিবার লর্ডসে সংবাদ সম্মেলনেও শোনা গেল সেটিরই পুনরাবৃত্তি।
“বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে মাশরাফি নিজেই ঠিক করবে। আমি মনে করি, সবার উচিত ব্যাপারটি তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া। মিডিয়ার জন্য এটি হয় দারুণ খবর, কিন্তু তার প্রতি খানিকটা সম্মান দেখান এবং কী করবে না করবে, তাকে গুছিয়ে ভাবতে দিন।”
বিশ্বকাপের পরপরই শ্রীলঙ্কায় সপ্তাহখানেকের একটি সফর হতে পারে বাংলাদেশের। এখনও চূড়ান্ত না হলেও আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে হতে পারে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের এই সফর।
সেই সফরে কি মাশরাফিকে পাওয়ার আশা করছেন? কোচ জানালেন, দলকে প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনো কিছুর জন্য।
“ম্যাশ আমাদের নেতা। সে যদি শ্রীলঙ্কার বিমানে ওঠে, দারুণ ব্যাপার। যদি সে অন্যরকম কিছু ভাবে, সেটাও ভালো। এগিয়ে যেতে হবে। জীবন এরকমই। সে আমাদের সঙ্গে থাকলে অসাধারণ ব্যাপার। সেটিকে বিবেচনায় নিয়েই শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ জিততে হবে। সে না থাকলে এগিয়ে যেতে হবে।”
গত কিছুদিন ধরে মাশরাফির অবসর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সংবাদমাধ্যমে যে প্রবল আলোচনা-সমালোচনা, সেটি দলে প্রভাব ফেলেনি বলেই দাবি কোচের।
“এ সবের কোনো প্রভাব দলে পড়েনি। সমর্থকদের প্রবল অনুসরণ, মিডিয়া হাইপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এসবে ছেলেরা এখন মানিয়ে নিয়েছে। নানা শিরোনাম দেখে অভ্যস্ত। ওসব ওদেরকে খুব স্পর্শ করে না।”
বিশ্বকাপের পর মাশরাফি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যান বা না যান, বিশ্বকাপ তার এটিই শেষ নিশ্চিতভাবেই। শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে খেললে এটি নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপে তার শেষ ম্যাচ।
“আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্য দলগুলির মতো আমাদেরও তার মতো একজনকে ছাড়া আমাদের চলতে হবে। কাজটা সহজ নয়। তার মতো একজনের শূন্যতা পূরণ করা কঠিন হবে। তবে এগিয়ে যেতেই হবে।”