চেস্টার লি স্ট্রিটের দা রিভারসাইড ডারহামে বুধবার একপেশে ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে ১১৯ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ৯৯ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ১০৬ রানের ইনিংসে এতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন বেয়ারস্টো। ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে জয়ে ফিরিয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো জিতেছিলেন এই পুরস্কার।
“খুবই সন্তুষ্ট। আমরা জানতাম, এই ম্যাচগুলোয় আমাদের জিততেই হবে। কয়েকটা ম্যাচে আমাদের পারফরম্যান্স যথাযথ ছিল না।… নিউ জিল্যান্ড একটি উঁচুমানের দল। তাই ওদের বিপক্ষে আজ (বুধবার) আমাদের সেরাটা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কঠিন কয়েকটা সপ্তাহের পর তা করতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট।”
প্রথম দুই ওভারে স্ট্রাইক পাননি বেয়ারস্টো। তৃতীয় ওভারে টিম সাউদিকে হাঁকান দুই বাউন্ডারি। আসরে প্রথমবারের মতো খেলা নিউ জিল্যান্ডের এই অভিজ্ঞ পেসারের পরের ওভারে টানা তিন বলে তুলে নেন বাউন্ডারি। অমন শুরু পাওয়ার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি বেয়ারস্টোকে।
৪৬ বলে তুলে নেন ফিফটি। ৯৫ বলে পৌঁছান সেঞ্চুরিতে। আসরে দ্বিতীয়, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নবম। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচে তৃতীয় এই সেঞ্চুরি বড় করতে পারেননি বেয়ারস্টো। ম্যাট হেনরির দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান ১০৬ রান করে।
তার দাপুটে সেঞ্চুরিতে লড়াই করার মতো রান পেয়ে ইংল্যান্ড জিতেছে অনায়াসে। গত বিশ্বকাপে ওয়েলিংটনে নিউ জিল্যান্ডের কাছে উড়ে যাওয়া দলটি ভুলতে পেরেছে সেই দুঃস্বপ্ন। ১৯৯২ আসরের পর প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনালে পৌঁছে ফেলতে পারছে স্বস্তির শ্বাস।