ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সব দলেরই মূল লক্ষ্য থাকে টপ অর্ডার দ্রুত ভেঙে দেওয়া। রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলিকে নিয়ে গড়া টপ অর্ডার তাদের ব্যাটিংয়ের মূল শক্তি। মিডল অর্ডারে নেই ততটা স্থিতি কিংবা অভিজ্ঞতা।
জিততে হলে বাংলাদেশকেও ছোবল দিতে হবে সেই টপ অর্ডারে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নতুন বলের বোলিং ছিল একেবারেই ধারহীন।
আগের ৬ ম্যাচে কেবল দুটিতেই বাংলাদেশ প্রথম ১০ ওভারে উইকেট নিতে পেরেছে। একটি ম্যাচে কেবল শুরুতে উইকেট নিতে পেরেছেন নতুন বলের বোলার। আরেকটিতে উইকেট পেয়েছিলেন চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে আসা সাকিব।
এমনিতেও বাংলাদেশ দলে নেই খুব গতিময় বা সুইং করানোর মতো বোলার। পেসার যারা আছেন, তারাও নতুন বলে ব্যর্থ পুরোপুরি। অধিনায়ক নিজে খুব সুবিধে করতে পারেননি এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে খেলে ৬ ম্যাচে শিকার কেবল একটি। নতুন বলে সাইফ উদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমানও স্বচ্ছন্দ নন। দুজনই বোলিংয়ে আসতে চান পরে।
এত সীমাবদ্ধতার পরও আশায় বুক বাঁধছেন মাশরাফি। ভারতের বিপক্ষে জিততে নতুন বল কাজে লাগানোর বিকল্প দেখছেন না অধিনায়ক।
“যেভাবে হয়েছে, অবশ্যই আদর্শ নয়। তবে কালকের ম্যাচে যে হবে না, সেটিও বলা কঠিন। যেটা হয়নি, হয়তো কালকের ম্যাচেও হতে পারে। ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। আমি ও আমরা ইতিবাচকভাবেই ভাবছি।”
“হয়নি বলেই হবে না, এমন নয়। ঠিক থাকতে হবে। মাঠে গিয়ে চেষ্টা করতে হবে। শুরুতে দ্রুত উইকেট নেওয়া ভারতের সঙ্গে খুব জরুরি। টপ অর্ডার তাড়াতাড়ি ভেঙে দিতে না পারলে ভারত বড় রান করতে পারে।”