বিশ্বকাপে আবারও দ্যুতিময় স্টার্ক

বিশ্বকাপ এলেই যেন নিজের সেরাটা খুঁজে পান মিচেল স্টার্ক। দলের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে অবদান রেখে চলেছেন বাঁহাতি এই পেসার। তার দল অস্ট্রেলিয়াও এগিয়ে চলেছে দারুণ ছন্দে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2019, 12:38 PM
Updated : 30 June 2019, 12:38 PM

অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপের গত আসরে ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন স্টার্ক। একপেশে ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া।

এবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে  ৫ উইকেট নিয়ে আসরে নিজের উইকেট সংখ্যা ২৪ এ নিয়ে গেছেন স্টার্ক। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় সবার ওপরে আছেন বাঁহাতি এই পেসার।

প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে ২৬ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে তিনবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন স্টার্ক। এই আসরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আর ২০১৫ আসরে অকল্যান্ডে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ২৮ রানে।

দুটি বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত মাত্র ১৬ ম্যাচে ৪৬টি উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা উইকেটশিকারিদের তালিকায় এখন ছয় নম্বরে আছেন তিনি। তালিকায় সবার চেয়ে তার গড় ও স্ট্রাইক রেট ভালো, গড়ে প্রতি ১৮ বলে একটি করে উইকেট পেয়েছেন তিনি।

এখনও খেলছেন এমন বোলারদের মধ্যে বিশ্বকাপে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু লাসিথ মালিঙ্গার। ২৭ ম্যাচে ৫২ উইকেট নেওয়া লঙ্কান পেসারের গড় ২২।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৬ রানে হারের পর স্টার্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

“অন্যতম সেরা উইকেট শিকারি হিসেবে মিচেল স্টার্ক এই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল। আর টুর্নামেন্ট জুড়ে বিভিন্ন ধরনের পিচে সে তার দক্ষতা দেখিয়েছে। এই মুহূর্তে সে খুব ভালো বোলিং করছে।”

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্টার্কের দারুণ ইয়র্কারে অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের বোল্ড হওয়াটা চলতি আসরের বড় বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছে। এ ধরনের বোলিং পরিকল্পনার অংশ বলে জানিয়েছেন তিনি।

“আমার মনে হয় যে ফুলার লেংথ ও স্টাম্প সোজা বল করা, এটা আমার গেম প্ল্যানের অনেক বড় অংশ।”

তবে মাঠে এখনও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি বলে মনে করেন স্টার্ক। তাই এখনও নিজেদের উন্নতির সুযোগ দেখছেন বাঁহাতি এই পেসার।

“মাঠে ব্যাট ও বল হাতে এবং ফিল্ডিংয়ে কি করতে পারি আমরা তার আভাস দিচ্ছি। কিন্তু এখনও আমাদের উন্নতির জায়গা আছে, আর সেটাই দলটার জন্য রোমাঞ্চকর ব্যাপার।”

“এখন সেমি-ফাইনালে আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে এবং আশা করি ফাইনালে আমরা তার চেয়েও ভালো খেলতে পারব।”

দুই ম্যাচ হাতে রেখে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়া আট ম্যাচে সাতটিতে জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।