তাসমান পাড়ের দুই দেশের লড়াইয়ে ৮৬ রানে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সাত নম্বরে নেমে ৭২ বলে ১১ চারে ৭১ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলেন কেয়ারি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৪৬তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথমবারের মতো জেতেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
এমনিতে শেষের দিকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ আসে। এদিন বেশ আগে সুযোগ পেয়েছিলেন কেয়ারি। অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়ক জানালেন, হাতে প্রচুর ওভার থাকায় দেখেশুনে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
“আমরা যেমন শুরু চেয়েছিলাম, এটা তেমন ছিল না। উজি (উসমান খাওয়াজা) তখন ক্রিজে ছিল। আমার জন্য ব্যাপারটা ছিল গিয়ে কন্ডিশন বোঝা। তখন ব্যাটিংয়ের জন্য প্রচুর সময় ছিল। আমার ব্যাটিং খুবই উপভোগ করেছি।”
২৪তম ওভারে ক্রিজে গিয়েছিলেন কেয়ারি। গিয়েই শট খেলতে শুরু করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। খাওয়াজাকে নিয়ে গড়েন শতরানের জুটি। দিক হারানো অস্ট্রেলিয়া ফেরে কক্ষপথে।
খাওয়াজার সঙ্গে ১২৯ বলে গড়া ১০৭ রানের জুটিতে কেয়ারির অবদান ৭২ বলে ৭১। রান তোলেন থিতু ব্যাটসম্যানের চেয়েও দ্রুত। ৪৭ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ, তার ক্যারিয়ারের তৃতীয়। আগের দুই পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে করেছিলেন ৫৫, একবার পাকিস্তানের বিপক্ষে, অন্যবার এই আসরেই ভারতের বিপক্ষে।
উইকেটের পেছনেও অবদান রাখেন কেয়ারি। হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলরের তিনটি ক্যাচ গ্লাভসে জমান তিনি।
মূলত ওপেনার হলেও মিডল অর্ডারে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন কেয়ারি। ওয়ানডেতে রেকর্ড খুব একটা ভালো না হলেও অন্য কিপার-ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ডাক পান বিশ্বকাপ দলে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে জানান দিলেন, তাকে নিয়ে বাজি ধরে ভুল করেনি অস্ট্রেলিয়া।