প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে উজ্জ্বল ফিঞ্চ

আউট হতে পারতেন শূন্য রানে। ফিরতে পারতেন ১৫ রানে। দুইবারই ভাগ্যকে পাশে পাওয়া ওপেনার গড়ে দিলেন ম্যাচের ভাগ্য। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দারুণ জয়ে করলেন সেঞ্চুরি। দলকে সবার আগে সেমি-ফাইনালে তুলে অ্যারন ফিঞ্চ জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 07:10 PM
Updated : 25 June 2019, 07:10 PM

লন্ডনের লর্ডসে মঙ্গলবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে দলের ৬৪ রানের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের। ১১৬ বলে ১১ চার ও দুই ছক্কায় করেন ১০০ রান। এটি তার ক্যারিয়ারের পঞ্চদশ সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম।

বিশ্বকাপে তৃতীয় ও এবারের আসরে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় ফিঞ্চ জানান, ইনিংস দাঁড় করাতে শুরুতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের।

“দলের জয়ে সেঞ্চুরি করা চমৎকার একটি ব্যাপার। বল সুইং করছে এমন উইকেটে টস হেরে ব্যাট করাটা…ওকসি (ক্রিস ওকস) অসাধারণ একটি স্পেল করেছে।”

এবারের আসরটা দারুণ কাটছে ফিঞ্চের। সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই খেলেছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। এর শেষ তিনটির দুটিতে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। চলতি বছরটাই অসাধারণ কাটছে ফিঞ্চের। এই বছরের আগে ওয়ানডেতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনবার, ছয় মাসের মধ্যেই জিতলেন চারবার!

চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফিঞ্চের রেকর্ড দারুণ। ২৫ ইনিংসে ১১ বার খেলেছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। তিনবার জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ইংলিশদের বিপক্ষে তার সপ্তম সেঞ্চুরির পথটা ছিল কঠিন।

পেসারদের জন্য বেশ সহায়তা রয়েছে এমন উইকেটে শুরুতে ভুগেছেন ফিঞ্চ। ম্যাচের দ্বিতীয় বলে একটুর জন্য স্লিপে জো রুটের হাতে যায়নি তার ক্যাচ। সপ্তম ওভারে জেমস ভিন্স মুঠোয় জমাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের ক্যাচ।

ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে টানা তৃতীয় শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন ফিঞ্চ। বাঁহাতি ওপেনারের বিদায়ে ১২৩ রানের জুটি ভাঙার পর উসমান খাওয়াজার সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৬১ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ, ১১৫ বলে তিন অঙ্ক। আউট হয়ে যান ঠিক পরের বলেই।

ফিঞ্চের গড়া ভিত ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তারপরও ৭ উইকেটে করে ২৮৫ রান। সেটাকে যথেষ্ট প্রমাণ করেন জেসন বেরেনডর্ফ ও মিচেল স্টার্ক। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ষষ্ঠ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ফিরে শীর্ষে।