মহারণের আগে ক্রিকেটারদের খানিকটা অবসর

টিম হোটেল থেকে প্রায় এক সঙ্গেই বের হলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবাল। তবে দুজনের গন্তব্য দুই দিকে। মাশরাফি যাচ্ছেন বার্মিংহাম, তামিম লন্ডনে। লন্ডনের পথে তামিমের সঙ্গী মুস্তাফিজুর রহমানও।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিসাউথ্যাম্পটন থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 02:47 PM
Updated : 25 June 2019, 06:44 PM

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে বার্মিংহামে। মাঝে লম্বা বিরতি। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে মানসিকভাবে চাঙা হতে তাই শনিবার পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।

এই সময় দলীয় কোনো কার্যক্রম থাকবে না। কেউ চাইলে টিম হোটেলে থাকতে পারেন, কিংবা ঘুরতে যেতে পারেন যেখানে ইচ্ছে। সূচি দেখে ছুটির এই সময় ঠিক হয়েছিল বেশ আগেই।

লন্ডন বরাবরই তামিমের প্রিয় শহর। ভালো লাগে এই শহরের জীবনযাত্রা। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত নিজের পারফরম্যান্সে অতৃপ্ত ওপেনার দুই দিনের জন্য যাচ্ছেন ভালো লাগার শহরে। দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার।

তামিমের সঙ্গেই ট্রেনে লন্ডনের যাত্রী মুস্তাফিজ। তবে গিয়ে বাঁহাতি পেসার সময় কাটাবেন নিজের মতো করে। সাকিবও স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে এখন লন্ডনে।

সঙ্গিনী ও ছেলেকে নিয়ে আলাদা গাড়িতে লন্ডন যাচ্ছেন কোর্টনি ওয়ালশ। নিজের ছেলেকে পাশে নিয়ে শুভকামনা জানালেন বাংলাদেশ দলে যাকে ছেলের মতো দেখেন, সেই মুস্তাফিজকে, “হ্যাপি ভ্যাকেশন মাই সান...সি ইউ সুন।”

লন্ডন বা এ রকম বড় শহরে ছুটি কাটানো আবার খুব একটা পছন্দ নয় মাশরাফির। দলের সঙ্গে বার্মিংহাম যাচ্ছেন অধিনায়ক। সেখান থেকে যাবেন শহর থেকে দূরের এক গ্রামে। স্ত্রী, দুই সন্তান, আর ছোট ভাই হবেন সঙ্গী। সময় কাটাবেন প্রকৃতির কাছে নির্জনতায়।

ব্রিস্টলে বন্ধুর কাছে যাওয়ার কথা মোহাম্মদ মিঠুনের। আবু জায়েদের যাওয়ার কথা লন্ডনে।

মাহমুদউল্লাহর আপাতত ঘুরে বেড়ানোর জো নেই। কাফ মাসলে চোট পাওয়া ক্রিকেটার হোটেল থেকে টিম বাসে উঠলেন ক্রাচে ভর করে হেঁটে। বার্মিংহামেই থাকতে হবে তাকে বিশ্রামে। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে বার্মিংহামের যাত্রী মুশফিকুর রহিমও। তবে তার কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা, জানা যায়নি।

বিশ্বকাপের মাঝেও ক্রিকেটারদের এই ছুটি কেন জরুরি, সেটি ব্যাখ্যা করলেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ।

“যেহেতু অনেক লম্বা বিরতি আছে, একটু ছুটি ছেলেদের প্রাপ্য। খুবই ক্লান্তিকর একটা টুর্নামেন্ট চলছে। টানা খেলা, অনুশীলন। মানসিক চাপ অনেক। আমরা চাই ছেলেরা কয়েক দিন একটু নিজেদের মতো থাকুক। ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকুক।”

“বড় দুটি ম্যাচ আছে সামনে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ। আমরা চাই ছেলেরা যেন যতটা সম্ভব নির্ভার থাকে। যতটা সম্ভব মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকে। আশা করি ছুটি শেষে যখন ফিরবে, ম্যাচ দুটির জন্য মানসিকভাবে শতভাগ তৈরি থাকবে। ছোটখাটো চোট সমস্যা যাদের আছে, আশা করি সেটাও কেটে যাবে।”

সৌম্য সরকার টিম বাসেই যাচ্ছেন বার্মিংহামে। যাওয়ার আগে জানালেন, মানসিকভাবে তাদের ফুরফুরে হয়ে উঠতে সাহায্য করবে এই ছুটি।

“সবশেষ ম্যাচটি ভালো ছিল, ভালোভাবে জিতেছি। সামনে আর দুটি ম্যাচ আছে প্রাথমিক পর্বে। এখন কয়েক দিনের ছুটি আছে। সবাই মানসিকভাবে তারতাজা ও চাঙা হয়ে ফিরব আশা করি। সবাই নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আশা করি শেষ দুই ম্যাচ জিতব।”