পাঁচ বছর পর ম্যাচ সেরা মালিঙ্গা

বিশ্বকাপ দলে থাকতে কত কিছুই না করতে হয়েছিল লাসিথ মালিঙ্গাকে। আইপিএলের মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টে। তারপর মিলেছে জায়গা। সেই মালিঙ্গাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গড়ে দিলেন ব্যবধান। জাদুকরী বোলিংয়ে জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2019, 07:11 PM
Updated : 21 June 2019, 10:09 PM

লিডসের হেডিংলিতে শুক্রবার লঙ্কানদের ২০ রানের জয়ের নায়ক মালিঙ্গা। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সব আসর মিলিয়ে তৃতীয়বার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ২০০৭ ও ২০১১ আসরে জিতেছিলেন একবার করে।
 
ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে অষ্টমবার জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এর আগে সবশেষ জিতেছিল পাঁচ বছর আগে, ২০১৪ সালে। 
 
চোট আর ফর্ম মিলিয়ে মাঝে কিছু দিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা ৩৫ বছর বয়সী এই বোলার এখনও লঙ্কানদের বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলের প্রথম জয়েও রেখেছিলেন দারুণ অবদান। ৩৯ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
 
২৩২ রান তাড়ায় বেন স্টোকস আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ইংল্যান্ডের। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় মালিঙ্গা জানান, ইংলিশ অলরাউন্ডার টিকে থাকলেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তারা।
 
“আমরা জানি স্টোকস কত ভালো। আমরা জানি, সে কতটা জোরে মারতে পারে। তবে আমরা নিজেদের পরিকল্পনায় অটল ছিলাম। স্টক বলগুলোই সে সময় করেছি আর এভাবেই জয় তুলে নিয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল লাইন, লেংথ ঠিক রাখা এবং স্লোয়ার আর বাউন্সারের বৈচিত্র্য ব্যবহার করা।” 
 
ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াইয়ের জন্য যে শুরু দরকার ছিল সেটিই এনে দেন মালিঙ্গা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করেন জনি বেয়ারস্টোকে।
 
দারুণ পরিকল্পনা করে ফাঁদে ফেলেন আরেক ওপেনার জেমস ভিন্সকে। ড্রাইভ করানোর চেষ্টায় করেন টানা চারটি হাফ ভলি। এর দুটি থেকে আসে বাউন্ডারি। তবে শেষ হাসি হাসেন মালিঙ্গাই। স্লিপে ধরা পড়েন ভিন্স।

স্টোকসের সঙ্গে জো রুটের জমে যাওয়া জুটি ভাঙতে ৩১তম ওভারে মালিঙ্গাকে আক্রমণে ফেরান দিমুথ করুনারত্নে। অধিনায়ককে হতাশ করেননি অভিজ্ঞ পেসার। রুটকে কট বিহাইন্ড করে ভাঙেন ৫৪ রানের জুটি। সঙ্গে মাত্র চতুর্থ বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে নেন পঞ্চাশ উইকেট। 
 
এই উইকেটে অবশ্য ভাগ্যেরও একটু ছোঁয়া আছে। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে সহজেই হতো পারতো বাউন্ডারি। উল্টো আউট হয়ে ফিরেন ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ রুট। 
 
পরের উইকেটটি পরিকল্পনা ফসল। শর্ট মিড অনে ফিল্ডার এনে জস বাটলারকে ফুল লেংথে বল করছিলেন মালিঙ্গা। প্রথম বলেই একটুর জন্য ওই ফিল্ডার ধরতে পারেননি ক্যাচ। পরের বলে আসে বাউন্ডারি। তৃতীয় বলে লাইন মিস এলবিডব্লিউ হয়ে যান বিপজ্জনক বাটলার। 
 
এরপরও ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন স্টোকস। তবে মালিঙ্গার দারুণ বোলিংয়ে উজ্জীবিত শ্রীলঙ্কা নিজেদের মেলে ধরে তুলে নেয় দারুণ জয়।