পিঠের ব্যথার কারণে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি সাইফ। কাঁধের চোটের কারণে ছিলেন না মোসাদ্দেক।
অস্ট্রেলিয়া রান পাহাড়ে ওঠার পথে ১৯২ রানের জুটি গড়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ইসমান খাওয়াজা। মেহেদী হাসান মিরাজ চেষ্টা করেছেন তাদেরকে আটকে রাখতে। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানকে থিতু হতে দেননি এই দুজন। মাহমুদউল্লাহ এখনও বোলিং করার অবস্থায় নেই। অধিনায়কের মনে হচ্ছিল, আরেকজন অফ স্পিনার যদি থাকত!
“বাঁহাতি দুজন যখন ব্যাট করছিল, সাকিবকে ওরা খুব পরিকল্পনা করে খেলেছে। তিনে স্মিথ নামার কথা, সাকিবের জন্য খাওয়াজাকে নামিয়েছে। সে সিঙ্গেল নিচ্ছিল, ওয়ার্নার চার্জ করছিল। মোসাদ্দেক থাকলে কাজে লাগত। সৌম্য যদিও অনেকটা কাভার করেছে। তবে মোসাদ্দেক থাকলে, দুই পাশ থেকে দুটি অফ স্পিনার চালাতে পারলে হয়তো ক্ষতিটা কমিয়ে রাখা যেত।”
মোসাদ্দেকের জায়গায় এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। ফিল্ডিংয়ে তিনি ১০ রানে জীবন দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। পরে ওয়ার্নারকেই রান আউট করতে পারেননি ৭০ রানে। ব্যাটিংয়ে আউট হয়েছেন প্রথম বলে।
একই চিত্র সাইফের বদলির ক্ষেত্রেও। খরুচে হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ ৯ উইকেট তার। তার জায়গায় অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে মাঠে নেমে ৯ ওভারে ৮৩ রান দিয়েছেন রুবেল। মাশরাফির আশা, দ্রুতই ফিরে পাবেন সাইফকে।
“আশা করছি দ্রুত সুস্থ হবে। অবশ্যই... প্রতি ম্যাচে সে উইকেট পাচ্ছিল, প্রতি ম্যাচেই কঠিন সময়ে বল করে ব্রেক থ্রু দিয়েছে। শুরুতেও উইকেট দিয়েছে। ফর্মে থাকা কোনো বোলারকে মিস করা দলের জন্য কঠিন। ওকে অবশ্যই মিস করেছি। আশা করি পরের ম্যাচ থেকে আবার পাব ওকে।”
দুজনের কারও চোটই খুব গুরুতর মনে করা হচ্ছে না। সোমবার আফগানিস্তান ম্যাচের জন্য বিবেচনায় থাকবেন হয়তো দুজনই।