বোলিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হার

বোলারদের ব্যর্থতায় রানের পাহাড় গড়লো অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়ায় লড়াকু এক সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। সঙ্গে তামিম ইকবাল দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো ফিফটিতে ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়লো বাংলাদেশ। তবুও শেষ পর্যন্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কাছে ৪৮ রানে হেরে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2019, 09:05 AM
Updated : 20 June 2019, 06:15 PM

বাংলাদেশের ৪৮ রানের হার

৪০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল কেবল ৫ রানে। শেষ ১০ ওভারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা যে ঝড় তুলেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল দিতে পারেনি তার জবাব। মুশফিকুর রহিমের দারুণ সেঞ্চুরির পরও তাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কাছে হারল ৪৮ রানে। 

ম্যাচের শেষ বলে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন স্টয়নিস। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে থামে ৩৩৩ রানে। ওয়ানডেতে এটাই তাদের সর্বোচ্চ। এই আসরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৩০ ছিল আগের সেরা। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ফিঞ্চ ৫৩, ওয়ার্নার ১৬৬, খাওয়াজা ৮৯, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টয়নিস ১৭*, স্মিথ ১, কেয়ারি ১১*; মাশরাফি ৮-০-৫৬-০, মুস্তাফিজ ৯-০-৬৯-১, সাকিব ৬-০-৫০-০, রুবেল ৯-০-৮৩-০, মিরাজ ১০-০-৫৯-০, সৌম্য ৮-০-৫৮-৩)।

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/৮ (তামিম ৬২, সৌম্য ১০, সাকিব ৪১, মুশফিক ১০২*, লিটন ২০, মাহমুদউল্লাহ ৬৯, সাব্বির ০, মিরাজ ৬, মাশরাফি ৬; স্টার্ক ১০-০-৫৫-২, কামিন্স ১০-০-৬৫-০, ম্যাক্সওয়েল ৩-০-২৫-০, কোল্টার-নাইল ১০-০-৫৮-২, স্টয়নিস ৮-০-৫৪-২, জ্যাম্পা ৯-০-৬৮-১)।

ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার

মুশফিকের লড়াকু সেঞ্চুরি

শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডেতে তার সপ্তম, বিশ্বকাপে প্রথম।

৫৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করা মুশফিক ৯৫ বলে তিন অঙ্কে যান। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে নয়টি চার ও একটি ছক্কা।

দ্রুত ফিরলেন মিরাজ

দারুণ এক ডেলিভারিতে মেহেদি হাসান মিরাজকে ফেরালেন মিচেল স্টার্ক।

বাঁহাতি পেসারের গতিময় ফুল লেংথ বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি মিরাজ। মিড অনে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান ডেভিড ওয়ার্নার।

৭ বলে ৬ রান করেন মিরাজ। ৪৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩২৬/৭। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মাশরাফি বিন মুর্তজা।

সাব্বিরের গোল্ডেন ডাক

এবারের আসরে প্রথমবারের মতো খেলা সাব্বির রহমান আউট হলেন প্রথম বলেই। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিলেন ন্যাথান কোল্টার-নাইল।

অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল থার্ড ম্যানের দিকে খেলতে চেয়েছিলেন সাব্বির। ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প এলোমেলো করে দেয় বল।

টানা দুই বলে উইকেট নেওয়া কোল্টার-নাইলের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।  ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩০৪/৬। মুশফিকুর রহিম ৮৪ ও মিরাজ ১ রানে ব্যাট করছেন।

ঝড় তুলে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ

বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত এগোনো মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে শতরানের জুটি ভাঙলেন ন্যাথান কোল্টার-নাইল।

ডানহাতি পেসারের বাউন্সারে পুল করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টাইমিং করতে পারেননি। ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন প্যাট কামিন্সের হাতে। ভাঙে ১২৭ রানের জুটি। ৫০ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

দাপুটে ব্যাটিংয়ে মাহমুদউল্লাহর ফিফটি

অ্যাডাম জ্যাম্পাকে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ডানা মেলা মাহমুদউল্লাহ তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তার ক্যারিয়ারে ২১তম ও এবারের আসরে প্রথম।

ন্যাথান কোল্টার-নাইলকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪১ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মাহমুদউল্লাহ। পরের বলে তুলে নেন আরেকটি বাউন্ডারি।

৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৮৯/৪। মুশফিকুর রহিম ৮১ ও মাহমুদউল্লাহ ৫৮ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে তাদের চাই ৯৩ রান।

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর শতরানের জুটি

রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। বড় শট খেলছেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৮৩ বলে গড়েছেন শতরানের রানের জুটি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় শতরানের জুটি।

৫০ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল পঞ্চম উইকেট জুটির রান। পরের পঞ্চাশ এলো ৩৩ বলে।

৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৭৭/৪। মুশফিক ৭৯ ও মাহমুদউল্লাহ ৪৮ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৭ ওভারে ১০৫ রান চাই তাদের।    

মুশফিকের ফিফটি

শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে ব্যাটিং করা মুশফিকুর রহিম তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তার ক্যারিয়ারে ৩৫তম, এবারের আসরে দ্বিতীয়।

৫৪ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মুশফিক। তাকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে জুটি।

৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০৮/৪। একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ারও রানও ছিল ২০৮। তবে তারা উইকেট হারিয়েছিল কেবল একটি। মুশফিক ৫২ ও মাহমুদউল্লাহ ১৫ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১৫ ওভারে ১৭৪ রান চাই তাদের।  

লিটনকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

ক্রিজে যাওয়ার পর প্রথম বল আঘাত হেনেছিল হেলমেটে। তাতে টলে না গিয়ে শট খেলছিলেন লিটন দাস। তাকে এলবিডব্লিউ করে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে দিলেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। 

গুগলি বুঝতে পারেননি লিটন। জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নিয়েছিলেন লিটন। তবে সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি।

১৭ বলে তিন চারে ২০ রান করে ফিরেন লিটন। ৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৭৭/৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। জয়ের জন্য শেষ ২০ ওভারে ২০৫ রান চাই তাদের।

তামিমকে ফেরালেন স্টার্ক

তামিম ইকবালকে বোল্ড করে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় জুটি ভাঙলেন মিচেল স্টার্ক।

অফ স্টাম্পের একটু বাইরের দ্রুতগতির বল থার্ড ম্যান দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ৪২ রানের জুটি।

৭৪ বলে ছয়টি চারে ৬২ রান করে ফিরেন তামিম। প্রথম বলে স্টার্কের বাউন্সার আঘাত হানে লিটন দাসের হেলমেটে। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে রানের খাতা খোলেন তিনি।

২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৬/৩। মুশফিক ২৪ ও লিটন ১ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ২৫ ওভারে আরও ২৩৬ রান প্রয়োজন তাদের।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তামিমের ফিফটি

একটু মন্থর শুরু করা তামিম ইকবাল ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছেন রানের গতি। ৬৫ বলে ৫ চারে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ওয়ানডেতে তার ৪৭তম, এবারের আসরে প্রথম।

মার্কাস স্টয়নিসকে পুল করে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জমে উঠছে তার জুটি।

২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২০/২। তামিম ৫১ ও মুশফিক ১১ রানে ব্যাট করছেন।

সাকিবের বিদায়ে ভাঙল জুটি

দারুণ এক স্লোয়ারে সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙলেন মার্কাস স্টয়নিস।

টানা ছয় ম্যাচে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেলা হল না সাকিবের। স্টয়নিসের বল লেগে ঘোরাতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। স্লোয়ার বলে আগেভাগেই শট খেলায় টাইমিং করতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে মিড অফে সহজ ক্যাচ যায় ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে। ভাঙে ৭৯ রানের জুটি।

চারটি চারে ৪১ বলে ৪১ রান করেন সাকিব। ১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৫/২। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

তামিম-সাকিব জুটিতে পঞ্চাশ

ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে শট খেলছেন সাকিব আল হাসান। সাবধানে এগোচ্ছেন তামিম ইকবাল। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৫৪ বলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। ওয়ানডেতে তাদের চতুর্দশ ফিফটি জুটি।

ওয়ানডেতে টানা পাঁচটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা সাকিবের মনোযোগ রানের গতি বাড়ানোর দিকে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওভারে টানা দুই বলে হাঁকিয়েছেন বাউন্ডারি। সিঙ্গেলসের ওপর খেলছেন তামিম।

১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৫/১। তামিম ২৭ ও সাকিব ৩১ রানে ব্যাট করছেন।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৫৩/১

শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন তামিম ইকবাল। ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান খেলছেন নিজের মতো করে। ধীরে ধীরে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৩/১। তামিম ২৩ ও সাকিব ১৩ রানে ব্যাট করছেন।

অস্ট্রেলিয়াও প্রথম পাওয়ার প্লেতে তুলেছিল ৫৩ রান। তবে পার্থক্য হল, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কোনো উইকেট হারায়নি। বাংলাদেশ হারিয়েছে সৌম্য সরকারকে।

রান আউট হয়ে ফিরলেন সৌম্য

শুরুতেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মিচেল স্টার্কের আগের ওভারে দুটি চার হাঁকানো সৌম্য সরকার ফিরে গেলেন রান আউট হয়ে।

প্যাট কামিন্সের বল মিড অনে খেলে রানের জন্য ছুটেছিলেন তামিম ইকবাল। একটু দেরিতে সাড়া দেন সৌম্য। অনেক দূর যাওয়ার পর নিজের প্রান্তে ফিরেন তামিম। কিছুটা এগিয়ে যাওয়া সৌম্য ফিরতে পারেননি। অ্যারন ফিঞ্চের সরাসরি থ্রো এলোমেলো করে স্টাম্পস।

৮ বলে দুটি চারে ১০ রান করেন সৌম্য। ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৩/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের সামনে বিশাল লক্ষ্য

ধারহীন বোলিং আর বাজে ফিল্ডিংয়ের সুবিধা দারুণভাকে কাজে লাগিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। দাপুটে ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ফিফটি করেছেন উসমান খাওয়াজা ও অ্যারন ফিঞ্চ। শেষটায় ঝড় তুলেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাতে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে অস্ট্রেলিয়া।

নিয়মিত বোলারদের ব্যর্থতার দিনে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার। এর আগে ওয়ানডেতে ৯ ইনিংসে বোলিং করে কেবল একটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। মুস্তাফিজুর রহমান ৬৯ রানে নেন ১ উইকেট। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন রুবেল হোসেন ও সাকিব আল হাসান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ফিঞ্চ ৫৩, ওয়ার্নার ১৬৬, খাওয়াজা ৮৯, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টয়নিস ১৭*, স্মিথ ১, কেয়ারি ১১*; মাশরাফি ৮-০-৫৬-০, মুস্তাফিজ ৯-০-৬৯-১, সাকিব ৬-০-৫০-০, রুবেল ৯-০-৮৩-০, মিরাজ ১০-০-৫৯-০, সৌম্য ৮-০-৫৮-৩)।

অস্ট্রেলিয়ার বিশাল সংগ্রহ

ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি এবং উসমান খাওয়াজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ফিফটিতে বিশাল সংগ্রহ গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৪৯তম ওভার শেষে বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় তাদের স্কোর ৩৬৮/৫। অ্যালেক্স কেয়ারি ৯ ও মার্কাস স্টয়নিস ৬ রানে ব্যাট করছেন।    

মুস্তাফিজের শিকার স্মিথ

বোলিংয়ে ফিরে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এলবিডব্লিউ করে ফেরালেন স্টিভেন স্মিথকে।

নিচু ফুলটস বল ব্যাটে খেলতে পারেননি স্মিথ। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে পাল্টায়নি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।

২ বলে ১ রান করেন স্মিথ। ৪৮ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৩৫৯/৫। ক্রিজে মার্কাস স্টয়নিসের সঙ্গী অ্যালেক্স কেয়ারি।

সৌম্যর তৃতীয় শিকার খাওয়াজা

চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন সৌম্য সরকার। উসমান খাওয়াজাকে কট বিহাইন্ড করে তৃতীয় উইকেট পেলেন এই অনিয়মিত মিডিয়াম পেসার।

শর্ট বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি খাওয়াজা। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে জমান মুশফিকুর রহিম। সৌম্যর ওভারে দুটি উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে রান আউট হয়ে ফিরেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

৭২ বলে ১০ চারে ৮৯ রান করেন খাওয়াজা। ৪৭ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৩৫৪/৪। ক্রিজে মার্কাস স্টয়নিসের সঙ্গী স্টিভেন স্মিথ।

রান আউট ম্যাক্সওয়েল

ক্রিজে গিয়েই ঝড় তোলা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করে থামালেন রুবেল হোসেন।  

রুবেলের আগের ওভার থেকে এসেছিল ২৫ রান। এতে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ম্যাক্সওয়েলের। সৌম্য সরকারের পরের ওভারের প্রথম বলে হাঁকিয়েছিলেন ছক্কা। দ্বিতীয় বল ফাইন লেগে পাঠিয়ে ছুটেছিলেন সিঙ্গেলের জন্য। মাঝ পথে তাকে থামিয়ে দেন খাওয়াজা। সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প এলোমেলো করে দেন রুবেল।

১০ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৩২ রান করে ফিরেন ম্যাক্সওয়েল।  

ওয়ার্নার ঝড় থামালেন সৌম্য

আগের ৫ ওভার থেকে এসেছে ৭২ রান। সবাই রান বিলিয়ে যাচ্ছে দেখে সৌম্য সরকারকে আক্রমণে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আবারও তা কাজে লেগে গেল। ঝড় তোলা ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দিলেন সৌম্য।

অনিয়মিত ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের বলে আপারকাট করেছিলেন ওয়ার্নার। কম গতির বলে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট থার্ড ম্যানে রুবেল হোসেনের কাছে। ভাঙে ১৯২ রানের জুটি।

১৪৭ বলে ১৪ চার ও পাঁচ ছক্কায় ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। ৪৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৩২১/২। ক্রিজে উসমান খাওয়াজার সঙ্গী গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। 

অস্ট্রেলিয়ার তিনশ

বোলারদের ওপর চড়াও দ্রুত রান তুলছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজা। ৪৪ ওভারে তিনশ ছাড়িয়ে বিশাল সংগ্রহের পথে ছুটছে অস্ট্রেলিয়া।

৪৪ ওভার শেষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের স্কোর ৩০৯/১। সবশেষ ৫ ওভারে ৭২ রান তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নার ও খাওয়াজা। কোথায় বল ফেলবেন তা যেন খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। ওয়ার্নার ১৬২ ও খাওয়াজা ৮৩ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সেরা জুটি

ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজাকে থামানোর পথই পাচ্ছে না বাংলাদেশ। দলকে বিশাল সংগ্রহের পথে নিয়ে যাওয়া দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ওয়ানডেতে উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা জুটি।

৪৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২৯৬/১। জুটির রান ১৭৫। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের আগের সেরা জুটি ছিল ২০১১ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় উইকেটেই রিকি পন্টিং ও শেন ওয়াটসনের অবিচ্ছিন্ন ১৭০।

রেকর্ড জুটি গড়ার পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো দেড়শ ছাড়িয়েছেন ওয়ার্নার।

দ্বিতীয় উইকেটেও শতরানের জুটি

টানা দুটি উইকেটে শতরানের জুটি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গী ছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ, দ্বিতীয় উইকেটে সঙ্গী উসমান খাওয়াজা। 

শুরুর জুটির মতো দ্বিতীয় উইকেট জুটির রান তিন অঙ্কে গেছে ৯৯ বলে। রুবেল হোসেনের করা ওভারে চারটি চারে ৫০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেছেন খাওয়াজা।

৩৮ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২৩০/১। ওয়ার্নার ১১৯ ও খাওয়াজা ৫০ রানে ব্যাট করছেন।

অস্ট্রেলিয়ার দুইশ

শতরানের উদ্বোধনী জুটির পর দ্বিতীয় উইকেটেও ভালো জুটি পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ডেভিড ওয়ার্নার। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন উসমান খাওয়াজা। ৩৫তম ওভারে দুইশ স্পর্শ করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ছুটছে বড় সংগ্রহের পথে।

৩৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২০৮/১। ওয়ার্নার ১০৮ ও খাওয়াজা ৪০ রানে ব্যাট করছেন। সপ্তদশ ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের স্কোর।

ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি

এক ছন্দে এগিয়ে চলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৫৫ বলে করেছিলেন ফিফটি, ১১০ বলে করলেন সেঞ্চুরি। এবারের আসরে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ওয়ানডেতে ষোড়শ।

তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে সাতটি চার ও দুটি ছক্কা এসেছে ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে। বাঁহাতি এই ওপেনার ১০ রানে জীবন পেয়েছিলেন সাব্বির রহমানের হাতে।

৩৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১৯০/১। ওয়ার্নার ১০১ ও উসমান খাওয়াজা ২৯ রানে ব্যাট করছেন।

শতরানের জুটি ভাঙলেন সৌম্য

এবারের আসরে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানলেন সৌম্য সরকার। অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়ে এই মিডিয়াম পেসার ভাঙলেন ১২১ রানের জুটি।

কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না দেখে ২১তম ওভারে সৌম্যকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক। মিডিয়াম পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বাড়তি লাফানো বলে চমকে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন ফিঞ্চ।

৫১ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন অধিনায়ক। ২১ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১২১/১। ক্রিজে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গী উসমান খাওয়াজা।  

দাপুটে ব্যাটিংয়ে ফিঞ্চের ফিফটি

দারুণ ছন্দে থাকা অ্যারন ফিঞ্চ শুরু থেকে খেলছেন আস্থার সঙ্গে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো ডানহাতি এই ওপেনার তুলে নিয়েছেন ফিফটি।

৪৭ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।

২০ ওভার শেষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের স্কোর ১১৭/০। ফিঞ্চ ৫২ ও ডেভিড ওয়ার্নার ৫৯ রানে ব্যাট করছেন।

ওয়ার্নার-ফিঞ্চ জুটিতে একশ

রানে গতি বাড়াতে শুরু করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর চড়াও হয়ে সপ্তদশ ওভারে দলের রান নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কে।

১৭ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১০১/০। ওয়ার্নার ৫৪ ও ফিঞ্চ ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।

এবারের আসরে প্রথমবারের মতো খেলা রুবেল হোসেন ৩ ওভারে দিয়েছেন ১১ রান। সাকিবের ৩ ওভার থেকে এসেছে ২৪ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ একমাত্র ওভারে দিয়েছেন ১২ রান।

ওয়ার্নারের ফিফটি

জীবন পাওয়ার পর থেকে দারুণ ব্যাটিং করছেন ডেভিড ওয়ার্নার। মন্থর শুরুর পর বাড়িয়েছেন রানের গতি। সাকিব আল হাসানের এক ওভারে হাঁকিয়েছেন ছক্কা ও চার।

৫৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ওয়ার্নার। ১০ রানে জীবন পাওয়া বাঁহাতি এই ওপেনারের ওয়ানডেতে এটি ২০তম ফিফটি।

১৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৮৬/০। ওয়ার্নার ৫০ ও অ্যারন ফিঞ্চ ৩৩ রানে ব্যাট করছেন।

ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

প্রথম পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়া ৫৩/০

প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ভাঙতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার শুরুর জুটি। বিশ্বকাপে ষষ্ঠ ম্যাচে পঞ্চম পঞ্চাশ ছোঁয়া উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ।

১০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৫৩/০। ওয়ার্নার ২৬ ও অধিনায়ক ফিঞ্চ ২৪ রানে ব্যাট করছেন।

একটি সুযোগ এসেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার ওভারে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে কঠিন সেই সুযোগ নিতে পারেননি সাব্বির রহমান।

শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফিঞ্চ। শুরুতে টাইমিং পেতে সংগ্রাম করা ওয়ার্নার ধীরে ধীরে ফিরছেন স্বরূপে। ৫৭ বলে তারা তুলে নিয়েছেন জুটির পঞ্চাশ।

ওয়ার্নারকে জীবন দিলেন সাব্বির

টাইমিং করতে সংগ্রাম করা ডেভিড ওয়ার্নারকে দ্রুত ফেরানোর একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল সাব্বির রহমানের ব্যর্থতায়। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ ছেড়েছেন দলের সেরা ফিল্ডার।   

অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ঠিক মতো কাট করতে পারেননি ওয়ার্নার। নিচু ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি সাব্বির। সেই সময় ১০ রানে ব্যাট করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার।

৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২৭/০। ওয়ার্নার ১২ ও অ্যারন ফিঞ্চ ১৩ রানে ব্যাট করছেন।

অস্ট্রেলিয়া একাদশে স্টয়নিস, কোল্টার-নাইল ও জ্যাম্পা
 
তিনটি পরিবর্তন এসেছে অস্ট্রেলিয়া দলে। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। পেসার ন্যাথান কোল্টার-নাইল ও লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পাকে একাদশে ফিরিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান শন মার্শ এবং দুই পেসার জেসন বেহরেনডর্ফ ও কেন রিচার্ডসন।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, উসমান খাওয়াজা, মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যালেক্স কেয়ারি, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, ন্যাথান কোল্টার-নাইল, অ্যাডাম জ্যাম্পা।

একাদশে রুবেল-সাব্বির
 
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ পাচ্ছে না ডেথ বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেনও খেলছেন না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। প্রথমবারের মতো এবারের আসরে খেলছেন পেসার রুবেল হোসেন ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান।

টসের সময় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দলে এই দুই পরিবর্তনের কথা জানান।

“দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাইফ উদ্দিন পিঠে চোট পেয়েছে। ওর জায়গায় রুবেল এসেছে। মোসাদ্দেক সবশেষ ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়েছে। ওর জায়গায় সাব্বির দলে এসেছে।”

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।
 
টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
 
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন তিনিও।

“এটা ভালো উইকেট। আউটফিল্ড এই মুহূর্তে মন্থর মনে হচ্ছে, শেষের দিকে হয়তো একটু ফাস্টও হতে পারে। আমরা শেষ কয়েকটি ম্যাচে রান তাড়ায় ভালো করেছি। তাই পরে ব্যাটিংয়েও সমস্যা নেই। এখন কাজটা বোলারদের, ওদের এমন একটা রানে থামানো যেন, আমরা সেটা তাড়া করে জিততে পারি।

“ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা অস্ট্রেলিয়াকে লম্বা সময় ধরে হারাইনি তবে ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী আছে। বিশেষ করে গত ম্যাচের পর থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্রুত উইকেট নিতে হবে। খুব ভালো বোলিং করতে হবে। এরপর দেখা যাক।”

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়ের সন্ধানে

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন, এবারও অন্যতম ফেভারিট। অস্ট্রেলিয়ার এসব বাস্তবতার পাশাপাশি আছে বাংলাদেশের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাসও। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলির মধ্যে কেবল অস্ট্রেলিয়াকেই ওয়ানডেতে একাধিকবার হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ অভিযানে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর একটির মুখোমুখি হচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে বৃস্পতিবার ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায়।

কার্ডিফে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০ ম্যাচে সেটিই হয়ে আছে একমাত্র জয়। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ১৮টিতে। ২০১৭ সালে সবশেষ ম্যাচটি ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। বিশ্বকাপে খেলা দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছে বড় ব্যবধানে।