উইলিয়ামসনের ইনিংস পার্থক্য গড়ে দিয়েছে: দু প্লেসি

বিশ্বকাপ সবে পেরিয়েছে অর্ধেকটা পথ। নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরে এরই মধ্যে সেমি-ফাইনালের আশা প্রায় শেষ হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। স্বাভাবিকভাবেই এতে ভীষণ হতাশ ফাফ দু প্লেসি। প্রোটিয়া অধিনায়ক মনে করেন, খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রতিপক্ষ অধিনায়কের অসাধারণ ইনিংস পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2019, 10:14 PM
Updated : 19 June 2019, 10:14 PM

বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে বুধবার ৪ উইকেটে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচকে তারা দেখছিল কোয়ার্টার-ফাইনাল হিসেবে। আগের আসরে সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল তারা। এবারের হারের পর সেই ম্যাচের কথা মনে পড়ছে দু প্লেসির।

মাঠ ভেজা থাকায় এজবাস্টনে খেলা শুরু হয় দেরিতে। টস হারায় নিতে হয় আগে ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ। আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। কন্ডিশন ছিল পেসারদের জন্য দারুণ সহায়ক। নিউ জিল্যান্ডের পেসাররা এই সুবিধা নিয়েছে পুরোপুরি। সুইং করিয়ে পরীক্ষা নিয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের।

হাশিম আমলা ও রাসি ফন ডার ডাসেনের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ২৪২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক মনে করেন, আর ২০ রান বেশি করতে পারলে খেলার চিত্রটা ভিন্ন হতে পারতো।

“খুব হতাশ। … আজকে যেমন খেলেছি তাতে কাউকে দোষ দিতে পারি না। আমরা আমাদের সর্বস্ব দিয়েছি। সম্ভবত ২০ রান কম করেছি। তবে এটা খুব কঠিন উইকেট ছিল।”

“মাঠে ছেলেরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে। আমি ওদের কাছ থেকে এটাই চাইতে পারি। কেন অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছে। সম্ভবত এটাই ছিল দুই দলের মধ্যে পার্থক্য। স্রেফ একজন ওদের জিতিয়ে দিল।”

১০৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। ৭৬ রানে কট বিহাইন্ড হতে পারতেন। তবে ইমরান তাহিরের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে এলেও ক্যাচ যে হয়েছে বুঝতে পারেননি কিপার কুইন্টন ডি কক। দু প্লেসি অবশ্য মনে করেন, ওই মুহূর্তটা ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়নি।

“না, ব্যাপারটা আমরা জানতাম না। আমার মনে হয়, সেই সময়ে আমি লং অনে ছিলাম। আর কুইনি (ডি কক) ছিল ঘটনার সবচেয়ে কাছে। এই ধরনের ক্ষেত্রে আমি তার দিকেই তাকিয়ে থাকি। … আমার মনে হয় এটা স্রেফ একটা ভুল।”

“কিছুক্ষণ আগেই আমি এটা প্রথম শুনলাম। তখন কেনও ছিল পাশে। জানালো সেও টের পায়নি। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নিতো। কিন্তু এটা সেই মুহূর্ত নয় যেখানে জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয়েছে। আমার মনে হয়, আমরা ২০ রান কম করেছি। একটা বা দুইটা খুব কঠিন হাফ-চান্স হাতছাড়া করেছি।”

২০০৩ আসরের আগে ও পরে কখনও বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্ব থেকে বিদায় নেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার ছয় ম্যাচের মাত্র একটি জেতা দলটির সামনে ১৬ বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তির শঙ্কা। দু প্লেসি এবারের ব্যর্থতার জন্য দায় নিজেদের কাঁধে নিলেন।

“আমি দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকদের শুধু এটুকুই বলতে পারি, ছেলেরা লড়াই করেছে। আমি জানি, দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ…এই মুহূর্তে কিছুটা ক্ষুব্ধ, সেটা ঠিকও। দল হিসেবে আমরা এটা মেনে নিচ্ছি। আমি যেমন বলেছি, দল হিসেবে অন্যদের মতো এই মুহূর্তে আমরা অতোটা ভালো নই। আর এটা আমাদের ভুল। আমরা এর দায় নিচ্ছি।”