ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দাপটে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে বাংলাদেশ দল মঙ্গলবার যাচ্ছে পরের ম্যাচের শহর নটিংহ্যামে। বৃহস্পতিবার সেখানে প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে যেভাবে জিতেছে দল, সেটিই আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে দলের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ কঠিন হবে আরও অনেক। তবে বিশ্বাস বা তাড়না, কোনোটিরই কমতি নেই বাংলাদেশ দলের।
নটিংহ্যাম তামিম ইকবালের চেনা শহর। নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ২০১১ সালে। শহরটিও তার বেশ পছন্দ। ভালোলাগার পরিধি এবার আরও বাড়বে, তামিম তাকিয়ে সেই আশায়।
“জিততে পারলে খুবই ভালো লাগবে। কাজটা অনেক কঠিন, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর তুলনায় অনেক অনেক কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। বিশ্বাস রাখতে হবে আমাদের। তার পর মাঠে দেখা যাবে।”
তবে সাকিব আল হাসান জানিয়ে রেখেছেন, গত কয়েক ম্যাচে ফাস্ট বোলারদের সামলানোর পর অস্ট্রেলিয়া চ্যালেঞ্জের জন্যও দল প্রস্তুত।
“গত চার ম্যাচেই আমরা সেরাদের কাতারে থাকা ফাস্ট বোলারদের খেলেছি। সব ম্যাচেই আমাদের প্রতিপক্ষে অন্তত এমন দুইজন বোলার ছিল, যারা ১৪০ কিলোমিটার ছাড়ানো গতিতে বল করে। আমরা যথেষ্টই ভালো মানিয়ে নিয়েছি।”
“আমাদের তাই দুর্ভাবনা নেই (অস্ট্রেলিয়ার পেস নিয়ে)। আমরা ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খেলেছি। ১৪০-১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করা পেসার ছিল দুই দলেই। আমাদের স্রেফ মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রাখতে হবে। দল হিসেবে আমরা দল হিসেবে বেশ স্কিলড এবং সব চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে সামর্থ্য যথেষ্ট আছে।”
নিজেদের সামর্থ্যে সেই আস্থা আর বিশ্বাসের মন্ত্রেই টনটন থেকে নটিংহ্যামে ছুটছে বাংলাদেশের স্বপ্ন গাড়ি।