আশরাফুল ২০০৭ আসরে দুবার জিতেছিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পরের আসরে দুবার জিতে তার পাশে বসেন ইমরুল। বিশ্বকাপে নিজের ২২তম ম্যাচে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার জিতেন সাকিব। দুই ম্যাচ পর জিতলেন আবারও।
টনটনে সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়ায় ৭ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ। ৯৯ বলে ১৬ চারে অপরাজিত ১২৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে তাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সাকিব।
নবম ওভারে ক্রিজে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। শুরু থেকে করেন দাপুটে ব্যাটিং। ৪০ বলে পৌঁছান ফিফটিতে। ৮৩ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি- টানা দ্বিতীয় আর ক্যারিয়ারের নবম। লিটন দাসের সঙ্গে ১৮৯ রানের জুটিতে ৫১ বল বাকি থাকতে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।
দারুণ এই ইনিংসে বেশ কিছু অর্জন ধরা দিয়েছে সাকিবের হাতে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে করেছেন ছয় হাজার রান। শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে কম ইনিংসে আড়াইশ উইকেট ও ছয় হাজার রানের ডাবল ছুঁয়েছেন তিনি।
লিটনকে নিয়ে গড়েছেন বিশ্বকাপে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি। ওয়ানডেতে চতুর্থ উইকেটে উপহার দিয়েছেন দেশের সবচেয়ে বড় জুটি।
মাত্র চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথম চার ম্যাচে খেলেছেন চারটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। অনেক পরিশ্রম করে এবারের আসরের জন্য নিজেকে তৈরি করা সাকিব পাচ্ছেন এর ফল। সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশও।