নিজেদের রান তাড়ার নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ সোমবার হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ৩২২ রান তাড়ায় ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে ৫১ বল বাকি রেখে। গত মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে শুরু করে রান তাড়ায় বাংলাদেশের এটি পঞ্চম জয়।
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পথে চারটি ম্যাচে রান তাড়ায় জিতেছিল দল। তার তিনটিই ছিল বেশ কঠিন। বাংলাদেশ সবকটিই জিতেছে বেশ বড় ব্যবধানে। সেই ধারবাহিকতায়ই এলো বিশ্বকাপের এই জয়।
সাকিবের মতে, দলের এই সাফল্যের বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য বর্তমান কোচিং স্টাফের। শোনালেন আগের সময়ের সঙ্গে পার্থক্যও।
“আমার মনে হয়, কোচিং স্টাফদের অনেক কৃতিত্ব প্রাপ্য। আগে যেটা ছিল, ড্রেসিং রুমে আমরা অনেক সময় প্যানিক করতাম। এখন কোচিং স্টাফের সবাই এত শান্ত থাকে, তখন আসলে আমাদের প্যানিক করার সুযোগ থাকে না। কোনো পর্যায়েই মনে হয় না ওরা টেনশন নিচ্ছে।”
“এটা ছোঁয়াচে জিনিসের মতো, একজন প্যানিক করলেই অন্যরা শুরু করে। এখনকার ওরা ব্যাপারটি (শান্ত থাকা) ড্রেসিং রুমে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা একটা বড় কারণ এত বড় রান তাড়া করতে পারার পেছনে।”
গত বছরের মাঝামাঝি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে বাংলাদেশের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। এই সফরেই যোগ দিয়েছিলেন ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি, যাকে কোচিং স্টাফের অন্যতম সেরা সংযোজন মনে করেন ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ কাজ করছেন প্রায় ৩ বছর, গত বছর থেকে আছেন স্পিন কোচ সুনীল যোশী। আর ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রায়ান কুক।
পাশাপাশি দলের ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন ও পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরকে মনে করা হয় নিজেদের ক্ষেত্রে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা।