‘নার্ভাস’ ছিলেন লিটন

১৩৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস। টানা তিন বলে ছক্কা মেরেছেন প্রতিপক্ষের দারুণ গতিময় ফাস্ট বোলারকে। ইনিংস জুড়ে খেলেছেন দাপুটে সব শট। ফাস্ট বোলারকে পুল শটে বল ফেলেছেন গ্যালারিতে, জায়গা বানিয়ে বল উড়িয়েছেন লং অফ দিয়ে, আপার কাটে পার করেছেন সীমানা। অথচ ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে যাওয়ার সময় লিটন দাস ছিলেন ভীষণ নার্ভাস!

ক্রীড়া প্রতিবেদক টনটন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 08:20 PM
Updated : 17 June 2019, 08:51 PM

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে লিটনের জুটি বড় রান তাড়ায় বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে দারুণ জয়। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েছেন ১৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ওয়ানডেতে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি এটি, বিশ্বকাপে যে কোনো জুটিতেই সর্বোচ্চ। ১২৪ রান করা সাকিবের সঙ্গে লিটন অপরাজিত ছিলেন ৬৯ বলে ৯৪ রান করে।

তবে লিটনের জন্য এই ম্যাচ ছিল বড় এক পরীক্ষা। বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছেন প্রথমবার। কিন্তু খেলতে পারেননি নিজের সহজাত পজিশনে! টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার খেললেন পাঁচে। কী দারুণভাবেই না উতরে গেলে সেই পরীক্ষায়!

বিশ্বাস নিশ্চয়ই তার ছিল। তবে বিশ্বকাপ অভিষেক, নতুন পজিশন, সব মিলিয়েই লিটন একটু দুর্ভাবনায় ছিলেন উইকেটে যাওয়ার সময়।

“ব্যাটিংয়ে যাওয়ার সময় নার্ভাস ছিলাম। যেহেতু এই ভূমিকায় অভ্যস্ত নই। টিম ম্যানেজমেন্ট চেয়েছে, সুযোগটা নিতেই হতো। তার পরও নার্ভাস ছিলাম প্রথম দিকে। কোনো কিছু মনে হচ্ছিল আমার অনুকূলে নেই। ৩০ করার পর মনে হয়েছে উইকেটে মানিয়ে নিয়েছি, এখন ভালো করতে পারব।”

যে সময়টায় মানসিকতা ছিল নড়বড়ে, সেই সময়টায় তাকে সাহস জুগিয়েছিলেন সাকিব। লিটন কৃতজ্ঞতা জানালেন ম্যাচ জেতানো জুটির সঙ্গীকে।

“সাকিব ভাই অনেক সাহায্য করেছেন উইকেটে। অনেক কথা বলেছেন যেগুলো নার্ভাসনেস থেকে আমাকে বের করে এনেছে। বলেছেন যে উইকেট অনেক সহজ। স্বাভাবিক খেলা খেললেই হবে। জোরাজুরি না করে যেন সিঙ্গেল খেলি। আরও অনেক কিছু ছিল। উনার কিছু বাউন্ডারিও আমাকে সাহায্য করেছে চাপমুক্ত হতে।”

এক পর্যায়ে লিটনের রান ছিল ২৮ বলে ২৩। ততক্ষণ পর্যন্ত কেবল সঙ্গ দিয়ে গেছেন সাকিবকে। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে পরে হাত খুলেছেন, যেটির প্রমাণ পরের ৪১ বলে ৭১ রান।