প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশের সবাই মজা করছিল!

সামনে রেকর্ড রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ। হারলেই কার্যত বিশ্বকাপ স্বপ্ন অনেকটাই শেষ হয়ে যাওয়া। কিন্তু ইনিংস বিরতিতে চাপের হাওয়া প্রবেশ করার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে। সাকিব আল হাসান জানালেন, সবাই বরং তখন মজা করছিলেন!

ক্রীড়া প্রতিবেদক টনটন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 07:55 PM
Updated : 17 June 2019, 08:14 PM

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে হলে রান তাড়ার নতুন রেকর্ড করতে হতো বাংলাদেশকে। সেই চ্যালেঞ্জে দল জিতেছে ৫১ বল বাকি রেখে! দুই উইকেট নেওয়ার পর ম্যাচ জেতানো অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ম্যাচ সেরা সাকিব।

ম্যাচ শেষে তিনিই শোনালেন মাঝ বিরতির গল্প। জেতার বিকল্প নেই, এরকম ম্যাচে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার কাজটি হওয়ার কথা ভীষণ কঠিন। কিন্তু সে অভিযানের আগে সবারই ছিল জেতার বিশ্বাস।

“প্রথম ইনিংস শেষে, ড্রেসিং রুমে কেউই ভাবেনি যে কাজটা কঠিন হবে। সবাই স্বস্তিতেই ছিল, মজা করছিল। রান তাড়ার বিশ্বাস প্রবলভাবেই ছিল ড্রেসিং রুমে। ওপেনাররা যেভাবে শুরু করেছিল, ড্রেসিং রুমের সবাই তাতে আরও ভালোভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করে।”

“ওপেনারদের অমন শুরুর পর আসলে কোনো সময়ই আমরা শঙ্কা করিনি। আজকে আমাদের রান তাড়ার সবচেয়ে ভালো দিক ছিল এটিই।”

উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার দলকে এনে দেন ৫২ রান। ২৩ বলে ২৯ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পর উইকেটে যান সাকিব। তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৫ বলে ৬৯ রান।

সাকিব জানালেন, এই জুটির সময়ই জয় দেখতে পাচ্ছিলেন তিনি। পরে জুটি ভাঙলেও বদলায়নি তার জয়ের ভাবনা।

“আমি ও তামিম যখন ব্যাট করছিলাম, আমি মনে হয় দুইবার ওকে বলেছিলাম যে, আমরা দুজনই শেষ করতে পারব। ৫-৬ ওভার আগেই পারব শেষ করতে, যদি ব্যাটিং করতে থাকি।”

“তার পর লিটনের সঙ্গে যখন ব্যাট করেছি, অনেকবারই ও আমাকে বলেছে, আমি ওকে বলেছি যে শেষ পর্যন্ত খেলতে হবে, অপরাজিত থাকতে হবে। আমরা জানতাম যে যথেষ্ট বাজে বল পাচ্ছি, চার মারতে পারছি। তাই কখনও চাপই নিতে হয়নি। অনেকবারই আমরা বলেছি যে চাইলে দুজনেই শেষ করা সম্ভব।”

শেষ পর্যন্ত সাকিব আর লিটনই শেষ করেছেন খেলা। তামিম রান আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহিম ফিরেছিলেন দ্রুতই। চতুর্থ উইকেটে ১৮৯ রানের রেকর্ড গড়া অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলের জয় নিয়ে ফিরেছেন সাকিব ও লিটন।