সাকিবের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া জয়

খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছুড়ে দিয়েছিল বড় রানের চ্যালেঞ্জ। সাকিব আল হাসানের দাপুটে সেঞ্চুরি আর লিটন দাসের দুর্দান্ত ফিফটিতে সহজেই সেই রান ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতল ৭ উইকেটে।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 09:03 AM
Updated : 17 June 2019, 05:34 PM

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম জয়

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ সফল বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতা বিশ্বকাপেও বয়ে আনলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো হারাল ক্যারিবিয়ানদের।

জেসন হোল্ডারের দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এবারের আসরে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৩২১ রান ছাড়িয়ে গেছে ৫১ বল বাকি থাকতে।

ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়। বিশ্বকাপের গত আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান করে জয় ছিল আগের রেকর্ড।

৯৯ বলে ১৬ চারে ১২৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৬৯ বলে চারটি ছক্কা ও আটটি চারে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (গেইল ০, লুইস ৭০, হোপ ৯৬, পুরান ২৫, হেটমায়ার ৫০, রাসেল ০, হোল্ডার ৩৩, ব্রাভো ১৯, টমাস ৬*; মাশরাফি ৮-১-৩৭-০, সাইফ ১০-১-৭২-৩, মুস্তাফিজ ৯-০-৫৯-৩, মিরাজ ৯-০-৫৭-০, মোসাদ্দেক ৬-০-৩৬-০, সাকিব ৮-০-৫৪-২)।

বাংলাদেশ: ৪১.৩ ওভারে ৩২২/৩ (তামিম ৪৮, সৌম্য ২৯, সাকিব ১২৪*, মুশফিক ১, লিটন ৯৪*; কটরেল ১০-০-৬৫-০, হোল্ডার ৯-০-৬২-০, রাসেল ৬-০-৪২-১, গ্যাব্রিয়েল ৮.৩-০-৭৮-০, টমাস ৬-০-৫২-১, গেইল ২-০-২২-০)

ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: সাকিব আল হাসান

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা জুটি

শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে টানা তিন ছক্কা হাঁকালেন লিটন দাস। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পেয়ে গেল নিজেদের সেরা জুটি।

এবারের আসরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ১৪২ ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। সেটা ছাড়িয়ে ছুটে চলেছেন সাকিব ও লিটন। তাদের ব্যাটে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে পেয়েছেন প্রথম দেড়শ ছোঁয়া জুটি।

৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৯৪/৩। সাকিব ১১৮ ও লিটন ৭২ রানে ব্যাট করছেন। জুটির রান তখন ১৬১।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লিটনের ফিফটি

বিশ্বকাপ অভিষেকে নিজের সামর্থ্য দেখালেন লিটন দাস। দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন ফিফটি। ওয়ানডেতে তার তৃতীয়।

শুরুতে একটু সময় নেওয়া তরুণ এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান পরে বাড়িয়েছেন রানের গতি। ৪৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে হাঁকিয়েছেন চারটি চার ও একটি ছক্কা।

৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৩/৩। সাকিব ৫১ ও লিটন ৫১ রানে ব্যাট করছেন।

সাকিবের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি

ওশান টমাসের বলে দুর্দান্ত এক কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকালেন সাকিব আল হাসান। তুলে নিলেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন সাকিব। দারুণ ছন্দে থাকা বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের তিন অঙ্ক ছুঁতে এবার লেগেছে ৮৩ বল। এই সময়ে হাঁকিয়েছেন ১৩টি চার।   

ওয়ানডেতে এটি তার নবম সেঞ্চুরি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম। ৩৪ ওভার শেষে বালাদেশের স্কোর ২৪৮/৩। সাকিব ১০০ ও লিটন ৪৭ রানে ব্যাট করছেন।

সাকিব-লিটনের শতরানের জুটি

শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাট করা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন লিটন দাস। ৮২ বলে তাদের চতুর্থ উইকেট জুটির রান ১০০ স্পর্শ করে।  

বাংলাদেশের দুইশ

জেসন হোল্ডারের বল ঠিক মতো খেলতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। ব্যাটের কানায় বল লেগে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হয়ে গেল। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চকে পেছনে ফেলে এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষে উঠলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। সেই ওভারের শেষ বলে লিটনের সিঙ্গেলে দুইশ রানে যায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। 

প্রায় এক ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চতুর্দশ ওভারে দলের রান ছুঁয়েছিল তিন অঙ্ক। রান দুইশ হলো ২৯তম ওভারে।

২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০০/৩। সাকিব ৮৭ ও লিটন ১৮ রানে ব্যাট করছেন।

সাকিব-লিটন জুটিতে পঞ্চাশ

১২ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টানছেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৯ বলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।

শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে পাঞ্চ করে সাকিবের বাউন্ডারিতে জুটির রান ফিফটি স্পর্শ করে। পরে তিনি হাঁকান আরও দুটি চার। শুরু থেকে দাপুটে ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছেন আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপ অভিষেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন লিটন। মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হলেও মিডল অর্ডারে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন তিনি।

২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৯২/৩। সাকিব ৮১ ও লিটন ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সাকিবের ফিফটি

আগুনের জবাব যেন আগুন দিয়ে দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ চারে ৪০ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। এবারের আসরে চার ম্যাচে এটি তার চতুর্থ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।

নভজাত সিং সিধু (১৯৮৭), শচীন টেন্ডুলকার (১৯৯৬) ও গ্রায়েম স্মিথের (২০০৭) পর সাকিব বিশ্বকাপের কোনো আসরে প্রথম চার ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেললেন।

২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪১/৩। সাকিব ৫১ ও লিটন দাস ১ রানে ব্যাট করছেন।

মুশফিকের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ

লেগ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে কিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মুশফিকুর রহিম।

খুব একটা ভালো বলে উইকেট পাননি টমাস। গ্লান্স করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ঠিক মতো খেলতে পারেনি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে শেই হোপের গ্লাভসে।

৫ বলে ১ রান করে ফিরেন মুশফিক। ১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৩/৩। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা লিটন দাস।

তামিমের রান আউটে ভাঙল জুটি

নিজের বলেই তামিম ইকবালকে রান আউট করে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙলেন বোলার শেলডন কটরেল।

শট খেলে ফলোথ্রুয়ে একটু এগিয়েছিলেন তামিম। বল ধরেই জোরালো থ্রোয়ে স্টাম্পস এলোমেলো করে দেন কটরেল। ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার। ভাঙে ৬৯ রানের জুটি।

৫৩ বলে ছয়টি চারে ৪৮ রান করেন তামিম। ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২১/২। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

৬ হাজার ছুঁয়ে নতুন রেকর্ডে সাকিব

ওয়ানডেতে দ্রুততম ছয় হাজার রান ও আড়াইশ উইকেটের কীর্তি গড়লেন সাকিব আল হাসান। আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডারের এই অর্জনে লেগেছে ২০২ ম্যাচ। রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির অধিকারে। এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডারের লেগেছিল ২৯৪ ইনিংস।

এই ডাবল আছে আর কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস (২৯৬) ও শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়ার (৩০৪)।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে ১৯০ ইনিংস লেগেছে সাকিবের। ক্রিজে সে সময় তার সঙ্গী তামিম ইকবাল প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছিলেন মাইলফলকটি, তার লেগেছিল ১৭৭ ইনিংস। 

১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০৩/১। তামিম ৪৬ ও সাকিব ২৪ রানে ব্যাট করছেন।

দাপুটে ব্যাটিংয়ে তামিম-সাকিব জুটির পঞ্চাশ

ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে শট খেলছেন সাকিব আল হাসান। রানের গতি বাড়ানো শুরু করেছে তামিম ইকবাল। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।

শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে কাভার ড্রাইভে তামিমের দারুণ বাউন্ডারিতে পঞ্চাশে যায় এই জুটি।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৭০/১

বড় রান তাড়ায় প্রথম পাওয়ার প্লে ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। এই সময়ে হারিয়েছে কেবল সৌম্য সরকারের উইকেট।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭০/১। তামিম ইকবাল ২৬ ও সাকিব আল হাসান ৮ রানে ব্যাট করছেন।

বাউন্সার খুব ভালোভাবে সামাল দিচ্ছেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সাবধানী শুরু করা তামিম ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছেন রানের গতি। ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে শট খেলছেন সাকিব।

বাজে শটে ফিরলেন সৌম্য

আন্দ্রে রাসেলের প্রথম বলে চমৎকার শটে ছক্কা হাঁকিয়ে উদ্বোধনী জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে গেলেন সৌম্য সরকার। পরের বলেই বাজে শটে ধরা পড়লেন স্লিপে।

শর্ট বলের স্রোত খুব ভালো সামলাচ্ছিলেন দুই ওপেনার। বেশি উজ্জ্বল ছিলেন সৌম্য। তবে ভুলটা করলেন  বাঁহাতি এই ওপেনারই।  শরীরের কাছের বল আপার কাট করতে চেয়েছিলেন। ঠিকমতো শট খেলতে পারেননি, স্লিপে ক্যাচ যায় ক্রিস গেইলের কাছে। ভাঙে ৫২ রানের জুটি।

২৩ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৯ রান করেন সৌম্য। ৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৬/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী সাকিব।

সাবধানী তামিম, আত্মবিশ্বাসী সৌম্য

বড় রান তাড়ায় বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। অভিজ্ঞ তামিম এগোচ্ছেন সাবধানে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছেন সৌম্য। 

শেলডল কটরেলের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ছক্কা-চার হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়ান সৌম্য। এই ওভার থেকে আসে ১৮ রান।

৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৪/০। তামিম ৯ ও সৌম্য ১৯ রানে ব্যাট করছেন।

জিততে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে

৩০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। শিমরন হেটমায়ারের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে পরের ১০ ওভারে ৯২ রান তুলে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখতে পেরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

৫০ তম ওভারের শেষ বলে ড্যারেন ব্রাভোকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে করে ৩২১ রান। 

জিততে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের গত আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮ (গেইল ০, লুইস ৭০, হোপ ৯৬, পুরান ২৫, হেটমায়ার ৫০, রাসেল ০, হোল্ডার ৩৩, ব্রাভো ১৯, টমাস ৬*; মাশরাফি ৮-১-৩৭-০, সাইফ ১০-১-৭২-৩, মুস্তাফিজ ৯-০-৫৯-৩, মিরাজ ৯-০-৫৭-০, মোসাদ্দেক ৬-০-৩৬-০, সাকিব ৮-০-৫৪-২)।

৯৬ রানে ফিরলেন হোপ

বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ সেঞ্চুরির আশা জাগানো শেই হোপকে ফেরালেন মুস্তাফিজুর রহমান।

বাঁহাতি পেসারের ফুলটস বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি হোপ। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান লিটন দাস।

১২১ বলে খেলা হোপের ৯৬ রানের ইনিংস গড়া চারটি চার ও একটি ছক্কায়। ৪৭ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২৯৭/৭। ক্রিজে ড্যারেন ব্রাভোর সঙ্গী ওশান টমাস।

হোল্ডারকে থামালেন সাইফ

ক্রিজে গিয়েই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে থামালেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। 

সাকিব আল হাসানকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেছিলেন হোল্ডার। দলকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া এই অলরাউন্ডার ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন সাইফেকে। ফুলটস বলে টাইমিং করতে না পেরে লংঅফে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক।

১৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন হোল্ডার। ৪৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২৮৩/৬। ক্রিজে শেই হোপের সঙ্গী ড্যারেন ব্রাভো।

শূন্য রানে রাসেলকে ফেরালেন মুস্তাফিজ

ঝড় তোলা শিমরন হেটমায়ারকে আউটের পর একই ওভারে বিপজ্জনক আন্দ্রে রাসেলকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

প্রথম বলে একটুর জন্য বেঁচে যান রাসেল। পরের বলে আর টিকেননি। মুস্তাফিজের শর্ট লেংথের বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৪০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২৪৩/৫। ক্রিজে শেই হোপের সঙ্গী জেসন হোল্ডার।

হেটমায়ার ঝড় থামালেন মুস্তাফিজ

ক্রিজে গিয়েই ঝড় তুলে শিমরন হেটমায়ার তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। তবে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরপরই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন মুস্তাফিজুর রহমান।

২৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন হেটমায়ার। শটের পসরা সাজিয়ে বসা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন মুস্তাফিজকে। টাইমিং করতে পারেননি, অনেক উপরে উঠে যাওয়া বল ডিপ মিডউইকেট থেকে এগিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান তামিম ইকবাল।

২৬ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫০ রান করেন হেটমায়ার। ভাঙে ৮৩ রানের জুটি।   

২২ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি

রানের গতি বাড়ানো শুরু করেছেন শেই হোপ। ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে ঝড় তুলেছেন শিমরন হেটমায়ার। ২২ বলে উপহার দিয়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।

৩৫তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে ছক্কা-চার হাঁকান হোপ। পরের ওভারে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে দুবার ছক্কায় ওড়ান হেটমায়ার। প্রথম ছক্কায় দল দুইশ রানে যায়। পরের ছক্কায় জুটির রান পঞ্চাশ স্পর্শ করে।

৩৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২১০/৩। হোপ ৭৪ ও হেটমায়ার ২৬ রানে ব্যাট করছেন।

পুরানকে থামালেন সাকিব

রানের জন্য ছটফট করা নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিলেন সাকিব আল হাসান।

ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন পুরান। আউট হলেন সেই চেষ্টাতেই। হাঁটু গেড়ে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে লং অনে ক্যাচ যায় সৌম্য সরকারের কাছে। মুঠোয় জমাতে ভুল করেননি তিনি।

৩০ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করেন পুরান। ৩৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৬৬/৩। ক্রিজে শেই হোপের সঙ্গী শিমরন হেটমায়ার।

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে হোপের ফিফটি

বাংলাদেশের বিপক্ষে সময়টা দারুণ কাটছে শেই হোপের। ডানহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান তুলে নিলেন আরেকটি ফিফটি। 

তিন চারে ৭৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন হোপ। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তার টানা ষষ্ঠ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। এর মধ্যে টানা তিন ইনিংসে করেছিলেন সেঞ্চুরি। পরে দুই ম্যাচে ফিরেন পঞ্চাশ ছুঁয়ে।

২৯ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৪২/২। হোপ ৫১ ও নিকোলাস পুরান ১২ রানে ব্যাট করছেন।

লুইসকে থামালেন সাকিব

আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা এভিন লুইসকে ফিরিয়ে শতরানের জুটি ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান।

বাঁহাতি এই স্পিনারের ওপর চড়াও হয়েছিলেন লুইস। আগের ওভারের শেষ দুই বলে হাঁকিয়েছিলেন বাউন্ডারি। পরের ওভারের প্রথম বলে ছক্কা। তৃতীয় বলে আবার ছক্কার চেষ্টায় ফিরেন লং অফে বদলি ফিল্ডার সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দিয়ে। ভাঙে ১১৬ রানের জুটি।

৬৭ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৭০ রান করেন লুইস। ২৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১২২/২। ক্রিজে শেই হোপের সঙ্গী নিকোলাস পুরান।

লুইসের ফিফটি, জুটির একশ

সময়টা ভালো কাটছিল না এভিন লুইসের। ওয়ানডেতে সবশেষ ৬ ম্যাচে করেছিলেন ৭২ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে বাজে সময় পেছনে ফেলার আভাস দিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তুলে নিলেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি। আগের দুই ম্যাচে ফিরেছিলেন ১ ও ২ রান করে।

৫৮ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে চারটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান লুইস। ফিফটি করার পর সাকিব আল হাসানকে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এভিন লুইসের সঙ্গে জুটির রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান তিনি।

২৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১০৮/১। লুইস ৫৯ ও হোপ ৪১ রানে ব্যাট করছেন।

লুইস-হোপ জুটিতে পঞ্চাশ

মন্থর শুরুর পর রানের গতি বাড়াতে শুরু করেছেন এভিন লুইস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয় তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন বাংলাদেশকে অনেকবার ভোগানো শেই হোপ। দুই তরুণ ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ বলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।  

জুটিতে অগ্রণী লুইস। বাজে সময় পেছনে ফেলে ছন্দে ফেরার আভাস বিস্ফোরক এই ওপেনারের ব্যাটে। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে হাঁকিয়েছেন এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের একমাত্র ছক্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের পাঁচ ইনিংসেই পঞ্চাশ ইনিংস ছোঁয়া খেলা হোপ এরই মধ্যে ক্রিজে জমে গেছেন।

১৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৫৮/১। লুইস ৪৫ ও হোপ ১৭ রানে ব্যাট করছেন।

শুরুতে বাংলাদেশের আঁটসাঁট বোলিং

প্রথম ১০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের ডানা মেলতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। এই সময়ে ডট বল হয়েছে ৪৩টি। ক্যারিবিয়ানরা হাঁকাতে পেরেছে চারটি বাউন্ডারি।

১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৩২/১। এভিন লুইস ১৭ ও শেই হোপ ১২ রানে ব্যাট করছেন।

আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৫ ওভারে কেবল ৯ রান দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। গেইলকে শূন্য রানে ফিরিয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

গেইলকে ফেরালেন সাইফ

ক্রিস গেইলকে শূন্য রানে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

শুরু থেকে গেইলকে ভোগাচ্ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাইফ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে বেঁধে রেখেছিলেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনারকে। কঠিন সময় মাটি কামড়ে কাটিয়ে দিতে চাওয়া গেইলকে দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরান সাইফ। সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায় মুশফিকুর রহিমের কাছে। ঝাঁপিয়ে ক্যাচ গ্লাভসে জমান এই কিপার।

১৩ বলে শূন্য রানে ফিরেন গেইল। ৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৬/১। ক্রিজে এভিন লুইসের সঙ্গী শেই হোপ।

চোট শঙ্কা কাটিয়ে খেলছেন রাসেল

ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করতে না পারলেও চোট শঙ্কা কাটিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের জায়গায় একাদশে এসেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভো।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: জেসন হোল্ডার, ড্যারেন ব্রাভো, শেলডন কটরেল, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, ক্রিস গেইল, শিমরন হেটমায়ার, শেই হোপ, এভিন লুইস, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, ওশান টমাস।

মিঠুনের জায়গায় লিটন

বাংলাদেশ দলে এসেছে একটি পরিবর্তন। মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় একাদশে এসেছেন আরেক ব্যাটসম্যান লিটন দাস।

বিশ্বকাপে দলের প্রথম দুই ম্যাচে থিতু হয়ে ফিরেছিলেন মিঠুন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে খুলতে পারেননি রানের খাতা।

বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে একটি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৭৬ রান করেন লিটন। পরে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেন ৭৩ রানের আরেকটি ভালো ইনিংস। মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হলেও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বিশ্বাস, মিডল অর্ডারে মানিয়ে নিতে পারবেন লিটন। দলের প্রয়োজনে খেলতে পারবেন শট।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে বোলিং নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করছেন, শুরুতে উইকেটে কিছুটা সুবিধা থাকতে পারে।

বিশ্বকাপে উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম জয়ের সন্ধানে

এক সময় ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সময়টা দারুণ কাটছে বাংলাদেশের। ক্যারিবিয়ানে ও দেশের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সবশেষ দুটি ওয়ানডে সিরিজে জিতেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। বিশ্বকাপের আগে জিতেছে সবশেষ চার ওয়ানডেতে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে তারা।

টনটনে সোমবার জেসন হোল্ডারের দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায়।

বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের চার ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। পরিত্যক্ত হয়েছে অন্যটি। সেমি-ফাইনালের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করতে তাদের বিপক্ষে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের জন্য মরিয়া বাংলাদেশ।

শর্ট বলের তোপ মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বিপক্ষে সব প্রতিপক্ষই সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র মনে করে শর্ট বল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই বিশ্বকাপে সব দলের বিপক্ষেই মূল অস্ত্র মানছে শর্ট বলকে। বাংলাদেশ তাই জানে, টনটনের ২২ গজে তাদের অপেক্ষায় শর্ট বলের স্রোত। প্রস্তুতিও নিয়েছে সেভাবেই।

বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেও বাংলাদেশের বিপক্ষে শর্ট বলের কৌশল নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার তা কাজে লাগেনি খুব একটা। মুখোমুখি তিনটি ম্যাচই জিতেছিল বাংলাদেশ, খুব একটা ভোগাতে পারেনি শর্ট বল।

আয়ারল্যান্ড সিরিজের দল থেকে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ, শেলডন কটরেল, জেসন হোল্ডার আছেন বিশ্বকাপেও। তাদের সঙ্গে বিশ্বকাপ দলে যোগ হয়েছেন ওশান টমাস ও আন্দ্রে রাসেল। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাও শর্ট বলের কৌশল নিয়েছিল, সেই চ্যালেঞ্জে জিতেছে মাশরাফির দল। এবারও না জেতার কারণ দেখছেন না কোচ স্টিভ রোডস।