বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ছিলেন না গেইল ও রাসেল। সেই সিরিজে তিনবার ক্যারিবিয়ানদের হারিয়েছে বাংলাদেশ।
গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে দুই দলের সিরিজেও ছিলেন না দুজন। বাংলাদেশ জিতেছিল সিরিজ। গত জুলাইয়ে অবশ্য নিজেদের মাটিতে এই দুজনকে নিয়েও সিরিজ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রাসেল খেলেছিলেন একটি ম্যাচ, যেটি জিতেছিল বাংলাদেশ। গেইল খেলেছিলেন তিন ম্যাচই। শেষ ম্যাচে করেছিলেন ৬৬ বলে ৭৩। কিন্তু বাংলাদেশ জিতেছিল সিরিজ।
তবে আগের ফল যেটাই হোক, এই দুজনের একজন নিজের মতো খেললেও বাংলাদেশের জয় কঠিন। বাংলাদেশের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের তাই চাওয়া, দুজনকেই থিতু হতে না দেওয়া।
“কিছু ধারনা ও পরিকল্পনা আছে আমাদের। ওরা দুজনই খুব বিপজ্জনক ক্রিকেটার, ওদের থামাতে হবে। দ্রুত ওদের আউট করে খেলাটা নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। আমি নিশ্চিত, দল হিসেবে আমরা ভালো পারফর্ম করব।”
হোপ যদিও এই দুজনের মতো বিস্ফোরক নন, তবে কার্যকারিতায় কম যান না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান। সেরাটা জমিয়ে রাখেন বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ ইনিংস খেলে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন ৩টি করে। ব্যাটিং গড় ৯৪.৫৭!
বাংলাদেশের বোলিং কোচ জানালেন, হোপের জন্যও পরিকল্পনা আছে দলের।
“হোপ আমাদের বিপক্ষে সবসময়ই ভালো করেছে। বিশ্বকাপের আগে দারুণ একটি টুর্নামেন্ট কাটিয়ে এসেছে। দারুণ ব্যাটসম্যান সে। আমাদের মনোযোগ দিতে হবে নিজেদের কাজে। পরিকল্পনা ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলেই আমরা খুশি থাকব।”