ছোট মাঠে বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের একাদশ

কার্ডিফ-ব্রিস্টলের মাঠের চেয়ে ছোট না বড়? টনটন কাউন্টি গ্রাউন্ডে ঢুকে ক্রিকেটাররা হিসাব কষছিলেন মাঠের আকৃতির। আগের দুই ম্যাচের ভেন্যুর চেয়ে সোজা বাউন্ডারি ছোট না বড়, এটা নিয়ে মতের ভিন্নতা থাকল। তবে একটা জায়গায় সবাই একমত, স্কয়ার বাউন্ডারি দুই পাশেই বেশ ছোট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশের ভাবনায় প্রবলভাবেই বিবেচনায় থাকবে মাঠের আকার।

ক্রীড়া প্রতিবেদক টনটন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2019, 06:22 PM
Updated : 14 June 2019, 07:30 PM

দুই পাশের স্কয়ার বাউন্ডারি ছোট হওয়াটাই মূল দুর্ভাবনা দলের। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানেরা সাইড শট বেশি খেলতে পছন্দ করেন। স্লগ করা বা বড় শটে পারদর্শী প্রায় সবাই। তাদের অনেক শটে টাইমিং ভালোভাবে না হলেও বল গ্যালারিতে উড়ে যেতে পারে এই মাঠে। বাংলাদেশ স্পিনারদের কতজন, কিভাবে ব্যবহার করবে, নাকি পেস আক্রমণে শক্তি বাড়ানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত হবে গুরুত্বপূর্ণ।

সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে ভাবার সময় এখনও আছে। তবে ভাবনায় যে মাঠের আকার বিবেচনায় থাকবে, সেটি নিশ্চিত করে দিলেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।

“মাঠের আকারের কারণে আমাদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে পুনরায় ভাবতে হবে। সেভাবেই পরিকল্পনা ও কৌশল সাজাতে হবে। তুলনামূলকভাবে বেশ ছোট মাঠ এটি। আমাদেরকে তাই বোলিংয়ে নিখুঁত ও ধারাবাহিক হতে হবে, চাপ সৃষ্টি করতে হবে।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রেকর্ড অবশ্য দুর্দান্ত। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশে দুই দলের দুটি সিরিজই জিতেছে তারা। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালসহ দুই দলের তিনটি লড়াইয়েই জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ।

সোমবারের লড়াইয়েও ফেভারিট হিসেবেই নামবে বাংলাদেশ। তবে দলের ক্যারিবিয়ান বোলিং কোচ হালকা করে দেখছেন না ক্যারিবিয়ানদের।

“ওরা তো বিশ্বকাপে পূর্ণ শক্তিতে এসেছে। তবে আমরা দলের দিকে তাকাচ্ছি না, এমনিতেই খেলাটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছি। সেটা ধরে রাখতে হবে। যতক্ষণ না আমরা নিশ্চিত কিছু ধরে নিচ্ছি বা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি, আমাদের ভালো না করার কারণ নেই।”