বিশ্বকাপে রুটের ‘প্রথম’

বল হাতে ভাঙলেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি। পরে নিয়মিত ওপেনারের চোটে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংস উদ্বোধন করে তুলে নিলেন দারুণ সেঞ্চুরি। ব্যাটে-বলে নিজেকে মেলে ধরে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নিলেন জো রুট। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2019, 05:23 PM
Updated : 14 June 2019, 05:23 PM

সাউথ্যাম্পটনের রোজ বৌলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রুটের। ২৭ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ৯৪ বলে খেলেন অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস।  
 
বিশ্বকাপে এটি রুটের তৃতীয় সেঞ্চুরি, এবারের আসরে দ্বিতীয়। গত আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পেয়েছিলেন প্রথম সেঞ্চুরি। ১০৮ বলে খেলেছিলেন ১২১ রানের ইনিংস, তারপরও ৯ উইকেটে হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। 
 
এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি আসে রুটের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিরলেন জয়কে সঙ্গী করে, ওয়ানডেতে দশমবারের মতো জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার; বিশ্বকাপে মোট ১০ ম্যাচ খেলে পেলেন প্রথমবার।
 
দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ার ও নিকোলাস পুরানের জমাট জুটি ভাঙতে রুটকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে হেটমায়ারকে ফিরিয়ে ৮৯ রানের জুটি ভাঙেন অনিয়মিত এই অফ স্পিনার। পরের ওভারে নিজের বলে আরেকটি ক্যাচ নিয়ে বিদায় করেন জেসন হোল্ডারকে। 
 
তিন নম্বরে ব্যাটিং করায় নতুন বল সামলানোয় অভ্যস্ত রুট। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতিময় পেসারদের সামনে নিয়মিত ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর চেয়েও সাবলীল ছিলেন তিনি। উইকেটের চারপাশে শট খেলে ৫০ বলে পৌঁছান ফিফটিতে। ৯৩ বলে ১১ চারে তুলে নেন সেঞ্চুরি, ওয়ানডেতে তার ষোড়শ।  
 
বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে (২৬০) পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন রুট। দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটিতে তার রান ২৭৯।