সোমবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে তামিমের প্রচেষ্টা চোখে পড়ল আলাদা করেই। শুধু এ দিনই নয়, রোববার দলের অনুশীলন না থাকলেও কার্ডিফ থেকে ব্রিস্টলে এসেই তামিম মাঠে চলে এসেছিলেন একা অনুশীলন করতে।
এমনিতে নিজের প্রস্তুতি নিয়ে তামিম বরাবরই খুঁতখুঁতে। সবকিছু নিজের মতো প্রায় শতভাগ নিখুঁত হওয়া চাই। সেখানে ঘাটতি থেকে যাচ্ছিল। বাংলাদেশের সবশেষ দুটি ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করতে পারেননি বৃষ্টির কারণে। অনুশীলনের তাড়না আরও বেশি হয়ে উঠছিল বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত নিজের পারফরম্যান্সর কারণেও।
প্রথম তিন ম্যাচে তামিম করেছেন ১৬, ২৪ ও ১৯। দলের সেরা ব্যাটসম্যানের নামের পাশে যা বেমানান। এভাবে বারবার থিতু হয়ে আউট হওয়াও তামিমের জন্য বেশ বিরল।
এমনিতে বিশ্বকাপের সঙ্গে তার বোঝাপড়াও কিছু বাকিও আছে। দেশের সফলতম ব্যাটসম্যানের এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ, ২৪ ইনিংসে ফিফটি কেবল ৩টি। ব্যাটিং গড় ২২.৫৮। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন ৯৫। কিন্তু বিশ্বকাপের বিবর্ণ রেকর্ড উজ্জ্বল করে উঠতে পারছেন না।
সেই বৃত্ত ভাঙার প্রচেষ্টার প্রমাণ অনুশীলনেই। অধিনায়ক মাশরাফি জানালেন, পারফরম্যান্সে সবচেয়ে বেশি হতাশ তামিম নিজেই, তাই খুঁজছেন বড় ইনিংসে ফেরার পথ।
“চেষ্টা দলের সবাই করছে। তামিম গত ৪ বছরে আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। শেষ ৩ ম্যাচে আমরা ওর সেরা সার্ভিস পাইনি, এটা আমি নিশ্চিত যে সবচেয়ে বেশি খারাপ ওর নিজেরই লাগছে। তামিম যদি প্র্যাকটিস নাও করত, তার মানে এই নয় যে সে ড্রেসিং রুমের জন্য আদর্শ নয়।”
“সে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে কোনভাবে বড় রান করতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি, রান তার ভাগ্যে থাকলে করবে। ভাগ্যে না থাকলে যতোই চেষ্টা করুক, হবে না। আমি ব্যাপারটাকে খুবই সিম্পল করে দেখি। বিশ্বকাপে এখন তার গড় ২৩, পরের ৬ ম্যাচ খেলে মোট ২৩ রানও করতে পারে। আবার বড় কিছুও করতে পারে। কেউ বদলাতে পারবে না।”