আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিশামের। ওয়ানডেতে আগের সেরা বোলিং ছিল ২০১৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪/৪২। সেটা ছাড়িয়ে ৩১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আফগানদের গুটিয়ে দেন দুইশ রানের নিচে।
টনটনের উইকেটে বোলারদের জন্য বেশ সহায়তা ছিল। সেটা খুব একটা কাজে লাগাতে পারছিলেন না বোলাররা। তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিল আফগানিস্তান। বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন নিশাম। বিপজ্জনক হজরতউল্লাহ জাজাইকে ফিরিয়ে ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি।
নিজের পরের দুই ওভারে নেন একটি করে উইকেট। তিন ওভারের প্রথম স্পেলে ১০ রানে নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে উইকেটের জন্য একটু অপেক্ষা করতে হয়। সেই স্পেলের চতুর্থ ওভারে চার বলের মধ্যে তুলে নেন দুই উইকেট। নিউ জিল্যান্ডের মাত্র পঞ্চম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে নেন পাঁচ উইকেট।
নিউ জিল্যান্ডের পেসারদের কারো শক্তি সুইং, কারো গতি। নিশামের শক্তি ধারাবাহিকতা। একটা জায়গায় টানা বল করে যাওয়ার সামর্থ্য। এই ম্যাচে সেই কাজ ঠিকঠাক করতে পেরেছেন এই পেসার। গত বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে দর্শক হয়ে থাকা এই অলরাউন্ডার পয়েন্ট তালিকায় দলকে নিয়ে গেছেন শীর্ষে।