ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচ অনেকটা হেরে যায় প্রথম ভাগেই। জেসন রয়ের ১২১ বলে ১৫৩ ও জস বাটলারের ৪৪ বলে ৬৪ রানের ঝড়ে ইংলিশরা গড়ে বিশ্বকাপে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ, ৩৮৬।
সাকিবের মতে, এই মানের স্কিলফুল ব্যাটসম্যানরা যখন ছন্দে থাকে, কোনো পরিকল্পনাতেই তাদের আটকানো কঠিন।
“পরিকল্পনা তো থাকেই। কিন্তু অনেক সময় কী... যখন জস বাটলারের মতো কেউ ব্যাটিং করেন, কঠিন হয়ে যায় পরিকল্পনা। এ, বি, সি বা ডি, কোনো পরিকল্পনাই কাজ করে না।
তবে শুধু প্রতিপক্ষের স্কিলই নয়, বাংলাদেশের সহ-অধিনায়কের মতে, বাংলাদেশের বোলাররা ধুঁকেছে মাঠের আকৃতির কারণেও। কার্ডিফের এই মাঠে দুই প্রান্তের সোজাসুজি বাউন্ডারি বেশ ছোট। তবে উইকেটের আড়াআড়ি দুই পাশ আবার বেশ বড়। কোনাকুনি কয়েকটা জায়গায় আবার আরও বেশি বড়। মাঠের আকৃতি কেন বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা হয়ে গিয়েছিল, ব্যাখ্যা করলেন সাকিব।
“এই মাঠের ডাইমেনশন যদি দেখেন, সোজা বাউন্ডারি খুব ছোট। আমাদের বোলাররা কেউ ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করে না, যারা স্লোয়ার বাউন্সার বা বাউন্সার ব্যবহার করে না সাইড বাউন্ডারি কাজে লাগাতে। ব্যাটসম্যানরা সোজা মারবে, সেটাই স্বাভাবিক।”
“সোজা বাউন্ডারি ছোট বলে আমাদের কাজ অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছিল। মাঠের ডাইমেনশনটা আমাদের পক্ষে ছিল না। তবে কারণ দেখালে তো দেখানো যেতেই পারে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে, পরের ম্যাচে যে ধরনের কন্ডিশন থাক, যে ধরনের ডাইমেনশন থাক, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে।”