সাকিবের সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশের বড় হার

ইংল্যান্ডের রানের পাহাড় তাড়ায় লড়াই করলেন কেবল সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে তার প্রথম সেঞ্চুরির পরও বড় হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। একপেশে ম্যাচে ১০৬ রানে হেরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2019, 09:05 AM
Updated : 8 June 2019, 05:30 PM

আর্চারের জোড়া আঘাতে থামল বাংলাদেশ

নতুন বলে বাংলাদেশকে দারুণ ভোগানো জফরা আর্চার বোলিংয়ে ফিরে জোড়া আঘাতে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমানকে বিদায় করে ২৮০ রানে থামিয়ে দিলেন বাংলাদেশকে। রানের পাহাড় গড়া ইংল্যান্ড জিতল ১০৬ রানে।

অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ার চেষ্টায় কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরেন মিরাজ। ৮ বলে দুই চারে ১২ রান করেন এই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান।

দুই বল পর কট বিহাইন্ড হয়ে যান মুস্তফিজ। তিন বল খেলে শূন্য রানে ফিরেন তিনি। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৮৬/৬ (রয় ১৫৩, বেয়ারস্টো ৫১, রুট ২১, বাটলার ৬৪, মর্গ্যান ৩৫, স্টোকস ৬, ওকস ১৮*, প্লানকেট ২৭*; সাকিব ১০-০-৭১-০, মাশরাফি ১০-০-৬৮-১, সাইফ ৯-০-৭৮-২, মুস্তাফিজ ৯-০-৭৫-১, মিরাজ ১০-০-৬৭-২, মোসাদ্দেক ২-০-২৪-০)

বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৮০ (তামিম ১৯, সৌম্য ২, সাকিব ১২১, মুশফিক ৪৪, মিঠুন ০, মাহমুদউল্লাহ ২৮, মোসাদ্দেক ২৬, সাইফ ৫, মিরাজ ১২, মাশরাফি ৪*, মুস্তাফিজ ০; ওকস ৮-০-৬৭-০, আর্চার ৮.৫-২-২৯-৩, প্লানকেট ৮-০-৩৬-১, উড ৮-০-৫২-২, রশিদ ১০-০-৬৪-১, স্টোকস ৬-১-২৩-৩)

স্টোকসের তৃতীয় শিকার সাইফ

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট নিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।

সাইফ আউট হতে পারতেন আগের বলেই। স্টোকসের দারুণ ডেলিভারি স্টাম্প ছুঁয়ে গেলেও পড়েনি বেল। পরের বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান সাইফ।

৮ বলে ৫ রান করে ফিরেন সাইফ। ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৪/৮। ক্রিজে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী মাশরাফি বিন মুর্তজা।

উডের দ্বিতীয় শিকার মাহমুদউল্লাহ

বোলিংয়ে ফিরেই মাহমুদউল্লাহকে বিদায় করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিলেন মার্ক উড। 

শুরু থেকেই টাইমিং করতে ভুগছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ঠিক মতো ফ্লিক করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে উপরে ওঠে যাওয়া ক্যাচ গ্লাভসে জমান জনি বেয়ারস্টো। 

৪১ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ২৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৬১/৭।

মোসাদ্দেককে ফেরালেন স্টোকস 

ক্রিজে গিয়েই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া মোসাদ্দেক হোসেনকে থামালেন বেন স্টোকস।

শর্ট বলে পুল করেছিলেন ডান হাতি ব্যাটসম্যান। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে আসা ক্যাচ সীমানায় মুঠোয় জমান জফরা আর্চার।

১৬ বলে চারটি চারে ২৬ রান করেন মোসাদ্দেক। ৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৭/৬। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। 

সেঞ্চুরিয়ান সাকিবকে থামালেন স্টোকস

দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করে সাকিব আল হাসানকে বিদায় করলেন বেন স্টোকস।

ইংলিশ অলরাউন্ডারের আগের ওভারটি মেডেন খেলেছিলেন সাকিব। পরের ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তৃতীয় বলে আর বাঁচেননি। চমৎকার এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করে দেন স্টোকস।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ১২১ রান করে ফিরেন সাকিব। তার ১১৯ বলের ইনিংস গড়া ১২ চার ও এক ছক্কায়। ৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২৪/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ১৬৩ রান চাই তাদের।

সেঞ্চুরিয়ান সাকিবকে থামালেন স্টোকস

ইয়র্কারে বোল্ড করে একা লড়াই চালিয়ে যাওয়া সাকিব আল হাসানকে বিদায় করলেন বেন স্টোকস।

শূন্য রানে ফিরলেন মিঠুন

দুই বল টিকলেন মোহাম্মদ মিঠুন। আদিল রশিদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টায় শূন্য রানে ফিরলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। 

লেগ স্পিনারের একটু ঝুলিয়ে দেওয়া বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি মিঠুন। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ গ্লাভসে জমান জনি বেয়ারস্টো।     

৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৭০/৪। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। ৩০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১৮৫/১।

দাপুটে ব্যাটিংয়ে সাকিবের সেঞ্চুরি

আগের দুই ম্যাচে পঞ্চাশ করে ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। এবার ভুল করেননি আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার। দাপুটে ব্যাটিংয়ে স্পর্শ করলেন তিন অঙ্ক, বিশ্বকাপে তার প্রথম।

৯৫ বলে নয় চার ও এক ছক্কায় ওয়ানডেতে নিজের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সাকিব। দেশের মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। 

৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮২/৪। সাকিব ১০২ ও বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা মাহমুউল্লাহ ৪ রানে ব্যাট করছেন।

শূন্য রানে ফিরলেন মিঠুন
 
দুই বল টিকলেন মোহাম্মদ মিঠুন। আদিল রশিদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টায় শূন্য রানে ফিরলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

মুশফিককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন প্লানকেট
 
মুশফিকুর রহিমকে ফিরিয়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার শতরানের জুটি ভাঙলেন লিয়াম প্লানকেট।

লেংথ বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে পয়েন্টে ধরা পড়েন জেসন রয়ের হাতে। ভাঙে ১০৬ রানের জুটি।

৫০ বলে দুই চারে ৪৬ রান করে ফিরেন মুশফিক। ২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৯/৩। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।

চূড়ায় সাকিব-মুশফিক

তিন ম্যাচে দ্বিতীয়বার তিন অঙ্কে গেল সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের জুটি। গড়লেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছয়টি শতরানের জুটি।

পাঁচটি করে শতরানের জুটি আছে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার জুটি এবং তামিম ও মুশফিক জুটির।

২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬২/২। সাকিব ৮৮ ও মুশফিক ৪৩ রানে ব্যাট করছেন।

সাকিব-মুশফিক জুটিতে পঞ্চাশ

আরও একবার দলকে পথ দেখাচ্ছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে ৫৬ বলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফলতম এই জুটি টানা তিন ম্যাচে উপহার দিল পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। ফিফটি তুলে নেওয়া সাকিব চেষ্টা করছেন রানের গতি বাড়াতে। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন মুশফিক।

২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৯/২। সাকিব ৬৭ ও মুশফিক ২৩ রানে ব্যাট করছেন।

সাকিবের টানা তৃতীয় ফিফটি

বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো কাটছে সাকিব আল হাসানের। টানা তিন ম্যাচে ফিফটি করলেন আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডার।

৫৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন সাকিব। বিশ্বকাপের সব আসর মিলিয়ে তার অষ্টম ফিফটি। ওয়ানডেতে ৪৫তম।

জফরা আর্চারের গতি শুরুতে একটু ভুগিয়েছে সাকিবকে। ওয়ানডেতে শেষ ছয় ম্যাচে পঞ্চম ফিফটি তুলে নেওয়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অন্য বোলারদের বিপক্ষে বেশ সাবলীল। 

১৯তম ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯৮/২। সাকিব ৫১ ও মুশফিকুর রহিম ১৮ রানে ব্যাট করছেন।

বাজে শটে ফিরলেন তামিম

শুরু থেকে টাইমিং করতে ভোগা তামিম ইকবালের সংগ্রাম শেষ হলো বাজে এক শটে। বোলিংয়ে এসে বাঁহাতি ওপেনারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিলেন মার্ক উড।

বেরিয়ে এসে পেসারের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন তামিম। টাইমিং হয়নি, এক্সট্রা-কাভারে সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন ওয়েন মর্গ্যান। ভাঙে ৫৫ রানের জুটি।

১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬৩/২। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

মন্থর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের পঞ্চাশ

ক্রিস ওকসের বোলিংয়ে কিছুটা রান আসছে। তবে জফরা আর্চারের বলে ভুগছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।

ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন সাকিব। টাইমিং করতে ভুগছেন তামিম। মন্থর পায়ে এগোনো বাংলাদেশের সংগ্রহ পঞ্চাশ ছুঁয়েছে একাদশ ওভারে।

১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৫/১। তামিম ১৭ ও সাকিব ২৮ রানে ব্যাট করছেন।

শুরুতেই ফিরলেন সৌম্য

জফরা আর্চারের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরলেন সৌম্য সরকার। 

গতিময় পেসার আর্চারের প্রথম ওভারটি মেডেন খেলেন তামিম ইকবাল। পরের ওভারের প্রথম বলে স্লিপে ক্যাচ হতে হতে বেঁচে যান সৌম্য। দ্বিতীয় বলে গতিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি।।

আট বলে ২ রান করে ফিরলেন সৌম্য। টানা দুটি ওভার মেডেন নিলেন আর্চার। ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।  

জিততে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে

শেষে ঝড় তুললেন লিয়াম প্লানকেট ও ক্রিস ওকস। রানের পাহাড় গড়লো ইংল্যান্ড। জিততে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। 

৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে এটি তাদের সর্বোচ্চ। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো দলের সর্বোচ্চ। ২০১১ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের ৪ উইকেটে ৩৭০ ছিল আগের সর্বোচ্চ।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি রান আছে কেবল একটি। ২০০৫ সালে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডই ৪ উইকেটে করেছিল ৩৯১ রান। 

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৩২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ার কীর্তি আছে আয়ারল্যান্ডের। আর বাংলাদেশ জিতেছে ৩১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। এটা ওয়ানডেতেও তাদের রান তাড়ার রেকর্ড।

২০০৭ সালে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া টানা ছয় ম্যাচে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়েছিল। ইংল্যান্ড টানা সাত ম্যাচে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ে ছাড়িয়ে গেল তাদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৮৬/৬ (রয় ১৫৩, বেয়ারস্টো ৫১, রুট ২১, বাটলার ৬৪, মর্গ্যান ৩৫, স্টোকস ৬, ওকস ১৮*, প্লানকেট ২৭*; সাকিব ১০-০-৭১-০, মাশরাফি ১০-০-৬৮-১, সাইফ ৯-০-৭৮-২, মুস্তাফিজ ৯-০-৭৫-১, মিরাজ ১০-০-৬৭-২, মোসাদ্দেক ২-০-২৪-০)

স্টোকসকে দ্রুত ফেরালেন মুস্তাফিজ

বোলিংয়ে ফিরে অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

বাঁহাতি পেসারের শর্ট বল এক্সট্রা কাভার দিয়ে ওড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন স্টোকস। টাইমিং করতে পারেননি। সহজ ক্যাচ যায় পয়েন্টে। তালগোল পাকালেও তৃতীয় চেষ্টায় মুঠোয় জমান মাশরাফি বিন মুর্তজা।

৪৮ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৩৫৫/৬। ক্রিজে ক্রিস ওকসের সঙ্গী লিয়াম প্লানকেট।

মর্গ্যানকে ফেরালেন মিরাজ

নিজের শেষ ওভারে ওয়েন মর্গ্যানকে ফিরিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় লং অনে ক্যাচ দেন মর্গ্যান। কিছুটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নেন সৌম্য সরকার।

৩৩ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ৩৫ রান করে ফিরেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ৪৭ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৩৪১/৫। ক্রিজে বেন স্টোকসের সঙ্গী ক্রিস ওকস।

বিশ্বকাপে এটাই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ। আগের সেরা ছিল ২০১১ আসরে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩৩৮।

বাটলার ঝড় থামালেন সাইফ

বোলিংয়ে ফিরে দ্রুত এগোনো জস বাটলারকে ফিরিয়ে দিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

প্রথম বল ছক্কা হজম করেছিলেন এই পেসার। পরের বলে ফ্লিক করে আবার ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন বাটলার। ডিপ স্কয়ার লেগে চমৎকার এক ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। ভাঙে ৯৫ রানের জুটি।

৪৪ বলে চার ছক্কা ও দুই চারে ৬৪ রান করেন বাটলার। ৪৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৩৩৫/৪। ক্রিজে ওয়েন মর্গ্যানের সঙ্গী বেন স্টোকস।

বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে বাটলারের ফিফটি

শুরুটা ছিল সাবধানী। প্রথম ১৬ বলে তুলেছিলেন ১০ রান। মোসাদ্দেক হোসেনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ডানা মেলার পর আর থামাথামি নেই। বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রান তুলছেন দ্রুত।

৩৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন বাটলার। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে দুটি চার ও তিনটি ছক্কা।

বাটলারকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন ওয়েন মর্গ্যান। সাকিব আল হাসানের বলে তার বাউন্ডারিতে তিনশ ছুঁয়েছে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ।

৪৩ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৩০৯/৩। বাটলার ৫৩ ও মর্গ্যান ২২ রানে ব্যাট করছেন।

দেড়শ করা রয়কে ফেরালেন মিরাজ

টানা তিন ছক্কা হজমের পর জেসন রয়কে ফিরিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। 

৩৫তম ওভারের প্রথম তিন বলে অফ স্পিনারকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রয়। পরের বলটিতেও সেই চেষ্টায় ছিলেন ইংলিশ ওপেনার। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে টাইমিং করতে পারেননি। এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ মুঠোয় জমান মাশরাফি বিন মুর্তজা।

১২১ বলে ১৪ চার ও তিন ছক্কায় ১৫৩ রান করে ফিরেন রয়। ৩৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ২৩৬/৩। ক্রিজে জস বাটলারের সঙ্গী ওয়েন মর্গ্যান।

রুটকে ফেরালেন সাইফ

লাইন-লেংথ কিছুটা ফিরে পাওয়া মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন জো রুটকে।

স্লোয়ার বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি ইংল্যান্ডের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল এলোমেলো করে দেয় স্টাম্পস।

পরের বলে রিভিউ নিয়ে নতুন ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে ফেরাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লেগ স্টাম্প মিস করতো বল। তাতে শেষ হয়ে যায় একমাত্র রিভিউ।

৩২ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ২০৮/২। রয় ১৩০ ও বাটলার ১ রানে ব্যাট করছেন।

রয়-রুট জুটিতে ফিফটি

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর একটু কমেছে রানের গতি। লাইন-লেংথ ফিরে পেয়ে বোলাররা কিছুটা কমাতে পেরেছেন বাউন্ডারির স্রোত।

৫৮ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে দ্বিতীয় উইকেটে জেসন রয় ও জো রুট জুটির রান।

২৯ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ১৮১/১। রয় ১০৭ ও রুট ১৯ রানে ব্যাট করছেন।

দাপুটে ব্যাটিংয়ে রয়ের সেঞ্চুরি

শুরু থেকেই ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে না বাংলাদেশের। বাজে এক ফিল্ডিংয়ের জন্য এবার বাউন্ডারি উপহার পেলেন জেসন রয়। পৌঁছে গেলেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে।

৯২ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ও ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান রয়। ৩৮ বলে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি, পরের পঞ্চাশ এলো ৫৪ বলে।

২৭ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ১৬৭/১। রয় ১০০ ও জো রুট ১২ রানে ব্যাট করছেন। 

বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মাশরাফি

জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের শুরুর জুটি ভাঙলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে তাতে বড় অবদান আছে মেহেদী হাসান মিরাজের।

ওপেনারের ব্যাটের কানায় লেগে কাভারে আসা ক্যাচ কিছুটা এগিয়ে ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান মিরাজ। ভাঙে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে ইংল্যান্ডের সেরা- ১২৮ রানের জুটি।

৫০ বলে ৬ চারে ৫১ রান করে ফিরেন বেয়ারস্টো। ২০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ১৩০/১। ক্রিজে জেসন রয়ের সঙ্গী জো রুট।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা উদ্বোধনী জুটি

দারুণ ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছেন জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়। গড়েছেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা উদ্বোধনী জুটি।

রেকর্ড ছিল মারভান আতাপাত্তু ও সনাথ জয়াসুরিয়ার অধিকারে। ২০০৩ বিশ্বকাপে অবিচ্ছিন্ন ১২৬ রানের জুটিতে ১০ উইকেটের জয় এনে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কাকে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো জুটিতে ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের কীর্তি এখন রয়-বেয়ারস্টোর অধিকারে। আগের সেরা জুটি ছিল ২০১১ বিশ্বকাপে চতুর্থ উইকেটে জোনাথন ট্রট ও ওয়েন মর্গ্যানের ১০৯।  

রয়ের পর ফিফটি তুলে নিয়েছেন বেয়ারস্টো। তার ক্যারিয়ারের দশম, এবারের আসরে প্রথম। ৪৯ বলে ফিফটি করার পথে ৬টি চার হাঁকান তিনি।

১৯ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ১২৮/০। রয় ৭৪ ও বেয়ারস্টো ৫১ রানে ব্যাট করছেন।

রয়-বেয়ারস্টো জুটিতে একশ

সাবধানী শুরুর পর রানের গতি বাড়িয়েছে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো ১৫তম ওভারে দলকে নিয়ে গেছেন একশ রানে।

প্রথম ৫ ওভারে ১৫ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা। পরের ১০ ওভারে এসেছে ৮৬ রান। ১৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ১০১/০। রয় ৫৯ ও বেয়ারস্টো ৩৯ রানে ব্যাট করছেন।

জুটি ভাঙার কোনো কৌশল কাজে আসছে না। ব্যাটসম্যানদের একটু ভাবাতে পারছেন কেবল সাকিব আল হাসান। ১৫ ওভারের মধ্যে তাকে দিয়ে ৭ ওভার করিয়েছেন অধিনায়ক।  

ঝড় তুলে রয়ের ফিফটি

বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত এগোচ্ছেন জেসন রয়। শটের পসরা সাজিয়ে বসা এই ওপেনার ৩৮ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ওয়ানডেতে ষোড়শ, এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়।

পঞ্চাশ স্পর্শ করার পথে সাতটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান রয়। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিয়েছেন ভালো শুরু। জুটি গড়ে তুলেছেন জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে।

১২ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৮৭/০। রয় ৫১ ও বেয়ারস্টো ৩৪ রানে ব্যাট করছেন।  

ইংল্যান্ডের ভালো শুরু

প্রথম পাঁচ ওভারে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। সাবধানী শুরুর পর রানের গতি বাড়িয়েছেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। অষ্টম ওভারে দলকে নিয়ে গেছেন পঞ্চাশ রানে।

প্রথম ৫ ওভারে ১৫ রান করেছিল ইংল্যান্ড। ষষ্ঠ ওভারে মাশরাফিকে দুই চার হাঁকিয়ে ডানা মেলেন রয়। পরের ওভারে সাকিবকে হাঁকান দুই চার।

অষ্টম ওভারে বাউন্ডারিতে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে স্বাগত জানান বেয়ারস্টো। সেই ওভার থেকে আসে ১৬ রান। ৪৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে উদ্বোধনী জুটির রান।

৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫২/০। রয় ৩৩ ও বেয়ারস্টো ১৮ রানে ব্যাট করছেন।   

সাকিবকে দিয়ে শুরু

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশও স্পিন দিয়ে বোলিং শুরু করেছে। বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানকে দিয়ে প্রথম ওভার করান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

সব মিলিয়ে ছয়বার ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিং করলেন সাকিব। প্রথম ওভারে দেন কেবল একটি সিঙ্গেল।

বাড়তি পেসার নিয়েছে ইংল্যান্ড

পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে যাওয়া দলে একটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। লিয়াম প্লানকেটকে ফিরিয়ে পেসে বাড়িয়েছে শক্তি। বাদ পড়েছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মইন আলি।

ইংল্যান্ড একাদশ: ওয়েন মর্গ্যান, লিয়াম প্লানকেট, জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার, আদিল রশিদ, জো রুট, জেসন রয়, বেন স্টোকস, জফরা আর্চার, ক্রিস ওকস, মার্ক উড। 

আবার একই একাদশ নিয়ে বাংলাদেশ

কার্ডিফে একজন বাড়তি পেসার হয়তো সহায়ক হতে পারতো তবুও একই একাদশ নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। বাইরেই থাকছেন পেসার রুবেল হোসেন।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

এবারের আসরে প্রথমবারের মতো টস জিতলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিলেন বোলিং। দুই দিন পিচ কাভারে ঢাকা থাকায় শুরুতে উইকেট থেকে কিছুটা সুবিধা আশা করছেন তিনি।

হ্যাটট্রিকের সুযোগ বাংলাদেশের

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল একতরফা, সেখানে যোজন যোজন এগিয়ে ইংল্যান্ড। ২০ ম্যাচের ১৬টিই জিতেছে ইংলিশরা। কিন্তু চিত্র ভিন্ন বিশ্বমঞ্চে। ক্রিকেটের কুলীন দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশের চার ওয়ানডে জয়ের দুটিই এসেছে বিশ্বকাপে। ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ ২ উইকেটে। আর গত বিশ্বকাপে অ্যাডিলেইডে জয় এসেছিল ১৫ রানে। ওই ম্যাচে হার ইংলিশদের ছিটকে দিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকে। এবার সুযোগ তাই হ্যাটট্রিকের। বিশ্বকাপের বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের একমাত্র জয় ২০০৭ আসরে।

কার্ডিফ ওয়েলস স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায়।