বাংলাদেশের স্পিনে শঙ্কা কিংবা সম্ভাবনা

আকাশ যদি মেঘলা থাকে বা বৃষ্টিতে কমে আসে ওভার, সেক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশল নিতে পারে দল। নইলে আগের দুই ম্যাচের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও বাংলাদেশ বোলিং আক্রমণে বড় ভূমিকা থাকবে স্পিনের। ঝুঁকির জায়গাটাও দল জানে। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন, দল ভরসা রাখছে নিজেদের শক্তিতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কার্ডিফ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2019, 07:26 PM
Updated : 7 June 2019, 07:26 PM

স্পিন বরাবরই বাংলাদেশের শক্তির জায়গা। তবে সেই শক্তির কার্যকারিতা নিয়ে এবার প্রশ্ন ছিল যথেষ্টই। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে স্পিনারদের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। ইংল্যান্ডের উইকেট যদিও স্পিনারদের জন্য এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ বোলিং করে চলেছেন দারুণ। ভূমিকা রাখছেন মোসাদ্দেক হোসেনও।

দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউ জিল্যান্ড অবশ্য স্পিনে কখনোই খুব ভালো খেলে বলে পরিচিতি ছিল না। তুলনায় কাজটা অনেক কঠিন হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ঐতিহ্যগতভাবে স্পিনে ইংলিশরাও খুব দক্ষ ছিল না। কিন্তু ইংল্যান্ডের এই দল পেছনে ফেলে এসেছে সেসব দিনকে। ছোট মাঠে ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের স্পিনকে তুলোধুনো করার।

মাশরাফিরা সেই বাস্তবতা জানেন। তবু দল হাঁটছে স্পিনে প্রাধান্য দিয়ে আক্রমণ সাজানোর পথেই। শঙ্কা কিংবা সম্ভাবনা, দুটিই যে স্পিনে!

“২০১৭ সালে আমরা যে ম্যাচ এখানে জিতেছিলাম (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে), স্পিনের বড় ভূমিকা ছিল। কদিন আগে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও এখানে স্পিনাররা ভালো করেছে। ইংল্যান্ডের অবশ্য ট্যাকটিকসই যে বড় রান করবে। ওদের ব্যাটসম্যাদের ওরা সমর্থন দেয় এভাবে খেলতে।”

“এখানে নেতিবাচক, ইতিবাচক দুটি দিকই আছে। নেতিবাচক হলো, যে ওরা যদি সফল হয়, তাহলে হয়তো অনেক বেশি বিধ্বস্ত করে দেবে। আবার ওটা করতে গিয়ে আমরা যদি সফল হই, ওদের উইকেট পড়ে গেলে আমরা চাপ সৃষ্টি করতে পারব। দুটিই হতে পারে। ওদের পরিকল্পনা ওরা জানে। আমরা গত দুই ম্যাচে যেটা করেছি, সেটাই করতে হবে।”