অস্ট্রেলিয়ার নায়ক ‘ব্যাটসম্যান’ কোল্টার-নাইল

বিপদে পড়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে পথ দেখালেন ন্যাথান কোল্টার-নাইল। বোলিংয়ে নয়, দলকে উদ্ধারের কাজটা করলেন ব্যাটিংয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখে জিতে নিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2019, 07:23 PM
Updated : 6 June 2019, 07:23 PM

পাঁচ বছর পর ওয়ানডেতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন কোল্টার-নাইল। ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।

৩১ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেসার সেভাবে অস্ট্রেলিয়া দলে নিয়মিত হতে পারেননি। ছয় বছরের ক্যারিয়ারে এই পর্যন্ত খেলেছেন ২৯ ওয়ানডে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোল্টার-নাইল ক্রিজে আসার সময় ভীষণ চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ৩১ তম ওভারে ১৪৭ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট। ওয়ানডেতে এর আগে কখনও ত্রিশের কোটা ছাড়াতে না পারা এই অলরাউন্ডার বিপদে ধরলেন হাল। ক্রিজে গিয়েই চড়াও হলেন বোলারদের ওপর। সরিয়ে নিলেন চাপ।

বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ তখন ছিলেন ক্রিজে। ব্যাটিং দ্যুতিতে তাকে পেছনে ফেলে দেন কোল্টার-নাইল। ৪১ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। স্মিথকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন প্রথম শতরানের জুটি।

স্মিথের বিদায়ের পর প্রায় একার চেষ্টায় দলকে তিনশ রানের কাছে নিয়ে যান কোল্টার-নাইল। আশা জাগান প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে আটে নেমে সেঞ্চুরি করার। ব্যক্তিগত মাইলফলকের চেয়ে দলের রান বাড়ানোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ছক্কার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার পথ চলা।

৬০ বলে আট চার ও দুই ছক্কায় ৯২ রান করে ফিরেন কোল্টার-নাইল। ওয়ানডেতে আট নম্বরে এর চেয়ে বড় স্কোর আছে কেবল একটি।

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ১৫ রানের জয়ে বোলিংটা ভালো হয়নি কোল্টার-নাইলের। ম্যাচের শেষ ওভারে শেষ চার বলে টানা চারটি বাউন্ডারি হজম করে বোলিং ফিগার হয়ে যায় আরও বিবর্ণ। ১০ ওভারে ৭০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। সেটা তার ম্যাচ সেরা হওয়ার পথে বাধা হয়নি।