বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ কিউই সুইং আর কিউই ঝড়

ইংলিশ আবহাওয়া তার চিরায়ত রূপ বাংলাদেশ দলকে দেখিয়ে দিল মিনিট বিশেকের মধ্যেই। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে মাঠে এলো দল। খানিক পর থামল বৃষ্টি। একটু পর উঠল রোদ। আলো ভালোভাবে গায়ে না মাখতেই আবার বৃষ্টি! ম্যাচের আগের দিন তাই ব্যাহত বাংলাদেশের প্রস্তুতি। নিউ জিল্যান্ড দলও যদি তাদের চেনা রূপ দেখায়, বাংলাদেশের অপেক্ষায় কঠিন চ্যালেঞ্জ।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিলন্ডন থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2019, 06:51 PM
Updated : 4 June 2019, 06:51 PM

এই নিউ জিল্যান্ড দলের বড় শক্তি পেস আক্রমণ। দারুণ স্কিলফুল ও বৈচিত্রময়। ট্রেন্ট বোল্টের গতিময় সুইং, ম্যাট হেনরির উইকেট শিকার করার প্রবণতা, লকি ফার্গুসনের গতি। মূল তিন পেসারের সঙ্গে পেস বোলিং অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের নিয়ন্ত্রণ ও ছোট ছোট সুইং।

যে কোনো উইকেটেই এই পেস আক্রমণ দুর্দান্ত। তবে যদি কন্ডিশন থাকে এ রকম পক্ষে আর উইকেটে থাকে ঘাস, এই পেস আক্রমণ ভয়ঙ্কর। প্রথম ম্যাচে কার্ডিফে সেটি টের পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের দিন আকাশ খানিকটা মেঘলা থাকতে পারে। ম্যাচের আগের দিন উইকেটে ঘাস দেখা গেল যথেষ্টই। যদি ঘাস ছাটা না হয় কিংবা কিছুটাও থাকে, তা কিউই পেসারদের জিভে জল আনতে যথেষ্ট।

তাদের পেসাররা যেমন তোপ দাগান প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দিকে, কিউইদের দুই ওপেনার আবার মূহুর্তেই এলোমেলো করে দেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। কলিন মানরোর কাছে বল মানেই পেটানোর জিনিস। মার্টিন গাপটিল তো ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা ওপেনারদেরই একজন। ঝড় তোলা ও ধরে রাখা, দুটি কাজই পারেন একসঙ্গে। আগের ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার ১৩৬ রান দুজন উড়িয়ে দিলেন ১৬.১ ওভারে।

সবচেয়ে শঙ্কার কথা, বাংলাদেশের বোলিং দুজনেরই বেশ পছন্দের! বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি আছে গাপটিলের; ১১ ম্যাচে স্ট্রাইক রেট একশর বেশি, গড় ৬০.৮৮। মানরোর গড় ৪০, স্ট্রাইক রেট ১১৯.০৪।

দুই ইনিংসের শুরুটাই তাই বাংলাদেশের জন্য হতে যাচ্ছে কঠিন পরীক্ষায়। এই পরীক্ষার ফলই হয়তো ঠিক করে দেবে ম্যাচের ফল।

বাংলাদেশ দলও সেটা জানে। সেভাবেই সাজানো হচ্ছে পরিকল্পনা। ২২ গজে এই চ্যালেঞ্জ সামলাতে বড় ভূমিকা থাকবে যার, সেই সৌম্য সরকার জানালেন তার পরিকল্পনার কথা।

“দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা যে উইকেটে খেলেছি, এবার অন্য উইকেটে হবে। ওদের বোলারদের গতির সঙ্গে সুইংও থাকবে। দুটিই সামলে কিভাবে এগোনো যায়, সেই পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে হবে। সুইং, পেস মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করতে হবে। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হলে বল বুঝে মারতে হবে, সুইং থাকলে শুরুতে সতর্ক থাকতে হবে।”

“প্রথম ১০ ওভারে যদি কোনো উইকেট না হারিয়ে কিছু রান করে ফেলতে পারি, আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। ওদের মূল অস্ত্র সুইং। প্রথম ১০ ওভারে ওরা দ্রুত উইকেট নিতে চায়। সেটি ব্যর্থ করে দিতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে।”

কিউই পেসারদের ব্যর্থ করে দেওয়ার কাজটি অবশ্য সহজ হবে না। যেমন কঠিন হবে গাপটিল ও মানরোকে দ্রুত থামানোও। তবে শুরুর এই দুই লড়াইয়ে যদি জিততে পারে বাংলাদেশ, ম্যাচ জয়ের পথেও এগিয়ে যাবে অনেক দূর।