গত আইপিএলের সময় ফিটনেস নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে ওজন অনেক কমিয়ে দারুণ ঝরঝরে হয়ে উঠেছেন সাকিব। পরিশ্রমের ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পারফরম্যান্সেও। তবে শুধু পরিশ্রমই নয়, খালেদ মাহমুদের আলাদা করে নজর কেড়েছে সাকিবের মানসিকতার পরিবর্তন।
আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর সোমবার অনুশীলন ছিল না বাংলাদেশ দলের। ক্রিকেটাররা সবাই নিজের মতো করে কাটিয়েছেন সময়। জয়ের আবেশ মেখেই টিম হোটেলে বদলে যাওয়া সাকিবের গল্প শোনালেন দলীয় ম্যানেজার।
“সাকিব সবসময় অনেক বড় ক্রিকেটার, সন্দেহ নাই। তবে গত কয়েক মাসের সিরিয়াসনেস আমাকে দারুণভাবে মুগ্ধ করেছে। ফিটনেস নিয়ে কাজ করাই শুধু নয়, দলে তার সম্পৃক্ততা ও যেভাবে কষ্ট করছে, সব মিলিয়ে।”
“পরশু দিনের একটা ঘটনা বলি। সাকিব বসে ছিল, কয়েকজন প্র্যাকটিস করছিল। পানি লাগবে, সাকিব দৌড়ে পানি নিয়ে গেল। এটাই বোঝাতে পাচ্ছি যে দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার যখন এরকম করে, সবার জন্যই তা ভালো।”
দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ সেরা হয়ে শুরু হয়েছে সাকিবের বিশ্বকাপ। এগিয়ে চলার পরিক্রমায় সাকিবকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কার হাতেও দেখতে পাচ্ছেন ম্যানেজার।
“বলা তো যায় না আগে থেকে, তবে আমার মনে হয় সাকিব ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট হতে চায় এই বিশ্বকাপে। আমিও সেটা বিশ্বাস করি। গত ৬ মাস ধরে নিজেকে সে সেভাবেই প্রস্তুত করেছে, ফিটনেসে দিক থেকে, দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে, সবকিছু মিলিয়ে। আগে হয়তো অনুশীলনে একদিন ব্যাটিং করল, আরেকদিন বোলিং...এখন সে অনেক বেশি সিরিয়াস।”