সাইফের নিয়ন্ত্রিত বোলিং নাকি রুবেলের আগ্রাসন, একটিকে বেছে নেওয়া দোলাচলে বেশ কিছুদিন ধরেই ছিল দল। দলের ভাবনায় যদিও বরাবরই খানিকটা এগিয়ে ছিলেন সাইফ, তবে মাঝের ওভারগুলোতে উইকেটশিকারী প্রবণতার কারণে রুবেলও ছিলেন ভাবনায়। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করেছিলেন দুজনই।
মূল আসরের প্রথম ম্যাচে শেষ পর্যন্ত আগের ভাবনামতোই সাইফকে বেছে নেয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরুটা বাজে করলেও পরে ফিরে শেষ দিকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন সাইফ। চাপের মধ্যে খুব খারাপ করেননি শেষ দিকের বোলিং। মাশরাফি জানালেন, মূলত ডেথ বোলিংয়েই রুবেলকে পেছনে ফেলে একাদশে জায়গা পাচ্ছেন সাইফ।
“সাইফ উদ্দিনই অবশ্যই আমাদের সেরা পছন্দ ছিল। ডেথ বোলিংয়ে সে সম্প্রতি আমাদের সেরাদের একজন। আগেও বলেছি যে ডেথ বোলিংয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সে মুস্তাফিজের চেয়েও ভালো বোলিং করছে। ভালো ব্যাপার যে মুস্তাফিজও ভালো করছে। তবে (তৃতীয় পেসার হিসেবে) সাইফ উদ্দিন আমাদের প্রথম পছন্দ।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ৩ ওভারে ২২ রান দেওয়া সাইফ শেষ দিকে দুই স্পেলে ৫ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন। স্লগ ওভারে যে কোনো বিবেচনায়ই বেশ ভালো বোলিং।
প্রথম ম্যাচে সাইফের খেলা নিয়ে সংশয় ছিল পিঠের চোটের কারণেও। ভারতের বিপক্ষে ওই প্রস্তুতি ম্যাচেই পিঠের আড়ষ্ঠতায় ৬ ওভারের বেশি বোলিং করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিনও পুরোটা দিয়ে বল করতে পারেননি অনুশীলনে। তবে ম্যাচের দিন সকালে সাইফ ভালো বোধ করায় তাকেই বেছে নেয় দল।
“অপেক্ষা ছিল যে সকালে সে কেমন অনুভব করে। ওর ওপরই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। রুবেলও প্রস্তুত ছিল। ভালো হয়েছে যে সকালে উঠে সাইফ ভালো বোধ করেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সে নিয়েছে। কারণ একজন ক্রিকেটার নিজেই কেবল বলতে পারে যে পারবে কী পারবে না। আমরা কোনো ভাবেই সাইফকে নিয়ে সংশয়ে ছিলাম না।”