ওভালে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড রান সংগ্রহের মূল কারিগর ছিলেন এই দুজন। ৮৪ বলে ৭৫ রান করেছেন সাকিব, ৮০ বলে ৭৮ মুশফিক। দল ৭৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর এই দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ১৪২ রান। বিশ্বকাপে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি এটিই।
এই ম্যাচ যেমন, তেমনি আরও অনেক ম্যাচে দলের প্রয়োজনের সময় দারুণ জুটি গড়েছেন এই দুজন। সেই পরিক্রমায় হয়ে উঠেছেন দেশের সফলতম ওয়ানডে জুটি। দুজনের জুটিতে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে ২ হাজার ৭৮৮ ওয়ানডে রান। দুজনের সেঞ্চুরি জুটি হয়েছে ৫টি, ফিফটি জুটি ১৭টি। দুটিই বাংলাদেশের রেকর্ড।
বিকেএসপির দিনগুলি থেকেই এই দুজনের জানাশোনা। অফিসিয়াল বয়সে মুশফিকের চেয়ে মাস দেড়েকের ছোট সাকিব। তবে বিকেএসপিতে মুশফিক এক ক্লাস সিনিয়র ছিলেন বলে সাকিব ডাকেন মুশফিক ভাই বলে।
বিকেএসপি থেকেই জাতীয় পর্যায়ের বয়সভিত্তিক দলগুলিতে দুজনের পদচারণার শুর। সেখানেই সুযোগ হয়েছে পরস্পরকে জানার। যত সময় গড়িয়েছে, তত পোক্ত হয়েছে সম্পর্কের ভিত। সেটির প্রতিফলন পড়ছে ২২ গজের পারফরম্যান্সে, অভিমত সাকিবের।
“বিকেএসপিতে একসঙ্গে ছিলাম আমার। তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেট থেকে আমরা একসঙ্গে খেলেছি। ব্যাটিং অর্ডার সবসময়ই তার ঠিক আগে বা পরে ছিল। সবসময় একসঙ্গে ব্যাটিং করা হয়েছে। জাতীয় দলে আসার পরও হয়েছে। তাই সুযোগটি সৃষ্টি হয় ভালো করার।”
সাকিবের চাওয়া, সম্পর্কের এই রসায়ন এভাবে চলতে থাকুক। এই বিশ্বকাপেই গড়ে উঠুক দুজনের আরও কিছু বড় জুটি।
“উনার সঙ্গে বড় বড় কয়েকটি জুটি হয়েছে। বিশ্বকাপে এখনও অন্তত ৮ ম্যাচ আছে। আরও এরকম চার-পাঁচটি জুটি করতে পারলে খুব ভালো হবে।”