টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশ দারুণ ব্যাটিংয়ে তোলে ওয়ানডে ইতিহাসে নিজেদর সর্বোচ্চ সংগ্রহ, ৩৩০। রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে যারে ৩০৯ রান পর্যন্ত।
এমনিতে একই উইকেটে কাছাকাছি সময়ে ম্যাচ হলে পরের দিকে উইকেট সাধারণত খানিকটা মন্থর হয়, তাই পরে ব্যাটিং একটু কঠিন হয়ে ওঠে। এজন্য আগে ব্যাটিংই বেছে নেওয়া হয় বেশিরভাগ সময়।
তবে এই ম্যাচের উইকেট কেমন আচরণ করবে, আগে থেকে ধারনা করে উঠতে পারছিল না বাংলাদেশ দল। ম্যাচ শেষে মাশরাফি জানালেন, টস নিয়ে ধন্দে ছিল গোটা দল।
“সত্যি বলতে, দল হিসেবে আমরাও সংশয়ে ছিলাম। আধঘণ্টা আলোচনা হয়েছে আমাদের যে কী নেওয়া উচিত টস জিতলে। ইংল্যান্ডে সকালে উইকেটে বল মুভ করে শুরুতে। আবার ব্যবহৃত উইকেট পরে মন্থর হয়। পরে আমার মনে হলো, সবচেয়ে ভালো হয় টস হারলে!”
টস হারাটা শেষ পর্যন্ত সৌভাগ্য হয়েই এসেছে বলে মনে করেন মাশরাফি। ব্যবহৃত উইকেটে অনুমিতভাবেই পরে স্পিনাররা একটু সহায়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিং দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে দলের জয়ে।
“সৌভাগ্যবশত টস হেরেই যাই। আগে ব্যাটিং পেয়েছি এবং কাজে লাগাতে পেরেছি। ব্যবহৃত উইকেট, অনুমান করা কঠিন যে কেমন আচরণ হতে পারে। ব্যাটিং পেয়ে শেষ পর্যন্ত আমাদের ভালোই হয়েছে।”
“পরে স্পিনাররাও বড় ভূমিকা রেখেছে। যথনই তাদের বল দেওয়া হয়েছে, তারা ভালো করেছে। সব মিলিয়ে দারুণ ম্যাচ ছিল। স্পিনাররা ভালো করেছে, মুস্তাফিজ ও সাইফ শেষটা দারুণ করেছে।”